স্টাফ রিপোর্টার
জুলাই ঘোষণাপত্রে উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের কথা বলা হলেও এই ভূখণ্ডের মানুষের লড়াইয়ের অন্যতম রেফারেন্স পয়েন্ট ৪৭ এবং বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অবতীর্ণ অনুপস্থিত বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেইসঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলার গণহত্যা, জুডিশিয়াল কিলিং, ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন এবং মোদী বিরোধী আন্দোলনের কথা জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হলে পরিপূর্ণ হতো বলে মনে করে দলটি।
বুধবার বেলা১২টার দিকে বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এনসিপির পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আখতার হোসেন বলেন, এই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রায় এক হাজার শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের রিপোর্টে ১৪ শত শহীদ হয়েছে এই সংখ্যা আমরা সবাই জানি। সেক্ষেত্রে সরকার যে শহীদ ও আহতদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে তার ছাপ আমরা এই ঘোষণাপত্রের মধ্যে দেখতে পেলাম বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের হাজারো শহীদদের, যাদের রক্তের বিনিময়ে এক নতুন বাংলাদেশে এক বছর পূর্তির পরে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নকে জারি রাখতে পেরেছি। একই সাথে আমাদের সকল আহত এবং এখনো যারা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বহুল আকাঙ্ক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা সরকারের এই আকাঙ্ক্ষিত সাধুবাদ জানাই এবং একই সাথে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং তার ভিতরগত বিষয় নিয়ে আমরা যে দীর্ঘ সময় পর্যালোচনা করেছি, একইসাথে এই জুলাই ঘোষণাপত্রে আরও কিছু বিষয় উল্লেখ থাকলে এই ঘোষণাপত্র আরও পরিপূর্ণ হতো বলে আমাদের মনে হয়।
বাংলাদেশ এবং এই আকাঙ্ক্ষিত সার্বভৌম রাষ্ট্র পাওয়ার পেছনে ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর জাগরণ, তার সকল কিছুর সম্মিলন জুলাই ঘোষণাপত্রে সংযুক্ত করা যেতো বলে মন্তব্য করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষেরা আরো অসংখ্য আন্দোলন করেছে কিন্তু ইতিহাসের এই পরতে যে ঘটনাগুলো আমাদের জাতীয় জীবনে আকাঙ্ক্ষিত ছাপ রেখে গেছে তা উল্লেখ থাকলে আমাদের জাতির জন্য গর্বের বিষয় হতে পারত এবং ইতিহাসের স্বীকৃতির অর্জন করতে সক্ষম হতাম।
আখতার হোসেন বলেন, এই ঘোষণাপত্রের ২৫ এবং ২৭ নাম্বার পয়েন্টে সামনে আয়োজিত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলের মধ্যে ঘোষণাপত্রকে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। এনসিপি দীর্ঘ সময় ধরে নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়ে আসছি। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সংবিধান পুনরায় লিখনের মাধ্যমে এই ঘোষণাপত্র নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনার মধ্যে যুক্ত করার দাবি করেছি কিন্তু পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংবিধানে সংযুক্ত করার কথা বলে আমাদের দাবি করা নতুন সংবিধান, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও তিন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, সালেহ উদ্দিন সিফাতসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
জুলাই ঘোষণাপত্রে উপনিবেশবিরোধী লড়াইয়ের কথা বলা হলেও এই ভূখণ্ডের মানুষের লড়াইয়ের অন্যতম রেফারেন্স পয়েন্ট ৪৭ এবং বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মানুষের আন্দোলন-সংগ্রামে অবতীর্ণ অনুপস্থিত বলে মনে করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। সেইসঙ্গে পিলখানা হত্যাকাণ্ড, শাপলার গণহত্যা, জুডিশিয়াল কিলিং, ভ্যাট বিরোধী আন্দোলন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার ও নিরাপদ সড়ক আন্দোলন, আবরার ফাহাদ হত্যার বিরুদ্ধে আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন এবং মোদী বিরোধী আন্দোলনের কথা জুলাই ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করা হলে পরিপূর্ণ হতো বলে মনে করে দলটি।
বুধবার বেলা১২টার দিকে বাংলামোটরে এনসিপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন। এনসিপির পক্ষ থেকে জুলাই ঘোষণাপত্র ও প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
আখতার হোসেন বলেন, এই ঘোষণাপত্রে শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রায় এক হাজার শব্দটি ব্যবহার করা হয়েছে। অথচ জাতিসংঘের রিপোর্টে ১৪ শত শহীদ হয়েছে এই সংখ্যা আমরা সবাই জানি। সেক্ষেত্রে সরকার যে শহীদ ও আহতদের প্রকৃত সংখ্যা নির্ণয় করতে ব্যর্থ হয়েছে তার ছাপ আমরা এই ঘোষণাপত্রের মধ্যে দেখতে পেলাম বলে তিনি অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আমরা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমাদের হাজারো শহীদদের, যাদের রক্তের বিনিময়ে এক নতুন বাংলাদেশে এক বছর পূর্তির পরে আমরা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নকে জারি রাখতে পেরেছি। একই সাথে আমাদের সকল আহত এবং এখনো যারা হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে তাদের আশু সুস্থতা কামনা করছি। গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তিতে বহুল আকাঙ্ক্ষিত জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন হয়েছে। আমরা সরকারের এই আকাঙ্ক্ষিত সাধুবাদ জানাই এবং একই সাথে জুলাই ঘোষণাপত্র এবং তার ভিতরগত বিষয় নিয়ে আমরা যে দীর্ঘ সময় পর্যালোচনা করেছি, একইসাথে এই জুলাই ঘোষণাপত্রে আরও কিছু বিষয় উল্লেখ থাকলে এই ঘোষণাপত্র আরও পরিপূর্ণ হতো বলে আমাদের মনে হয়।
বাংলাদেশ এবং এই আকাঙ্ক্ষিত সার্বভৌম রাষ্ট্র পাওয়ার পেছনে ৪৭, ৭১ ও ২৪ এর জাগরণ, তার সকল কিছুর সম্মিলন জুলাই ঘোষণাপত্রে সংযুক্ত করা যেতো বলে মন্তব্য করেন আখতার হোসেন। তিনি বলেন, গত ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষেরা আরো অসংখ্য আন্দোলন করেছে কিন্তু ইতিহাসের এই পরতে যে ঘটনাগুলো আমাদের জাতীয় জীবনে আকাঙ্ক্ষিত ছাপ রেখে গেছে তা উল্লেখ থাকলে আমাদের জাতির জন্য গর্বের বিষয় হতে পারত এবং ইতিহাসের স্বীকৃতির অর্জন করতে সক্ষম হতাম।
আখতার হোসেন বলেন, এই ঘোষণাপত্রের ২৫ এবং ২৭ নাম্বার পয়েন্টে সামনে আয়োজিত নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নির্বাচিত সরকারের সংস্কারকৃত সংবিধানের তফসিলের মধ্যে ঘোষণাপত্রকে উল্লেখ করার কথা বলা হয়েছে। এনসিপি দীর্ঘ সময় ধরে নতুন সংবিধানের দাবি জানিয়ে আসছি। গণপরিষদ নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে নতুন সংবিধান পুনরায় লিখনের মাধ্যমে এই ঘোষণাপত্র নতুন সংবিধানের প্রস্তাবনার মধ্যে যুক্ত করার দাবি করেছি কিন্তু পরবর্তী নির্বাচিত সরকারের সংবিধানে সংযুক্ত করার কথা বলে আমাদের দাবি করা নতুন সংবিধান, গণপরিষদ নির্বাচনের দাবিকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও তিন অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, জাবেদ রাসিন, যুগ্ম সদস্য সচিব মিরাজুল ইসলাম মিরাজ, আলাউদ্দিন মোহাম্মদ, সালেহ উদ্দিন সিফাতসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
পরে অন্য সিনিয়র রিপোর্টারদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এ্যানি। এ সময় আমার দেশ-এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক জাহেদ চৌধুরী, বার্তা সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন, ভারপ্রাপ্ত চিফ রিপোর্টার বাছির জামাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১ ঘণ্টা আগেসৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটি সংবিধান নয়, একটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট যেটা কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে দেওয়ার এখতিয়ার রাখে।
২ ঘণ্টা আগেনাহিদ ইসলাম বলেন, “বড় রাজনৈতিক দল হিসেবে যারা পরিচিত তারা নিজেদের মধ্যে প্রশাসন, এসপি-ডিসি এগুলো ভাগ বাটোয়ারা করছে এবং নির্বাচনে জন্য তারা যে তালিকা করছে, সরকারকে সেগুলো দিচ্ছে এবং উপদেষ্টা পরিষদের ভেতর থেকেও সেই দলগুলোর সাথে সেভাবে সহায়তা করছে”।
২ ঘণ্টা আগেরাশেদ খান তার পোস্টে বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনভাবেই নিরপেক্ষতার পরিচয় দিতে পারেনি। কোন কোন দলকে সুবিধা দিয়ে ম্যানেজ করে চলেছে। স্বজনপ্রীতিবাজ এসব উপদেষ্টারা কতোটুকু নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে পারবে, সেটি নিয়ে সংশয় ও সন্দেহ আছে।
৩ ঘণ্টা আগে