ডাকসু নির্বাচনি ভাবনায় আব্দুল কাদের

ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে আমূল পরিবর্তন আসবে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ২২: ১৩
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৩৮

গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আবদুল কাদের বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের যে ব্যানারটি ছিলো সেটি ইনক্লুসিভ ব্যানার। সেই ব্যানারের দায়বদ্ধতার জায়গা দুটি। প্রথম দায়বদ্ধতা হলো—বিদ্যমান যে ব্যবস্থা আছে, সেটিকে উপড়ে ফেলা।দ্বিতীয়টি হলো—নতুন ব্যবস্থা হাজির করা।

তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সংগঠনে তারাই যুক্ত হয়েছে যারা মনে করেছে দুটি ব্যবস্থাকে ফুলফিল করবে। অনেকেই প্রথমটা শেষ করে পরেরটায় ফিরে গেছে। কিছু ব্যক্তি মনে করেছেন যাদের কিছুই নেই তারা আমাদের গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ প্লাটফর্মের যুক্ত হয়েছেন। আমরা যদি নতুন ক্যাম্পাসের কথা বলি—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের মাধ্যমে ক্যাম্পাসে আমূল পরিবর্তন আসবে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার রাতে ‘ডাকসু নির্বাচনি ভাবনা’ আমার দেশের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, ডাকসু নির্বাচনে যেহেতু ২৮টি পদ এখানে সবাইকে ইনক্লুড করা সম্ভব নয়। তবে দীর্ঘদিন পরে যেহেতু ঢাবি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হচ্ছে; এজন্য আমাদের প্যানেলে অংশ নিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছিলাম। পরে সাংগঠনিকভাবে যাদেরকে মনে করেছি তাদেরকে প্যানেলে ইনক্লুড করেছি। চেষ্টা করেছি একটি ইনক্লুসিফ প্যানেল দেওয়ার।

‘ডাকসু নির্বাচনি ভাবনা’ অংশ নিয়ে সাদিক কায়েম বলেন—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ছিলো জুলাই বিপ্লবের অন্যতম আকাঙ্ক্ষা। বিপ্লবের পরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে যতগুলো দাবি উত্থাপন করা হয়েছে তারমধ্যে প্রথম দাবি ছিলো ডাকসু নির্বাচন। শুধু ডাকসু নয়; প্রতিটি ক্যাম্পাসে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। আজকে থেকে ডাকসু নির্বাচনি প্রচারণা শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখতে পাচ্ছি।

তিনি বলেন—শুরু থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে বলে আসছি, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডটা গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন পরিচালনায় যারা আছেন তারা সবাই শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষক তাদের রাজনৈতিক আদর্শ থাকতে পারে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যারা চালাচ্ছে তারা একটা রাজনৈতিক দল দ্বারা প্রভাবিত। নির্বাচনে কোনো একটা সংগঠনকে ফেভার দেওয়া অথবা ওপর থেকে কোনো কিছু আরোপিত দ্বারা নির্বাচন পরিচালিত হওয়া কোনোটাই আমরা চাই না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন ও হল প্রশাসন যদি কোনো একটি দলকে ফেভার দেয় তাহলে তারা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়া হবে।

‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’—এর এই ভিপি প্রার্থী বলেন, আমরা যে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছি তার প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছি। বিশেষ করে আজকে চারুকলা এলাকায় আমাদের ফেস্টুন নষ্ট করেছে এবং ফেস্টুনে থাকা ছবি বিকৃত করেছে। শুধু তাই নয়, নারী প্রতিনিধি যারা আছেন তাদের চেহারা বিকৃত করেছেন। যেটা শাহবাগ কায়েমের মাধ্যমে হিজাব ফোবিয়া করা হয়েছিল। ঠিক একই কায়দায় জুলাই বিপ্লবের পরাজিত শক্তি বিভিন্নভাবে ডাকসু নির্বাচনকে বানচালের ষড়যন্ত্র করছে তার প্রতিচ্ছবি আজকে দেখতে পেয়েছি। সে জায়গা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অভিযোগ করেছি।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অংশ নেন—প্রতিরোধ পর্ষদ-এর ভিপি প্রার্থী তাসনীম আফরোজ ইমি, ‘ডাকসু ফর চেইঞ্জ’ এর ভিপি প্রার্থী বীন ইয়ামিন মোল্লা, ভিপি প্রার্থী জামাল উদ্দিন খালেদ ও ইয়াসিন আরাফাত।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত