গণদাবি উপেক্ষার পরিণতি ভালো হয় না: ইসলামী আন্দোলন

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৫৫
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২৫, ১৯: ৫৮

জুলাই সনদের ৫ দফা দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় দফার কর্মসূচির অংশ হিসেবে শুক্রবার ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশেন সকল বিভাগীয় শহরে গণমিছিল করেছে ইসলামী আন্দোলন । দাবিগুলো হলো, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন, গণহত্যার বিচার, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা,ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিচার ও বিচারকালীন নিষিদ্ধকরণ।

দলীয় সূত্র জানায়, ঢাকায় বৃষ্টির জন্য আছরের পর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে মিছিল শুরু হয়ে পল্টন মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। এতে নেতৃত্ব দেন ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম। দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম ও মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমাদ, যুগ্মমহাসচিব মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ এবং মাওলানা ইমতেয়াজ আলম সহ সহ শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

পরে সমাবেশে বক্তারা বলেন, দেশের এতোগুলো রাজনৈতিক সংগঠন ধারাবাহিকভাবে রাজপথে আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু আজ অবধি সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে কোন উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। অথচ আমাদের দাবির যৌক্তিকতা সুস্পষ্ট। যারা আমাদের সন্তানদের হত্যা করে, যারা সেই হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করেছে তাদের বিচারের মতো মৌলিক দাবি নিয়ে আমরা রাজপথে আন্দোলন করছি।

তারা বলেন, জুলাইয়ের রক্তের চাহিদা ছিলো দেশ থেকে স্বৈরতন্ত্রকে চিরস্থায়ী বিলোপের ব্যবস্থা করা। জনতার সেই চাওয়া পূরণের জন্যই আমরা পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব করছি যাতে কোনদিনই দেশে স্বৈরতন্ত্র ফিরে না আসতে পারে। এসব দাবির প্রতি সরকারের উদাসীনতা গ্রহণযোগ্য না। গণদাবি উপেক্ষার পরিণতি কখনো ভাল হয় না। তাই পিআর সহ ৫ দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহবান জানান বক্তারা।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত