ঢাবি সংবাদদাতা
গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে স্থাপিত শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে 'নারীর প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ' নামে ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে 'জাগ্রত জুলাই' নামের একটি সংগঠন।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এসময় তারা বলেন, প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চটি ছিল একটি সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ, যার মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জনগণের সামনে উচ্চারিত হয়েছে। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক দুঃশাসন, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিচারের দাবি করা হয়েছে। তবে এটিকে পরিকল্পিতভাবে নারীর প্রতি ক্ষোভ বলে প্রচার করেছে কিছু গণমাধ্যম। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তারা সমাবেশে ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
বক্তব্য প্রদানকালে 'জাগ্রত জুলাই'-এর সভাপতি কর্নেল আশরাফ আল দীন বলেন, এই প্রতিবাদ ছিল একটি নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক ভাষ্য, যার উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী অপরাধসমূহের বিচারের দাবি তোলা। একে বিকৃত করে নারীবিদ্বেষ হিসেবে উপস্থাপন সাংবাদিকতার নৈতিক অবক্ষয়ের পরিচায়ক। আমরা এর নিন্দা জানাই।
এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (বোরহান) জানিয়েছেন, 'জাগ্রত জুলাই' কোনো রাজনৈতিক দল বা ধর্মীয় সংগঠন নয় এবং হেফাজতে ইসলামের ৩ মে পালিত অন্য কোনো কর্মসূচির সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রতিকৃতিটি স্থাপন করার পর থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে, এটি ফ্যাসিস্টেরই প্রতিকৃতি। কিছু মিডিয়াতেও তা প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ৩ মে হেফাজতের কর্মসূচির সাথে একে সম্পৃক্ত করা ও ফ্যাসিস্টের প্রতি ক্ষোভের প্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে নারীর প্রতি ক্ষোভ বলে প্রচার করা খুবই নিন্দনীয়। এটিকে পরিকল্পিত ও বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের কর্ম বলেই মনে করি।
এসময় সংহতি প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম সংগঠক হাফেজ আকরাম হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পরে আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে বিভিন্ন সময় অপসাংবাদিকতার করা হচ্ছে। এখানে গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, ইচ্ছুক জনতা শেখ হাসিনাকে জুতাপেটা করেছে। তারা কোনো নারীকে অবমাননা করে নাই। কিন্তু কিছু পত্রিকা ভুল সাংবাদিকতা করেছে। আগামীর বাংলাদেশে যারা অপসাংবাদিকতার করবে তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট আইন দেখতে চাই।
এসময় তারা উক্ত ঘটনায় ছয় দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- মিথ্যা বয়ান প্রচারকারী সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা; অতিসত্বর জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার প্রক্রিয়া চালু করা; অতিসত্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ ও জুলাই বিপ্লবীদের বিপ্লবকালীন কর্মকাণ্ডের আইনগত স্বীকৃতি প্রদান; ফ্যাসিবাদী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা; ফ্যাসিবাদের দোসর গণমাধ্যমগুলোকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের সহচরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা।
এসময় আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি কবি আবিদ আজম, কবি জুননুরাইন, কবি রফিক লিটন, সহ-সাধারণ সম্পাদক কবি হাসনাইন ইকবাল, নাট্যকার হুসনে মোবারক ও কবি তাজ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ সাইফুল্লাহ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল নাহিয়ান, কবি রহমান মাজিদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি লোকমান হোসেন জীবন প্রমুখ।
এমএস
গণহত্যার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যে স্থাপিত শেখ হাসিনার প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চকে বিতর্কিত করার লক্ষ্যে 'নারীর প্রতি ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ' নামে ফ্যাসিবাদের দোসরদের প্রোপাগান্ডার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে 'জাগ্রত জুলাই' নামের একটি সংগঠন।
সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় এই নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।
এসময় তারা বলেন, প্রতীকী ফাঁসির মঞ্চটি ছিল একটি সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ, যার মাধ্যমে পলাতক শেখ হাসিনার বিচারের দাবি জনগণের সামনে উচ্চারিত হয়েছে। এর মাধ্যমে শেখ হাসিনার একনায়কতান্ত্রিক দুঃশাসন, গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টি এবং বিচারের দাবি করা হয়েছে। তবে এটিকে পরিকল্পিতভাবে নারীর প্রতি ক্ষোভ বলে প্রচার করেছে কিছু গণমাধ্যম। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে তারা সমাবেশে ছয় দফা দাবি পেশ করেন।
বক্তব্য প্রদানকালে 'জাগ্রত জুলাই'-এর সভাপতি কর্নেল আশরাফ আল দীন বলেন, এই প্রতিবাদ ছিল একটি নিরপেক্ষ সাংস্কৃতিক ভাষ্য, যার উদ্দেশ্য ছিল শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী অপরাধসমূহের বিচারের দাবি তোলা। একে বিকৃত করে নারীবিদ্বেষ হিসেবে উপস্থাপন সাংবাদিকতার নৈতিক অবক্ষয়ের পরিচায়ক। আমরা এর নিন্দা জানাই।
এসময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ (বোরহান) জানিয়েছেন, 'জাগ্রত জুলাই' কোনো রাজনৈতিক দল বা ধর্মীয় সংগঠন নয় এবং হেফাজতে ইসলামের ৩ মে পালিত অন্য কোনো কর্মসূচির সঙ্গে তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। প্রতিকৃতিটি স্থাপন করার পর থেকে এটা স্পষ্ট ছিল যে, এটি ফ্যাসিস্টেরই প্রতিকৃতি। কিছু মিডিয়াতেও তা প্রচারিত হয়েছে। কিন্তু পরবর্তীতে ৩ মে হেফাজতের কর্মসূচির সাথে একে সম্পৃক্ত করা ও ফ্যাসিস্টের প্রতি ক্ষোভের প্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে নারীর প্রতি ক্ষোভ বলে প্রচার করা খুবই নিন্দনীয়। এটিকে পরিকল্পিত ও বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের কর্ম বলেই মনে করি।
এসময় সংহতি প্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অন্যতম সংগঠক হাফেজ আকরাম হোসেন বলেন, ৫ আগস্টের পরে আন্দোলনকে বিতর্কিত করতে বিভিন্ন সময় অপসাংবাদিকতার করা হচ্ছে। এখানে গতকাল যে ঘটনা ঘটেছে, ইচ্ছুক জনতা শেখ হাসিনাকে জুতাপেটা করেছে। তারা কোনো নারীকে অবমাননা করে নাই। কিন্তু কিছু পত্রিকা ভুল সাংবাদিকতা করেছে। আগামীর বাংলাদেশে যারা অপসাংবাদিকতার করবে তাদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট আইন দেখতে চাই।
এসময় তারা উক্ত ঘটনায় ছয় দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- মিথ্যা বয়ান প্রচারকারী সাংবাদিক ও সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা; অতিসত্বর জুলাই, পিলখানা ও শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার বিচার প্রক্রিয়া চালু করা; অতিসত্বর জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশ ও জুলাই বিপ্লবীদের বিপ্লবকালীন কর্মকাণ্ডের আইনগত স্বীকৃতি প্রদান; ফ্যাসিবাদী সংগঠন হিসেবে আওয়ামী লীগ ও তার সকল সহযোগী সংগঠনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা; ফ্যাসিবাদের দোসর গণমাধ্যমগুলোকে চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা এবং সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও বিভিন্ন মহলে ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিবাদের সহচরদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনা।
এসময় আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি কবি আবিদ আজম, কবি জুননুরাইন, কবি রফিক লিটন, সহ-সাধারণ সম্পাদক কবি হাসনাইন ইকবাল, নাট্যকার হুসনে মোবারক ও কবি তাজ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজ সাইফুল্লাহ ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আল নাহিয়ান, কবি রহমান মাজিদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক কবি লোকমান হোসেন জীবন প্রমুখ।
এমএস
নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
৩৫ মিনিট আগেএর আগে বিকেল ৫টার দিকে তারা যমুনায় পৌঁছান। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই সনদ মোটাদাগে সবাই মেনে নিয়েছে। এতে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে