বিএনপি ও জামায়াতকে আওয়ামী ভোটব্যাংকের নয় বরং সীমান্ত হত্যা বন্ধের রাজনীতি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় যুবশক্তির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তারিকুল ইসলাম।
বুধবার রাতে রাজধানীতে সীমান্ত হত্যার প্রতিবাদে যুবশক্তির মশাল মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় তিনি এ আহ্বান জানান।
তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপি জামায়াতকে আওয়ামী ভোটব্যাংকের নয় বরং সীমান্ত হত্যা বন্ধের রাজনীতি করতে হবে। ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের পাখির মতো গুলি করে মেরেছে। স্বৈরাচারী হাসিনা তার প্রতিবাদে কিছুই করে নেই। আমরা ফেলানীকে কাঁটাতারে ঝুলে থাকতে দেখেছি। তার বিচার আজও হয় নাই। ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে খুনি হাসিনা ভারত পালিয়ে গিয়ে প্রমাণ করেছে, তার মদদেই সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যা করা হতো। ইনটেরিম সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান খুনি হাসিনার বিচারের পাশাপাশি সীমান্ত হত্যার বিচার করতে হবে এবং কূটনৈতিক উপায়ে সীমান্ত হত্যা বন্ধ করতে হবে।
সীমান্ত হত্যা বন্ধ না হলে বাংলার জনগণ এর কড়া জবাব দিবে বলে হুঁশিয়ার করেন যুবশক্তির আহ্বায়ক।
যুবশক্তির সদস্য সচিব ডা. জাহেদুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় বাহিনী কর্তৃক প্রতিনিয়ত বাংলাদেশী হত্যার বিচার চেয়ে বাংলাদেশের উচিত আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করা।’ দলটির মুখ্য সংগঠক ইঞ্জিনিয়ার ফরহাদ সোহেল বলেন, ‘রাজনীতিবীদ যদি সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যবস্থা না করতে পারে কিংবা কূটনৈতিক উপায় ব্যর্থ হয় তাহলে বাংলার সাধারণ জনগণ সীমান্ত হত্যা বন্ধের ব্যবস্থা করবে। যেভাবে ভারতের দোসর পলাতক খুনি আওয়ামীলীগের বিচার করেছে সেভাবে তারা ভারতীয় আগ্রাসনের বিচার করবে।

