ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে বিজেএমসির ২৫টি জুট মিল বন্ধ হয়ে গেছে। পাশাপাশি এই সকল জুট মিলের সম্পদ বিভিন্নভাবে এখনও লুটপাট হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করে জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দল।
বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাঈদ আল নোমান বলেন, সরকারের সবচেয়ে পুরাতন মন্ত্রণালয় হচ্ছে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়। বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) আওতায় ২৫টি মিল চালু ছিল। কিন্তু, পতিত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকার বিশ্বের পাটজাত পণ্যের বাজার ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন কর্তৃক পরিচালিত ২৫টি জুট মিল ২০২০ সালের ১ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়। এর ফলে মিলগুলোতে কর্মরত প্রায় লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারী চাকরি হারিয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সেই সঙ্গে এ শিল্পের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত ব্যবসায়ী, ঠিকাদার, দোকানদারসহ লক্ষ লক্ষ লোক কর্মসংস্থান হারিয়ে পথে বসেছে। এছাড়া, দেশকে প্রতি বছর বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হতে বঞ্চিত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে পতিত সরকার ও তাদের দোসররা মনগড়া পলিসি তৈরি করে বন্ধকৃত ১৩ থেকে ১৪টি পাটকল নামমাত্র মূল্যে ৩০ বছরের দীর্ঘমেয়াদে লিজ প্রদান করেছে। খুলনা, যশোর, নরসিংদী ও চট্টগ্রামের কয়েকটি মিলের লিজ প্রদানে মারাত্মক দুর্নীতি ও অনিয়ম করা হয়েছে। কোনো কোনো মিলের প্রথমবার টেন্ডারে লিজ মানি বেশি দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারণে সে প্রতিষ্ঠানকে লিজ না দিয়ে পরবর্তীতে অনেক কম লিজ মানিতে অন্য প্রতিষ্ঠানকে লিজ দেওয়া হয়েছে। এতে করে একদিকে সরকারি সম্পদ নষ্ট করা হয়েছে, অন্যদিকে কম লিজ মানির কারণে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে বস্ত্র ও পাট কারখানা বাঁচিয়ে রাখতে হবে। সোনালি আঁশের দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। আমরা এই পাটকে হারিয়ে যেতে দেব না। এটা নিয়ে বড় টাস্কফোর্স হওয়া প্রয়োজন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি আনোয়ার হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিম প্রমুখ।

