প্রাথমিকে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি, শুক্রবার বিক্ষোভ

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯: ২৯
আপডেট : ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ৩০

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর বলেন, দক্ষ ও নৈতিকতা সম্পন্ন প্রজন্ম গড়তে অবিলম্বে সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। অন্যথায় দেশের মানুষ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।

তিনি বলেন, লেখাপড়ার মানের অবনতির কারণে সারা দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী শূন্য হয়ে যাচ্ছে, বাচ্চাদের মানসিক ও আদর্শিক ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। সরকার সেদিকে লক্ষ না করে গানের জন্য শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। ‘দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বাধ্যতামূলক ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবিতে’ এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ ইসলামের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত। ৫ আগস্টের পরে সুযোগ তৈরি হয়েছে। আমরা যদি সেই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারি তাহলে আগামী প্রজন্ম আমাদেরকে ধিক্কার দেবে। তাই ওলামায়ে কেরামকে তাদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

তিনি বলেন, পরগাছা হয়ে থাকলে কখনোই মূল গাছ হয়ে ওঠা যায় না। এখন সময় মূলগাছ হয়ে ওঠা। তাই যারা ইসলামী মূল্যবোধের কথা বলে কিন্তু ‘দেশকে মৌলবাদের অভয়ারণ্য হতে দেয়া হবে না’ মর্মে হুমকি দেয়, যারা ইসলামী শরিয়াহ আইনে বিশ্বাস করে না বলে ঘোষণা দেয়, তাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ওলামায়ে কেরামের শানে মানানসই না।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের সভাপতি আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজীল সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সেমিনারে চরমোনাই পীর আরও বলেন, শিক্ষা জাতীর মেরুদণ্ড তবে তা সুশিক্ষা হতে হবে। সাম্প্রতিক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে একটা দলের নেতার যে আচরন দেখলাম তাতেই বোঝা যায় দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেও সুশিক্ষা অর্জন হয় নাই।

সেমিনারে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম বক্তব্য রাখেন। তারাও দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার ব্যাপারে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন- ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, মাওলানা হাসান জামিল, মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, মুফতি যোবায়ের আহমাদ, ড. মুফতি ইউসুফ সুলতান, মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম, মুফতি আবদুল্লাহ আল-মাসউদ, মুফতি মনোয়ার, মাওলানা মুহাম্মাদ সালমান, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মুফতি সুলতান মহিউদ্দিন, মাওলানা সাকিবুল ইসরাম কাসেমী, মাওলানা এনামুল হক মূসা, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সারওয়ার হোসেন, মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী, মাওলানা আবদুর রাজ্জাক, মাওলানা কামাল উদ্দিন সিরাজ, মাওলানা ইউনুছ ঢালী এবং মুফতি ওয়ালী উল্লাহ প্রমূখ।

সেমিনারের শুরুতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মুফতি আবদুল্লাহ মাসুম ও ড. মাওলানা ইউসুফ সুলতান।

সেমিনারে জাতীয় ওলামা-মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের পক্ষ থেকে আগামী শুক্রবার বাদ জুমা দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষণা দেয়া হয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত