কুশিক্ষা আজ সমাজকে জর্জরিত করে ফেলেছে বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, সমাজের সর্বাঙ্গে এখন দুর্নীতি। যেখানে যাবেন, সেখানেই দুর্নীতির কবলে পড়বেন। এমনকি একজন ভিক্ষুককেও দুর্নীতির কবলে পড়তে হচ্ছে। এসব দুর্নীতিবাজ, মামলাবাজ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের জন্য আমাদের সমাজে নিরীহ মানুষের শান্তি নাই। জীবন, ইজ্জত ও সম্পদের নিরাপত্তা নেই। এভাবেই কি দেশ চলতে থাকবে? এর নাম স্বাধীন দেশ?
মঙ্গলবার রাতে ঢাকা-১৫ আসনের কাফরুল দক্ষিণ থানা জামায়াতের উদ্যোগে আয়োজিত বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর ও স্থানীয় থানা জামায়াতের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, চাঁদার টাকা খাওয়া মানুষগুলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট ভিক্ষুক। তাদের রাজনীতিতে আসার কোনো প্রয়োজন নেই। চাঁদা-দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাঠিয়ে বেগম পাড়া গড়ে। আর এদেশের মানুষ ধুকে ধুকে মরে। আমরা তা আর হতে দেবো না। এই সমাজ গড়ার জন্য আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।
তিনি বলেন, ‘গর্বের বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। এ মাস পর্যন্ত ৫৪ বছরে এসে আমরা দেখছি, এখানে আবাল বৃদ্ধ বনিতা কারও জীবনের নিরাপত্তা, সম্মান এবং শান্তি নেই। আমরা এই পচা সমাজটাকে পাল্টে দিতে চাই। ইনশাআল্লাহÑ আমরা পারবো। আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আমাদের অঙ্গীকার হবে-আমি দুর্নীতি করবো না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না।
জামায়াত আমির বলেন, অনেকে প্রশ্ন করে-এই কাজটা করবে কে? বিড়ালের গলায় ঘণ্টাটা বাঁধবে কে? আমি বলি-আসো, আমিও বাঁধবো, তুমিও বাঁধো। এই সমাজ আর আমরা চলতে দেব নাÑ ইনশাআল্লাহ। এ সমাজকে পাল্টাতেই হবে। আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আমাদের অঙ্গীকার হবে-আমি দুর্নীতি করবো না, কাউকে দুর্নীতি করতে দেব না।
মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে শহীদ পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়
এর আগে মঙ্গলবার সকালে মাইলস্টোন ট্রাজেডিতে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে সময় কাটান জামায়াত আমির। এ বিষয়ে শুকরিয়া প্রকাশ করে নিজের ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, চলতি বছরের ২১ জুলাই বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের ১২ মিনিটের মধ্যে ঢাকার উত্তরায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুলের প্রাঙ্গণে বিধ্বস্ত হয়। এতে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে। আল্লাহ তায়ালার মেহেরবাণীতে ঘটনার দিনই সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল এবং নিহতদের পরিবার ও মারাত্মকভাবে আহতদের খোঁজখবর নেওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমার ব্যক্তিগত অসুস্থতাসহ নানা কারণে সবার বাড়িতে গিয়ে খোঁজখবর নেওয়া সম্ভব হয়নি। আল্লাহ তায়ালা আমার এই দুর্বলতাকে ক্ষমা করুন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সেই সব সম্মানিত পরিবার ও আহতদের সঙ্গে এক স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে উপস্থিত থেকে তাদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ হয়েছে। এজন্য মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে শুকরিয়া আদায় করছি, আলহামদুলিল্লাহ।

