ওলামা দলের কর্মসূচিতে রিজভী

নভেম্বরে গণভোটের দাবি কোনো দলের মাস্টারপ্ল্যান কিনা জনমনে প্রশ্ন আছে

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৪৯
আপডেট : ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৫১

জাতীয় নির্বাচনের দিন একসাথে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট এবং সাধারণ নির্বাচনের ভোট ' হওয়ার বিষয়ে অধিকাংশ দল গুলো একমত, কিন্তু তার আগে নভেম্বরে গণভোটের দাবিটি কয়েকটি দলের মাস্টারপ্ল্যান কিনা, এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে' এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার রাজধানীর প্রেসক্লাবে 'ধর্ম অবমাননা'রে প্রতিবাদে জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের এই কর্মসূচির তিনি এসব কথা বলেন।

রিজভী বলেন, জামায়াত নেতারা যে জুডিশিয়াল কিলিং শিকার হলো, সে বিষয়ে কথা বলে না। অথচ অন্য রাজনৈতিক দল, যাদের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে, তাদের বিরুদ্ধে কুৎসা রটনার এই কাজগুলো করছেন। এবং দুঃখজনক, তাদের ( জামায়াত) কিছু ছেলেপেলে দিয়ে অনলাইনে প্রযুক্তি ব্যবহার করে মিথ্যাচার, কটূক্তি, কুরুচিপূর্ণ কথা লাগামহীনভাবে বলে যাচ্ছে। মওদুদীবাদী ইসলাম এ দেশের জনগণ কখনো গ্রহণ করবে না।

জামায়াতের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অত্যন্ত সতর্ক হয়ে কথা বলুন, পরিমাপ করে কথা বলুন, যাতে বাংলাদেশের মানুষের মন থেকে মুছে না যান। একবার আপনাদের কৃতকর্ম হয়তো মানুষ ভুলে না গেলেও কিছু মনে করছে, সেটি ৭১ এর ঘটনা।

গণতন্ত্রের কথা বললেও জামায়াতে গণতন্ত্রের লেজমাত্র নেই এমন মন্তব্য করে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, অধিকাংশ দল একমত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য একদিনে গণভোট, জাতীয় নির্বাচন। কিন্তু কয়েকটি ইসলামী দল আবার নভেম্বরে চাচ্ছে। বিষয় হচ্ছে,যদি নভেম্বরে গণভোট করেন,এইটার জন্য যে প্রস্তুতি,তাহলে জাতীয় নির্বাচন সংসদ নির্বাচন তার জন্য প্রস্তুতি, এটা তো এক ধরনের বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। কোনটা শেষ করে কোনটা করবে। সময় তো বেশি নেই। যদি নভেম্বরে পিআর করেন তাহলে একেবারে কোরবানি ঈদের পরে নির্বাচন দিতে হবে। আমার মনে হচ্ছে, এ দলগুলোর অন্য কোন মাস্টার প্ল্যান আছে কিনা? একটা বিশৃঙ্খল তৈরি করা,এটা জনমনে একটা বিভ্রান্তি তৈরি করাটা কেন? এই প্রশ্ন তো আজকে মানুষের মনে ঘুরফাক কাছে।

২০০৮ সালের নির্বাচনে বিএনপির যেতে চায়নি, কিন্তু জামায়াতের চাপ দিয়ে যেতে বাধ্য করেছিল। ফলাফল কি? তাদের শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হলো '।

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত