বক্তব্য প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে

মির্জা আব্বাসকে ক্ষমা চাইতে হবে: ইসলামী আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৮: ৪১
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৮: ৪৩

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বুধবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাথে মিলে চক্রান্ত করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিএনপির পতন ঘটিয়েছে এবং চরমোনাই পীর সাহেব নিজেই তা বলেছেন’ মর্মে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণ ‘অসত্য’ ও ‘মিথ্যাচার’। তাকে তার বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে, অন্যথায় তাকে ক্ষমা চাইতে হবে।

তিনি বলেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চক্রান্তের রাজনীতি করে না। বরং সর্বদাই দেশ-জাতি ও মানবতার পক্ষে দাড়িয়ে কথা বলে। বিগত ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে যখন বিএনপি ক্ষমতাসীন ছিলো, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিরোধী দলসমূহের অন্তর্গত ছিলো। সেই সময়ে ইসলামী আন্দোলন তৎকালীন বিএনপি সরকারের কার্যক্রমের বিরোধিতা করেছে। এখন বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকান্ডকে যদি জনাব আব্বাস সাহেবের কাছে ষড়যন্ত্র মনে হয় তাহলে বলতেই হবে, তিনিও একজন সম্ভাব্য স্বৈরাচার।

বিজ্ঞাপন

গাজী আতাউর রহমান বলেন, বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাস সবারই জানা। ২০০৬ সালে ৯ম জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপির ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার অশুভ চেষ্টার প্রতিফল হিসেবেই ১/১১ এর প্রেক্ষাপট তৈরি হয় এবং আওয়ামী ফ্যাসিজমের সূচনা হয়। এটা ইতিহাসের প্রতিষ্ঠিত সত্য। আব্বাসের উচিৎ হবে এই সত্যকে স্বীকার করে শিক্ষা নেয়া। সত্যকে অস্বীকার করার প্রবনতা ভালো না।

তিনি বলেন, বিএনপির মহাসচিব আমাদের অফিসে এসে যে সমঝোতা করেছেন, আমরা তা রক্ষা করে চলছি। আমরাও প্রত্যাশা করেছিলাম যে, বিএনপির নেতৃবৃন্দ সেই সমঝোতাকে সন্মান করবেন। সেখানে আব্বাসের মতো একজন সিনিয়র নেতা যখন এমন মিথ্যা কথা বলেন তখন তার বিবেচনাবোধ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এই মুখপাত্র আব্বাসের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বলেন, তাকে এই বক্তব্য প্রমাণ করতে হবে। অন্যথায় তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে নতুন বাংলাদেশের সুস্থ্য রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির সম্ভাবনা নষ্ট করার জন্য তিনি দায়ী হবেন।

এমএস

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত