সার্বভৌমত্ব সচেতন ছাত্রসমাজ

ভারতের ইন্ধনে ক্যাম্পাসে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ষড়যন্ত্র’ পরিচালিত হচ্ছে

প্রতিনিধি, ঢাবি
প্রকাশ : ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮: ৪৮

বিদেশি এনজিও ও ভারতের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী ষড়যন্ত্র’ পরিচালিত হচ্ছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য গুরুতর হুমকি বলে দাবি করেছেন সার্বভৌমত্ব সচেতন ছাত্রসমাজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘রাষ্ট্রবিরোধী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী আদিবাসী প্রচারণা’ চালানোর অভিযোগ এনে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের প্রার্থীতা বাতিল, ছাত্রত্ব খারিজ এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সার্বভৌমত্ব সচেতন ছাত্রসমাজ।

বিজ্ঞাপন

রোববার রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের প্রধান ফটকের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উত্থাপন করা হয়। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থোয়াই চিং মং চাক, পাইশিখই মারমা ও শাকিল মিয়া লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, ডাকসু নির্বাচনকে ঘিরে ক্যাম্পাসে কিছু প্রার্থী পরিকল্পিতভাবে ‘আদিবাসী’ শব্দকে সামনে এনে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করার প্রচারণা চালাচ্ছে। তারা দাবি করেন, কথিত ‘জুম্মল্যান্ড’ গঠন কিংবা ভারতের সঙ্গে যুক্ত করার ষড়যন্ত্রে বিদেশি শক্তির পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামের সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ জড়িত।

তাদের ভাষ্যে, “এই ধরনের কার্যকলাপ বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা ও স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ না নেয়, তবে ক্যাম্পাসসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা ঝুঁকিতে পড়বে।”

বক্তারা আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের প্রায় ৯৯ শতাংশ মানুষ বাঙালি। এর বাইরে প্রায় ০.৫০ শতাংশ মানুষ বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত হলেও, বিদেশি চাহিদায় ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করা রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডের শামিল। তাদের দাবি, এ ধরনের শব্দ ব্যবহারকারীদের অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনা উচিত।

সংগঠনটি আরও অভিযোগ করে, ডাকসু নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী কয়েকজন প্রার্থী ইউপিডিএফের অর্থায়ন ও নেটওয়ার্কের সঙ্গে জড়িত। একই সঙ্গে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের ছাত্রনেতা মেঘমল্লার বসুর বিরুদ্ধে ভারতীয় আধিপত্যবাদী প্রচারণার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষক বা ছাত্র যদি রাষ্ট্রদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী ‘আদিবাসী’ শব্দ ব্যবহার করে প্রচারণা চালায়, তবে তাদের তাৎক্ষণিকভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিতে হবে।”

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ থোয়াই চিং মং চাক, পাইশিখই মারমা, শাকিল মিয়া ও মোহাম্মদ রিয়াদুল হাসান প্রমুখ।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত