বদলা নিলে জাপা কার্যালয়ের একটি ইটও থাকতো না : রাশেদ খান

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১: ০১

আমরা যদি আমাদের নেতাকর্মীদের বলতাম তোমরা বদলা নাও, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক টুকরা ইটও থাকতো না বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান।

বুধবার রাজধানীর বিজয় নগরের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামীলীগের সাথে জোট করা ১৪ টি দলের নিষিদ্ধ, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে পল্টন মোড় অবরোধ করেছে দলটির নেতাকর্মীরা। অবরোধ কর্মসূচীতে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি এমন্তব্য করেন। কর্মসূচিটি থেকে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেল ৩ টায় শাহবাগে ফ্যাসিবাদ বিরোধী শক্তির সংহতি সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

এসময় রাশেদ খান বলেন, আমরা যদি আমাদের নেতাকর্মীদের বলতাম তোমরা বদলা নাও, জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে এক টুকরা ইটও থাকতো না। আমরা সেটি করি নাই। আমরা যদি আমাদের নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশনা দিতাম, জিএম কাদের ও শামিম হায়দার পাটোয়ারীর অস্তিত্ব রাখা যাবে না, তারা কিন্তু আব্বা আব্বা বলে ভারতে পালাইতো। আমরা আইন নিজের হাতে তুলে নেই নাই।

তিনি তার বক্তব্যে ২৯ আগস্ট হামলার ঘটনায় পুরো সেনাবাহিনী ও পুলিশবাহিনীকে দোষারোপ করছি না উল্লেখ করে বলেন, আমরা সরকারের দিকে তাকিয়ে আছি সরকার এই বর্বর হামলার কী ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে। আমরা সরকারকে আহ্বান জানিয়েছি যারা ফ্যাসিবাদের ও আওয়ামী দোসর ঘাপটি মেরে বসে আছে, যারা নুরুল হক নুরসহ আমাদের উপর হামলা করেছে, যারা আমাদের বোনদের লাঞ্ছিত করেছে এবং যারা আমাদের কার্যালয়ে হামলা চালিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছি।

বাংলাদেশে আওয়ামীলীগ, জাতীয়পার্টি ও তার দোসররা রাজনীতি করতে পারবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, জুলাইয়ে আমরা যারা এক ছিলাম -ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যারা একসাথে লড়াই করেছি সে ২২ টি দল আমরা একসাথে বসেছি। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দলের বিচার দাবি করেছে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী প্রত্যেকটা দল সংহতি সমাবেশে উপস্থিত থাকবে। আমরা সরকারকে স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আওয়ামীলীগ গেছে যেই পথে -জাপা যাবে সেই পথে। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারে নাই, জাতীয় পার্টিসহ ১৪ দল বাংলাদেশে রাজনীতি করতে পারবে না।

এসময় সরকারের প্রতি তাদের তিনটি দাবি মেনে নিয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানান বক্তারা। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল ও পল্টন অবরোধ কর্মসূচির ফলে যানজটে আটকে থেকে ভোগান্তিতে পড়া ঢাকাবাসীর কাছে 'সরকার এভাবে না বললে শোনে না' উল্লেখ করে ক্ষমা চান রাশেদ খান।

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ আব্দুজ জাহেরের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন মুখপাত্র ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল আল মামুন, উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, অ্যাডভোকেট সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, মাহফুজুর রহমান খান,রবিউল হাসান প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত