জমিয়ত ও খেলাফত মজলিসের বৈঠকে নেতারা

দেশবিরোধী চুক্তি করার কোন এখতিয়ার নেই অন্তর্বর্তী সরকারের

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০১: ৩১

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কান্ট্রি অফিস খোলার অর্থ হলো— এদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ও মুসলমানদের ধর্মীয় বোধ বিশ্বাসকে হুমকিতে ফেলে দেওয়া। অন্তর্বর্তী সরকারের কোন এখতিয়ার নেই দেশবিরোধী এ রকম চুক্তি করার। আমরা এই সিদ্ধান্ত বাতিল করার জোর দাবি জানাই।

রোববার বিকেলে পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মাঝে অনুষ্ঠিত এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে উপস্থিত শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর সঞ্চালনায় বৈঠকে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন- দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা মাহবুবুল হক, মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দীন আহমদ, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমিন, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা তোফাজ্জল হোসেন মিয়াজী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা ফয়সাল আহমদ।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা লোকমান মাযহারী, প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী ও অফিস সম্পাদক মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম।

উভয় দলের নেতৃবৃন্দ ২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী বীর শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে আরও বলেছেন, এই সফল গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্ণ হলেও জনমনের নানাবিধ উদ্বেগ ও শঙ্কা দূর হয়নি। পরাজিত শক্তি পুনর্বাসিত হতে কোন না কোন ভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে বলে খবরাখবর আসছে। এসব ভালো লক্ষণ নয়।

সরকারকে এ বিষয়ে আরও কঠোর হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তারা বলেন, যেকোনো মূল্যে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোন প্রকার গড়িমসি করা সমর্থনযোগ্য নয়। সরকারকে এখন দেশে নির্বাচনের যথোপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত