গণশক্তি সভার মুক্ত আলোচনায় মান্না

রাষ্ট্রে অগ্রগতিশীল ও উন্নত সংস্কার সময়ের দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯: ৩৯

নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, রাষ্ট্রে অগ্রগতিশীল ও উন্নত সংস্কার কার্যক্রম সময়ের দাবি। যারা এখন আমলাতন্ত্রকে প্রভাবিত করছে নির্বাচনে তারাই আমলাতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণ করবে। চলমান সংস্কার কার্যক্রমকে গতিশীল করতে হবে যাতে সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে না পারে।

বিজ্ঞাপন

গণশক্তি সভা কর্তৃক আয়োজিত ‘নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত সংস্কার’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।

রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে মুক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন গণশক্তি সভার সভাপতি সাদেক রহমান।

কবি মনির ইউসুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কর্নেল অবসরপ্রাপ্ত হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী ড. হেলাল উদ্দিন, লে. কর্নেল (অব.) ফেরদৌস আজিজ, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান, প্রফেসর ডক্টর দেওয়ান সাজ্জাদ, মেজর (অব.) রেজাউল হান্নান শাহীন, গণমুক্তি জোটের কো-চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা হিজবুল্লাহ, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল প্রমূখ।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমাদের আশা হতে হলে চলবে না সুদিনের আশা নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোকে আরো সচেতন ও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। প্রত্যেককে নিজের জায়গায় ছাড় দিতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে এখন লড়াই জ্ঞানের, লড়াই বুদ্ধির। রাজনীতিবিদদের অতীত দেখেছে বলেই মানুষ রাজনীতিবিদদের ওপর আস্থা রাখতে আস্থা হারাচ্ছে।

কর্নেল (অব.) হাসিনুর রহমান বীর প্রতীক বলেন, প্রধান ইসুগুলোতে আমাদের ঐক্যমতে পৌঁছতে হবে। নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোতে পরিবর্তনের এনেই একটা সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবে।

ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, শিক্ষার্থীরাই দেশকে পুনরায় গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরিয়ে আনতে এক ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করেছে। শিক্ষার্থীদের এ ত্যাগকে খাটো করে দেখলে জাতি আমাদের ক্ষমা করবে না। রাজনৈতিক দলগুলো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হলে সংস্কার কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়তে পারে। সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নির্বাচন ব্যবস্থার কাঠামোগত পরিবর্তন হওয়া দরকার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের দ্বিকক্ষ বিশিষ্ট পার্লামেন্ট করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আসন সংখ্যা অন্ততপক্ষে ৫০০ হওয়া দরকার। একই দিনে নির্বাচন নয় অন্তত তিন থেকে চারদিনে দেশকে ভাগ করে নির্বাচন করলে একটি ভালো নির্বাচন আশা করা যায়। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন দিয়ে একটা ট্রায়াল জাতি দেখতে চায়।

নির্বাচন কমিশনে সৎ এবং যোগ্য অফিসার নিয়োগ প্রদান করা এবং দক্ষ পরিচালনার মাধ্যমে কালো টাকা প্রভাব যে কোন মূল্যে বন্ধ করা দরকার না হলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। চাঁদাবাজি ও দখলবাজি বন্ধ হচ্ছে না। আগামীতে রাজনীতিতে একটা গুণগত পরিবর্তন আসবে এটা আমরা আশা করতে চাই। মানুষের কথা বলার অধিকার পারস্পরিক সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ পুনঃ প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত