জুলাই ঐক্য'র সমাবেশ
ঢাবি সংবাদদাতা
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতীয় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করেছে 'জুলাই ঐক্য'।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চসহ প্রভৃতি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
সমাবেশে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, 'জুলাইয়ের গাদ্দারদেরকে ছাড়া সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এখন প্রশ্ন আসে জুলাইয়ের গাদ্দার কারা। যারা জুলাই অভ্যুত্থানকে একমাত্র নিজেদের বলে দাবি করে তা বিক্রি করছে, তারাই জুলাইয়ের গাদ্দার।'
তিনি বলেন, 'জুলাই অভ্যুত্থান সবার। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তি যে ঐক্যের মাধ্যমে অভ্যুত্থানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। জুলাইকে কোনো দলের কাছে কুক্ষিগত হতে দেওয়া যাবে না।'
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. জাহিদুল বারী অন্তরবর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'অভ্যুত্থানের দশ মাস পরে এসেও চিকিৎসার অভাবে হাফিজরা মারা যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত জুলাইয়ের আহত ও শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এই সরকার করতে পারেনি। এটা তাদের অন্যতম ব্যর্থতা।'
তিনি বলেন, 'আপনারা জুলাইকে জাগ্রত রাখুন। জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করুন। নাহয় জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের সাথে আপনারা স্পষ্টত বেইমানী করবেন।'
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান ভারতীয় আধিপত্যবাদের জুজুর বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছিল। অথচ উপদেষ্টা পরিষদে বসে যারা ভারতের গোলামী করার জন্য মুখিয়ে আছে, তাদেরকে আমরা সাবধান করে দিতে চাই। আপনাদের ষড়যন্ত্র জুলাই যোদ্ধারা রুখে দেবে।'
তিনি বলেন, 'এত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরেও এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে আঙ্গুল ফলে কলাগাছ হচ্ছে কতিপয় নেতা-কর্মীর। আপনারা এদেশের মানুষের সাথে বেঈমানী করা বন্ধ করুন। জনগণের কল্যাণে কাজ করুন।'
ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এর উদ্যোক্তা আলী আহসান মোহাম্মদ জুনায়েদ অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, 'আপনারা জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য কী করেছেন, আমরা দেখতে চাই। যেই যোদ্ধাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আপনারা ক্ষমতায় বসেছেন, তাদেরকে চিকিৎসাটুকু পর্যন্ত দিতে আপনারা ব্যর্থ হচ্ছেন। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আমরা জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি চাই।'
বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম বলেন, 'জুলাইয়ের পর আমাদের স্বপ্ন ছিলো একটা ইনসাফভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার। কিন্তু জুলাইয়ের কিছু ঠিকাদার সেই ঐক্য বিনষ্ট করেছে।'
জুলাইয়ে আলেম ওলামাদের অবদান উল্লেখ করে সাদিক বলেন, 'এই জুলাইয়ের ঠিকাদাররা আমাদের আলেম ওলামাদের বঞ্চিত করেছে, আমাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ভাইবোনদের বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করেছে। এর মাধ্যমে অনৈক্য তৈরি করেছে। আমরা আর কোনো বিভাজন চাই না।'
'জুলাই ঐক্য' প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, 'ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে যদি আবারো আন্দোলনে নামতে হয়, তাহলে তাই হবে। জুলাই যোদ্ধারা গণহত্যাকারীদের ক্ষমা করবে না।'
আরেক সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, 'আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেব না। বাংলাদেশ কারো উপনিবেশ নয়- এটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে।'
সমাবেশজুড়ে 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে' এমন স্লোগানে মুখরিত ছিল শাহবাগ এলাকা।
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ভারতীয় হস্তক্ষেপের প্রতিবাদ এবং গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগের বিচার দাবি করে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করেছে 'জুলাই ঐক্য'।
রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় শুরু হওয়া এই কর্মসূচিতে অংশ নেয় দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি, আমার বাংলাদেশ পার্টি, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির ও ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইনকিলাব মঞ্চসহ প্রভৃতি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়।
সমাবেশে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, 'জুলাইয়ের গাদ্দারদেরকে ছাড়া সবাইকে নিয়ে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এখন প্রশ্ন আসে জুলাইয়ের গাদ্দার কারা। যারা জুলাই অভ্যুত্থানকে একমাত্র নিজেদের বলে দাবি করে তা বিক্রি করছে, তারাই জুলাইয়ের গাদ্দার।'
তিনি বলেন, 'জুলাই অভ্যুত্থান সবার। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল শক্তি যে ঐক্যের মাধ্যমে অভ্যুত্থানে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। জুলাইকে কোনো দলের কাছে কুক্ষিগত হতে দেওয়া যাবে না।'
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. জাহিদুল বারী অন্তরবর্তীকালীন সরকারের সমালোচনা করে বলেন, 'অভ্যুত্থানের দশ মাস পরে এসেও চিকিৎসার অভাবে হাফিজরা মারা যাচ্ছে। এখনো পর্যন্ত জুলাইয়ের আহত ও শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা এই সরকার করতে পারেনি। এটা তাদের অন্যতম ব্যর্থতা।'
তিনি বলেন, 'আপনারা জুলাইকে জাগ্রত রাখুন। জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করুন। নাহয় জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের সাথে আপনারা স্পষ্টত বেইমানী করবেন।'
ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসাইন নূর বলেন, 'জুলাই গণঅভ্যুত্থান ভারতীয় আধিপত্যবাদের জুজুর বিরুদ্ধে গড়ে উঠেছিল। অথচ উপদেষ্টা পরিষদে বসে যারা ভারতের গোলামী করার জন্য মুখিয়ে আছে, তাদেরকে আমরা সাবধান করে দিতে চাই। আপনাদের ষড়যন্ত্র জুলাই যোদ্ধারা রুখে দেবে।'
তিনি বলেন, 'এত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পরেও এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হচ্ছে না। তবে আঙ্গুল ফলে কলাগাছ হচ্ছে কতিপয় নেতা-কর্মীর। আপনারা এদেশের মানুষের সাথে বেঈমানী করা বন্ধ করুন। জনগণের কল্যাণে কাজ করুন।'
ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ বাংলাদেশ) এর উদ্যোক্তা আলী আহসান মোহাম্মদ জুনায়েদ অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, 'আপনারা জুলাই গণহত্যার বিচারের জন্য কী করেছেন, আমরা দেখতে চাই। যেই যোদ্ধাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আপনারা ক্ষমতায় বসেছেন, তাদেরকে চিকিৎসাটুকু পর্যন্ত দিতে আপনারা ব্যর্থ হচ্ছেন। জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছেন। আমরা জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তার গ্যারান্টি চাই।'
বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু সাদিক কায়েম বলেন, 'জুলাইয়ের পর আমাদের স্বপ্ন ছিলো একটা ইনসাফভিত্তিক ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার। কিন্তু জুলাইয়ের কিছু ঠিকাদার সেই ঐক্য বিনষ্ট করেছে।'
জুলাইয়ে আলেম ওলামাদের অবদান উল্লেখ করে সাদিক বলেন, 'এই জুলাইয়ের ঠিকাদাররা আমাদের আলেম ওলামাদের বঞ্চিত করেছে, আমাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির ভাইবোনদের বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করেছে। এর মাধ্যমে অনৈক্য তৈরি করেছে। আমরা আর কোনো বিভাজন চাই না।'
'জুলাই ঐক্য' প্ল্যাটফর্মের অন্যতম সংগঠক এবি জুবায়ের বলেন, 'ভারতীয় ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করতে যদি আবারো আন্দোলনে নামতে হয়, তাহলে তাই হবে। জুলাই যোদ্ধারা গণহত্যাকারীদের ক্ষমা করবে না।'
আরেক সংগঠক মোসাদ্দেক আলী ইবনে মোহাম্মদ বলেন, 'আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আমরা কোনো বিদেশি হস্তক্ষেপ মেনে নেব না। বাংলাদেশ কারো উপনিবেশ নয়- এটা আমাদের প্রমাণ করতে হবে।'
সমাবেশজুড়ে 'দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা', 'আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে' এমন স্লোগানে মুখরিত ছিল শাহবাগ এলাকা।
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেসৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটি সংবিধান নয়, একটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট যেটা কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে।
৩ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, “বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে প্রশাসন, এসপি-ডিসি এগুলো ভাগ বাটোয়ারা করছে এবং নির্বাচনে জন্য তারা যে তালিকা করছে, সরকারকে সেগুলো দিচ্ছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেও সেই দলগুলোর সাথে সেভাবে সহায়তা করছে”।
৩ ঘণ্টা আগেরাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
৩ ঘণ্টা আগে