আলোচনা সভায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়

নির্বাচন ছাড়া অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ প্রকাশ সন্দেহজনক

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৪৭

একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়ার পরিবর্তে অন্য বিষয়ে সরকারের বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

বিজ্ঞাপন

শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ১৭ বছর ধরে মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধীকার ফিরে পাওয়ার জন্য রক্ত দিয়েছে। একটি সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া ছাড়া বর্তমান সরকারের অন্য কিছুতে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করা সন্দেহজনক। জনগণের মধ্যে এখন এক ধরনের অবিশ্বাস ও অনাস্থার সৃষ্টি হচ্ছে। ষড়যন্ত্র থাকবে, এটা রাজনীতিরই চরিত্র। রাজনৈতিক সমাধান রাজনৈতিক ব্যক্তিদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া ভালো।

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, দেশের জনগণ কখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে না। জনগণ কিন্তু আমাদের চাইতে বেশি বুঝে। এখন জনগণ কি চাইছে, সেটা অন্তর্বর্তী সরকার বুঝতে চাইছে না। দেশের তরুণ সমাজ কেন বিদেশে পাড়ি দিতে চায়? কারণ আমরা দেশটাকে বসবাসের উপযুক্ত করে গড়ে তুলতে পারিনি। দেশে ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। অথচ এটা জনগণের মৌলিক অধিকার।

তিনি বলেন, একবার প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আমাদের ডেকে নিয়েছিলেন। আমরা গিয়ে দেখি তিনি অস্থিরভাবে পায়চারী করছেন। তখন আমরা জিজ্ঞেস করলাম আপনার কি হয়েছে? তখন তিনি বললেন, বলো তো আমার পরিবারের লোকসংখ্যা কয়জন? তখন আমরা বললাম আপনি,ম্যাডাম আর দুই ছেলে। আপনি কি তাদের নিয়ে চিন্তিত রয়েছেন? তখন জিয়াউর রহমান বললেন, আমার পরিবার এতোটা ছোট হলে তো আর চিন্তা করতাম না। কারণ আমার পরিবারের লোকসংখ্যা হলো ১০ কোটি। সেখান থেকেই আমরা বুঝতে পারি তিনি দেশের মানুষকে নিজের পরিবারের মানুষ হিসেবে মনে করতেন, তাদের নিয়ে ভাবতেন-চিন্তা করতেন।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, সংস্কার একটি চলমা প্রক্রিয়া, এটা নিয়ে সমালোচনা করার কিছু নেই। আমরাও যে ৩২ দফা দিয়েছে, সেটা যে ৩২ দিনেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে, তা নয়। কিন্তু সে সংস্কারের সূচনা তো করতে হবে। কোনো কাজ যদি শুরু করা হয়, তার শেষ করার লোক কিন্তু চলে আসবে। এক সরকার আসবে, আরেক সরকার যাবে, এটাই নিয়ম। তাই বলে কাজ আগাবে না, তার তো কোনো যৌক্তিকতা নেই।

সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার এনামুল হক এনাম, স্বাধীন বাংলা মাদক বিরোধী কল্যাণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সেলিম নিজামী, সিনিয়রসহ সভাপতি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত