বিদেশে আ.লীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনা কেন বাড়ছে

আমার দেশ অনলাইন
প্রকাশ : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ১৭
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ২২

অল্প সময়ের ব্যবধানে বিদেশে রাজনৈতিক হেনস্তা বা অপদস্ত করার কয়েকটি ঘটনা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জেএফকে বিমানবন্দরের পর এবার হোটেলে জাতীয় নাগরিক পার্টি- এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেনের ওপর হামলার চেষ্টা করে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।

বিবিসি বাংলার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সভায় যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে গেছেন। তার সফরসঙ্গী হয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের নায়েব আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহেরসহ তিনটি দলের পাঁচজন রাজনীতিক।

বিজ্ঞাপন

অধ্যাপক ইউনূসের সফরের বিরোধিতা করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা নিউ ইয়র্কে কর্মসূচি নিয়েছিল, এর পাল্টা কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।

তবে নিউ ইয়র্কে বিমানবন্দরে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি থেকে প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেনের পিঠে ডিম নিক্ষেপ করা হয়। যে ঘটনায় বাংলাদেশের রাজনীতির উত্তাপ ছড়ায় নিউ ইয়র্কে।

এর অল্প কিছুদিন আগে সেপ্টেম্বর মাসেই অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের ওপর নিউ ইয়র্কে আক্রমণের চেষ্টার অভিযোগ ওঠে।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাহফুজ আলম লন্ডন সফরে যান। সেখানেও তার ওপর আক্রমণের চেষ্টা বা হেনস্তা করার অভিযোগ ওঠে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এই দুটি ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক মাধ্যমে।

এর আগে গত জুলাই মাসে সুইজারল্যান্ডে সফরে গিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল হেনস্তার শিকার হন। একটা ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এ ঘটনাগুলো ঘটেছে।

জুলাই গণ-অভ্যত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে দলটি ইউরোপ, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে আওয়ামী লীগের ব্যানারে তৎপরতা বাড়িয়েছে।

তাদের ক্ষোভ মূলত তাদের শাসনের পতনের আন্দোলনের নেতৃত্ব ও অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর। আর সে কারণে সরকারের উপদেষ্টারা কোনো দেশে সফরে গেলে সেই দেশে আওয়ামী লীগের ব্যানারে কর্মসূচি নিয়ে প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে।

তবে বিদেশে দলের ব্যানারে ক্ষোভ প্রকাশ বা প্রতিবাদের ঘটনা নতুন নয় বলে বিশ্লেষকেরা বলছেন।

এর আগে আওয়ামী লীগের শাসনের সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমেরিকা, ইউরোপসহ যেখানেই সফরে গেছেন, বিএনপির সমর্থকেরা তাদের দলের ব্যানারে সেই সফরের প্রতিবাদ করেছেন। তখন আওয়ামী লীগও পাল্টা স্বাগত জানানোর কর্মসূচ পালন করতো।

আরো পিছনে গেলে দেখা যায়, বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বিদেশ সফরে গেলে তখন সেই দেশে আওয়ামী লীগ প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছে।

অতীতেও স্বাগত জানানো, অন্যদিকে প্রতিবাদ-পাল্টাপাল্ট কর্মসূচি ছিল।

এখন আওয়ামী লীগের দিক থেকে মাত্রাটা বেড়েছে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের ভেতরে কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় আওয়ামী লীগ বিদেশে বেশি সক্রিয় হয়েছে। সেজন্য প্রতিপক্ষ কেউ কোনো দেশে সফরে গেলেই আওয়ামী লীগ সেখানে কর্মসূচি নিচ্ছে, যা চোখে পড়ছে।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত