আমার দেশ অনলাইন
বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলে নতুন করে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েই নতুন বিতর্কে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। খবর বিবিসি বাংলা।
নির্বাচনের পিছু ছাড়ছে না ‘সংশয়, সন্দেহ, অনিশ্চয়তা’। এখন আবার ওই শব্দগুলোই নতুন করে আলোচনায় আসছে নির্বাচন প্রশ্নে।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরে গত ১২ই জুন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রশ্নে যৌথ ঘোষণা দেন।
সেই ঘোষণার পর বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে; নির্বাচন হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতেই।
এরই মধ্যে এসেছে নির্বাচন পদ্ধতির বিতর্ক। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর নির্বাচনি ব্যবস্থা নাকি সরাসরি ভোট–এ নিয়ে দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থান এখন দৃশ্যমান।
এই দলগুলো বলছে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে একটি নির্বাচনে দেওয়া প্রত্যেকটি ভোট কাজে লাগে এবং প্রতিটি ভোট সংসদে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করে। তাছাড়া একটি নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ও হারের ভিত্তিতে সংসদে আসন বণ্টন হয়।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, এ পদ্ধতিতে স্বৈরাচার বা কর্তৃত্ববাদী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সরাসরি ভোটের ব্যবস্থায় কোনো দল ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে যদি সরকার গঠন করে, ওই দল তখন ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়া অন্য দলগুলোকে বাদ দিয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করে। সেজন্য তারা এর পরিবর্তন চান। কিন্তু এখন পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবি তোলার পেছনে নির্বাচন প্রলম্বিত করা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বল বিএনপিসহ বিভিন্ন দল যে সব অভিযোগ করছে, সে অভিযোগ মানতে রাজি নন জামায়াতের আমির।
দলটির আরেক নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, কোনো দল সর্বনিম্ন এক শতাংশ ভোট পেলেই সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পাবে, এই প্রস্তাব তারা করেছেন। ফলে বেশিরভাগ দল প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে বলে তারা মনে করছেন।
ফলে ছোট দলগুলোর এই পদ্ধতি আগ্রহ বেশি। কারণ এমন অনেক দলের আসনভিত্তিক সরাসরি ভোটে জিতে আসা কঠিন। বামপন্থি বিভিন্ন দলও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পক্ষে।
আনুপাতিক পদ্ধতির ভোটে ব্যালটে প্রার্থী থাকবেন না। দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সেই অনুপাতে আসন বণ্টন হবে।
বিশ্বের ১৭০টি দেশের মধ্যে ৯১টি দেশে আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা প্রচলিত। এ অঞ্চলে নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় এ পদ্ধতি চালু রয়েছে।
তবে বিএনপি ও এর মিত্র দলগুলো বলছে, বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এ পদ্ধতি চালু করতে আরও অনেকে সময় প্রয়োজন।
বাংলাদেশে ভিন্ন একটি দিক হচ্ছে, নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে মেরূকরণ হয় জোটগতভাবে। ২০০১ সাল থেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করার প্রবণতা বেড়েছে।
ছোট ছোট দলগুলো যেমন বড় একটি দলের জোটে আশ্রয় নিয়ে আসন ভাগাভাগি কর ভোটে অংশ নেয়, এতে বড় দলগুলোরও প্রতিপক্ষকে হারানোর লক্ষ্য বা স্বার্থ থাকে।
জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতি কীভাবে কার্যকর করা হবে, সে প্রশ্নও উঠছে। এ ব্যাপারে ইসলামি দলগুলোর নেতারা বলেছেন এসব প্রশ্নে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
কিন্তু এই প্রশ্নও রয়েছে যে, ভোটাররা তাদের এলাকায় সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে না।
এছাড়া এলাকার প্রতিনিধি কীভাবে ঠিক করা হবে-এ বিষয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, এলাকায় সরাসরি প্রতিনিধি থাকার কারণে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
সংসদে আইন প্রণেতারা উন্নয়নসহ স্থানীয় সরকারের কাজে যুক্ত না হয়ে শুধু আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে, সেটা তারা চান।
তবে এর পাল্টা বক্তব্য হাজির করছের বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, এ পদ্ধতি চালু করার পর্যায়ে যেতে বাংলাদেশে কমপক্ষে এক দশক সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।
গত ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন হবে কিনা এ নিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন দলে নতুন করে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়েই নতুন বিতর্কে পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। খবর বিবিসি বাংলা।
নির্বাচনের পিছু ছাড়ছে না ‘সংশয়, সন্দেহ, অনিশ্চয়তা’। এখন আবার ওই শব্দগুলোই নতুন করে আলোচনায় আসছে নির্বাচন প্রশ্নে।
যদিও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস যুক্তরাজ্য সফরে গত ১২ই জুন বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে শর্তসাপেক্ষে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন প্রশ্নে যৌথ ঘোষণা দেন।
সেই ঘোষণার পর বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে এমন ধারণা তৈরি হয়েছিল যে, নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা কেটে গেছে; নির্বাচন হচ্ছে ফেব্রুয়ারিতেই।
এরই মধ্যে এসেছে নির্বাচন পদ্ধতির বিতর্ক। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর নির্বাচনি ব্যবস্থা নাকি সরাসরি ভোট–এ নিয়ে দলগুলোর পাল্টাপাল্টি অবস্থান এখন দৃশ্যমান।
এই দলগুলো বলছে, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব বা পিআর পদ্ধতিতে একটি নির্বাচনে দেওয়া প্রত্যেকটি ভোট কাজে লাগে এবং প্রতিটি ভোট সংসদে সমানভাবে প্রতিনিধিত্ব করে। তাছাড়া একটি নির্বাচনে প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ও হারের ভিত্তিতে সংসদে আসন বণ্টন হয়।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, এ পদ্ধতিতে স্বৈরাচার বা কর্তৃত্ববাদী হওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু সরাসরি ভোটের ব্যবস্থায় কোনো দল ৫১ শতাংশ ভোট পেয়ে যদি সরকার গঠন করে, ওই দল তখন ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়া অন্য দলগুলোকে বাদ দিয়ে একক আধিপত্য বিস্তার করে। সেজন্য তারা এর পরিবর্তন চান। কিন্তু এখন পদ্ধতি পরিবর্তনের দাবি তোলার পেছনে নির্বাচন প্রলম্বিত করা বা অন্য কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বল বিএনপিসহ বিভিন্ন দল যে সব অভিযোগ করছে, সে অভিযোগ মানতে রাজি নন জামায়াতের আমির।
দলটির আরেক নেতা সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের বলেন, কোনো দল সর্বনিম্ন এক শতাংশ ভোট পেলেই সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পাবে, এই প্রস্তাব তারা করেছেন। ফলে বেশিরভাগ দল প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবে বলে তারা মনে করছেন।
ফলে ছোট দলগুলোর এই পদ্ধতি আগ্রহ বেশি। কারণ এমন অনেক দলের আসনভিত্তিক সরাসরি ভোটে জিতে আসা কঠিন। বামপন্থি বিভিন্ন দলও আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পক্ষে।
আনুপাতিক পদ্ধতির ভোটে ব্যালটে প্রার্থী থাকবেন না। দলীয় প্রতীকে ভোট হবে। একটি দল যত শতাংশ ভোট পাবে, সেই অনুপাতে আসন বণ্টন হবে।
বিশ্বের ১৭০টি দেশের মধ্যে ৯১টি দেশে আনুপাতিক নির্বাচনব্যবস্থা প্রচলিত। এ অঞ্চলে নেপাল ও শ্রীলঙ্কায় এ পদ্ধতি চালু রয়েছে।
তবে বিএনপি ও এর মিত্র দলগুলো বলছে, বাংলাদেশের বাস্তবতায় এই পদ্ধতি বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। এ পদ্ধতি চালু করতে আরও অনেকে সময় প্রয়োজন।
বাংলাদেশে ভিন্ন একটি দিক হচ্ছে, নির্বাচন ঘিরে রাজনীতিতে মেরূকরণ হয় জোটগতভাবে। ২০০১ সাল থেকে জোটগতভাবে নির্বাচন করার প্রবণতা বেড়েছে।
ছোট ছোট দলগুলো যেমন বড় একটি দলের জোটে আশ্রয় নিয়ে আসন ভাগাভাগি কর ভোটে অংশ নেয়, এতে বড় দলগুলোরও প্রতিপক্ষকে হারানোর লক্ষ্য বা স্বার্থ থাকে।
জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতি কীভাবে কার্যকর করা হবে, সে প্রশ্নও উঠছে। এ ব্যাপারে ইসলামি দলগুলোর নেতারা বলেছেন এসব প্রশ্নে আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে।
কিন্তু এই প্রশ্নও রয়েছে যে, ভোটাররা তাদের এলাকায় সরাসরি প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে না।
এছাড়া এলাকার প্রতিনিধি কীভাবে ঠিক করা হবে-এ বিষয়ে জামায়াত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারা বলছেন, এলাকায় সরাসরি প্রতিনিধি থাকার কারণে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে।
সংসদে আইন প্রণেতারা উন্নয়নসহ স্থানীয় সরকারের কাজে যুক্ত না হয়ে শুধু আইন প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে, সেটা তারা চান।
তবে এর পাল্টা বক্তব্য হাজির করছের বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, এ পদ্ধতি চালু করার পর্যায়ে যেতে বাংলাদেশে কমপক্ষে এক দশক সময় নিয়ে কাজ করতে হবে।
গত ২৮ জুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশে সংসদের উভয় কক্ষে সংখ্যানুপাতিক পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ১৬ দফা দাবি উত্থাপন করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
৩৫ মিনিট আগেএর আগে বিকেল ৫টার দিকে তারা যমুনায় পৌঁছান। নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে ছিলেন- দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহ।
১ ঘণ্টা আগেপ্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন- জামায়াত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, জামায়াত ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম ও জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জুলাই সনদ মোটাদাগে সবাই মেনে নিয়েছে। এতে থাকা প্রতিশ্রুতিগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন করা উচিত।
২ ঘণ্টা আগে