খেলাফত মজলিসের বিবৃতি

ভারতের মদদে ইউপিডিএফের নাশকতা রাষ্ট্রের অখণ্ডতার জন্য হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫০

বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মুহাম্মাদ মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ যৌথ বিবৃতিতে বিগত কয়েকদিন ধরে গুইমারায় সংঘটিত ভয়াবহ সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। সোমবার এ বিবৃতি দেন তারা।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে তারা বলেন, ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের দৃষ্টান্তমূলক বিচার হওয়া আবশ্যক। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করছি— ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের আড়ালে ভারতের মদদে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ইউপিডিএফ পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ে রক্তপাত, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও সেনাবাহিনী–পুলিশের ওপর সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা, সেনা–পুলিশ সদস্যসহ বহু মানুষ আহত হয়েছেন। রমেসু বাজারে দোকানপাট ও মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নাশকতা শুধু আইন-শৃঙ্খলার উদ্বেগ নয়; এটি রাষ্ট্রের ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্যও বিরাট হুমকি।

নেতৃদ্বয় বলেন, সম্প্রতি বিজিবি কাপ্তাই ব্যাটালিয়নের অভিযানে ইউপিডিএফের জন্য পাচারকৃত প্রায় ৫০০ দা/চাপাতি উদ্ধার এবং খাগড়াছড়ির গুইমারায় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা প্রমাণ করে—পাহাড়ে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার ছত্রছায়ায় এক গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। এরা ধর্ষণের মতো একটি সামাজিক অপরাধকে ঢাল বানিয়ে সেনাবাহিনীকে টার্গেট করছে এবং বাঙালি–পাহাড়ি উভয় জনগোষ্ঠীকে মুখোমুখি দাঁড় করানোর চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে দেশের কিছু ভারতপন্থি বামচক্রও প্রকাশ্যে ও গোপনে যুক্ত হয়ে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে।

তারা বলেন, ইউপিডিএফসহ সশস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ে অপহরণ, গুম-খুন, মুক্তিপণ আদায়, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছে। এরা বাংলাদেশের মাটিতে বসে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীকে শত্রু বানাতে চায়। এটি নিছক অপরাধ নয়, রাষ্ট্রদ্রোহ। তাই তাদের রাষ্ট্রীয়ভাবে ‘সন্ত্রাসী ও দেশদ্রোহী’ ঘোষণা করে নির্মূল করা এখন সময়ের দাবি।

খেলাফত মজলিসের নেতারা বলেন, আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি—পাহাড়ে সেনা মোতায়েন ও বিজিবির তৎপরতা আরও জোরদার করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনায় দ্রুত ও স্বচ্ছ বিচার নিশ্চিত করতে হবে। ভারতের মদদে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সব ধরনের নাশকতা কঠোর হাতে দমন করতে হবে। পাহাড়ে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সেনাবাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। পাহাড়ি ও বাঙালি—উভয় জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে হবে ।

নেতারা আরও বলেন, আমরা সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ বাহিনীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই এবং তাদের ধৈর্য, সংযম ও ত্যাগের প্রশংসা করি। সেনা–বিজিবির ওপর আঘাত মানে বাংলাদেশের ওপর আঘাত। দেশ ও জনগণের নিরাপত্তা রক্ষায় ভারতের মদদপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চিরতরে দমন করতে হবে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত