যুবদল নেতার মৃত্যুর ঘটনায় মির্জা ফখরুলের বিবৃতি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯: ০৯

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন যে কুমিল্লায় যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামকে সাদা পোশাকধারী লোকেরা ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে।

শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, কুমিল্লা সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলামকে তার বাসা থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনাকে গভীর উদ্বেগজনক ও মর্মান্তিক বলে অভিহিত করেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের পর আওয়ামী সরকারের পতনের প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে এই ধরনের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক। এই ঘটনার ফলে দেশবাসী স্তম্ভিত এবং জনমনে নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

তিনি আরও দাবি করেন যে সরকার ও প্রশাসনের মধ্যে লুকিয়ে থাকা আওয়ামী পক্ষের দোসররা এ ধরনের নৃশংস ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। কোনো সরকারি বাহিনীর আইন নিজের হাতে নেওয়ার অধিকার নেই। যে কেউ অপরাধ করুক না কেন, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় এনে যথাযথ বিচার নিশ্চিত করতে হবে, কিন্তু বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে নির্যাতন চালানো কখনোই গ্রহণযোগ্য নয়।

বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন ১৫ বছরের শাসনামলে বিচারবহির্ভূত হত্যার বহু ঘটনা ঘটেছে, আর কুমিল্লার যুব নেতার এই নির্মম হত্যাকাণ্ড সেই ফ্যাসিবাদী সময়েরই স্মারক হয়ে থাকবে। তিনি উল্লেখ করেন যে ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা বন্ধ করা এবং দেশকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ভয় থেকে মুক্ত রাখা। কিন্তু যদি আগের ফ্যাসিবাদী শাসনের পুনরাবৃত্তি ঘটে, তাহলে দেশ আবারও চরম অস্থিতিশীলতার দিকে ধাবিত হবে এবং জনগণ অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন কাটাবে। বেআইনি হত্যাকাণ্ড কখনোই শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে পারে না; বরং এটি আইনের শাসনের চরম লঙ্ঘন এবং দেশকে এক ভয়াবহ অবস্থার দিকে ঠেলে দেয়।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত