বিশেষ প্রতিনিধি
বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, গত বছরের ৮ আগস্ট পুরনো সংবিধানে অধীনে শপথ নেওয়ায় গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যে নতুন সংবিধানের কথা বলছেন, সেটা অর্জিত হলে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে। তাই আপনাদের রাজপথের সংগ্রামেও অংশ নিতে হবে।’
বুধবার ‘বাংলাদেশে পরমাণু বিজ্ঞান গবেষণার সম্ভাবনা, সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সচেতন বিজ্ঞানী ও ভাববৈঠকিরা।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ মঞ্জুরা হক। তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন, বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষার অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা পরমাণু শক্তি কমিশনকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের পদমানক্রম নিশ্চিত করাসহ ১০টি দাবি তুলে ধরেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম সাইফুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন সভার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রোমেল, পরমাণু শক্তি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ফারিয়া নাসরীন প্রমুখ।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘জানি না, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশ কতটা নিরাপদ। কারণ, জনগণের কাছে প্রধান উপদেষ্টাকে জবাবদিহি করার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।’
পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের উত্থাপিত ১০টি দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে ফরহাদ মজহার বলেন, যে রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা গড়ে তুলতে পারে না, তাদের সার্বভৌমত্ব অর্থহীন। আধুনিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে পরমাণু ও বিজ্ঞানচর্চায় স্বাধীনতার বিকল্প নেই। ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বহুবার জীবন দিতে হয়েছে। রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে হলে পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন জরুরি। বিজ্ঞানীদের গবেষণা কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। জনগণের অর্থে বিদেশে গিয়ে সরকারি আমলাদের করা পিএইচডির প্রায়োগিক ক্ষেত্র কোথায়? প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা নিতে পিএইচডির প্রয়োজন হলে তাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সেটা করতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের আগের সেই জৌলুশ এখন নেই। অথচ ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের জৌলুশ দূর থেকেও বোঝা যায়। পরমাণু শক্তি কমিশন নিয়ে গত ৫৩ বছরে কেউ ভাবেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা বিস্ময়কর। এটা অন্যায়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু কমিশন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে সফল হতে পারেনি। কারণ, সরকারি কর্মকর্তারা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) চেনেন।
তিনি আরও বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানীরা ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ পেয়েও মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ার কারণে যেতে পারছেন না। জ্ঞান নিয়ন্ত্রণের এই মানসিকতা কেন, প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমলাদের জ্ঞানহীনতার এমন উদাহরণ লজ্জার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করি।
বিশিষ্ট কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, গত বছরের ৮ আগস্ট পুরনো সংবিধানে অধীনে শপথ নেওয়ায় গণ-অভ্যুত্থানের আকাঙ্খা ধ্বংস হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা যে নতুন সংবিধানের কথা বলছেন, সেটা অর্জিত হলে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোও তাদের স্বাধীনতা ফিরে পাবে। তাই আপনাদের রাজপথের সংগ্রামেও অংশ নিতে হবে।’
বুধবার ‘বাংলাদেশে পরমাণু বিজ্ঞান গবেষণার সম্ভাবনা, সংকট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সচেতন বিজ্ঞানী ও ভাববৈঠকিরা।
আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শেখ মঞ্জুরা হক। তিনি পরমাণু শক্তি কমিশনের পূর্ণাঙ্গ কমিশন গঠন, বিজ্ঞানীদের উচ্চশিক্ষার অনুমতি দেওয়ার ক্ষমতা পরমাণু শক্তি কমিশনকে ফিরিয়ে দেওয়া এবং বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের পদমানক্রম নিশ্চিত করাসহ ১০টি দাবি তুলে ধরেন।
স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ এস এম সাইফুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন সভার প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ রোমেল, পরমাণু শক্তি কমিশনের অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক ফারিয়া নাসরীন প্রমুখ।
ফরহাদ মজহার বলেন, ‘জানি না, প্রধান উপদেষ্টার কাছে দেশ কতটা নিরাপদ। কারণ, জনগণের কাছে প্রধান উপদেষ্টাকে জবাবদিহি করার মতো কোনো প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠেনি।’
পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের উত্থাপিত ১০টি দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে ফরহাদ মজহার বলেন, যে রাষ্ট্র স্বাধীনভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিচর্চা গড়ে তুলতে পারে না, তাদের সার্বভৌমত্ব অর্থহীন। আধুনিক রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হলে পরমাণু ও বিজ্ঞানচর্চায় স্বাধীনতার বিকল্প নেই। ৫৪ বছরের ইতিহাসে বাংলাদেশের মানুষকে এই স্বাধীনতা অর্জনের জন্য বহুবার জীবন দিতে হয়েছে। রাষ্ট্রে জনগণের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করতে হলে শিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করতে হবে।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে শক্তিশালী করতে হলে পরমাণু শক্তি কমিশনের স্বায়ত্তশাসন জরুরি। বিজ্ঞানীদের গবেষণা কর্মকাণ্ডের স্বাধীনতা দেওয়া জরুরি। জনগণের অর্থে বিদেশে গিয়ে সরকারি আমলাদের করা পিএইচডির প্রায়োগিক ক্ষেত্র কোথায়? প্রশাসন সম্পর্কে ধারণা নিতে পিএইচডির প্রয়োজন হলে তাঁরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সেটা করতে পারেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কামরুল হাসান মামুন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের আগের সেই জৌলুশ এখন নেই। অথচ ভারতের পরমাণু শক্তি কমিশনের জৌলুশ দূর থেকেও বোঝা যায়। পরমাণু শক্তি কমিশন নিয়ে গত ৫৩ বছরে কেউ ভাবেননি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের নিয়ন্ত্রণ মন্ত্রণালয়ের হাতে থাকা বিস্ময়কর। এটা অন্যায়। এই অন্যায়ের প্রতিবাদ আরও আগেই হওয়া উচিত ছিল। ভারত ও পাকিস্তানের পরমাণু কমিশন সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকে। বাংলাদেশের কোনো প্রতিষ্ঠান মন্ত্রণালয়ের অধীনে থেকে সফল হতে পারেনি। কারণ, সরকারি কর্মকর্তারা শুধু সার্টিফিকেট (সনদ) চেনেন।
তিনি আরও বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের বিজ্ঞানীরা ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ পেয়েও মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না পাওয়ার কারণে যেতে পারছেন না। জ্ঞান নিয়ন্ত্রণের এই মানসিকতা কেন, প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমলাদের জ্ঞানহীনতার এমন উদাহরণ লজ্জার।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মো. জামাল উদ্দিন বলেন, পরমাণু শক্তি কমিশনের সাম্প্রতিক সময়ের আন্দোলনের সঙ্গে আমরা একাত্মতা পোষণ করি।
রাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
১০ মিনিট আগেইসলামী আন্দোলন নেতাদের সঙ্গে বিশেষ সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন বাংলাদেশ সফররত ইন্টারন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট (আইআরআই) প্রতিনিধি দল। বুধবার সকাল ১১টায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
৪২ মিনিট আগেজামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেছেন, জুলাই সনদের মধ্যে যেগুলো নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সেগুলো আগে পাস করে পরে নির্বাচন দিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনি রূপ দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেবৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়েছে বলে জানান এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও আন্তর্জাতিক সম্পাদক সুলতান মোহাম্মদ জাকারিয়া। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচনের প্রক্রিয়া, মাঠ পর্যায়ের নিরপেক্ষতা ও নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে