হাফেজ মাওলানা মুফতী রাশেদুর রহমান
বাংলাদেশের হৃদয় আজ বিদীর্ণ। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রিয়জনদের হারানো, বিশেষত মাইলস্টোন স্কুলের মতো নিরাপদ আশ্রয়ে শিশুদের অসহনীয় মৃত্যু এবং আরো অনেক শিশুর হাসপাতালে কাতরাতে থাকা এক গভীর শোক ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসলামের কিছু নির্দেশনা তুলে ধরছি—
আগুনে পোড়া মৃত ব্যক্তিদের জন্য শহীদের মর্যাদা
শহীদ মূলত তারা যারা আল্লাহর বাণীকে বুলন্দ করার জন্য জিহাদের ময়দানে কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন। আর তাদের সম্পর্কেই কোরআনের ঘোষণা—‘আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা তাদের রবের কাছে জীবিত; তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৬৯)। এই আয়াত সরাসরি জিহাদে মৃতদের শহীদ বললেও হাদিসে মর্যাদাগতভাবে আরো কিছু ব্যক্তিকে শহীদ বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে আগুনে পুড়ে মারা গেল, সেও শহীদ।’ (ইবনে মাজা : ২৮০৩)। সুতরাং এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষ ও শিশু ইসলামের দৃষ্টিতে শাহাদাতের মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহর রহমতে তারা জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।
সন্তানহারা বাবা-মায়ের জন্য জান্নাত
শিশুরা ফিতরাতের (স্বভাবধর্ম ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। তাদের পাপের বোঝা নেই। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি শিশুই ফিতরাতের ওপর জন্মগ্রহণ করে।’ (বোখারি : ১৩৮৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন কোনো বান্দার সন্তান মারা যায়, তখন মহান আল্লাহ স্বীয় ফেরেশতাদের বলেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবজ করেছ? তাঁরা বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তোমরা তার হৃদয়ের ধনকে নিয়ে এসেছ? তাঁরা বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, সে সময় আমার বান্দা কী বলেছে? তাঁরা বলেন, সে আপনার হামদ (প্রশংসা) করেছে এবং বলেছে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, অর্থাৎ আমরা তোমার এবং তোমার কাছে অবশ্যই ফিরে যাব। মহান আল্লাহ বলেন, আমার (সন্তানহারা) বান্দার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ করো, আর তার নাম রাখো, ‘বায়তুল হামদ’ (প্রশংসাভবন)। (তিরমিজি : ১০২১)। মাইলস্টোন স্কুলের সেই নিষ্পাপ শিশুদের বাবা-মা সবর করলে ইনশাআল্লাহ এই জান্নাতের বাসিন্দা হবেন।
জীবিতদের জন্য সান্ত্বনা ও দায়িত্ব
এই বেদনায় আক্রান্ত পরিবারগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ধৈর্য ধারণ করা এবং এ বিশ্বাস রাখা যে, মৃতরা শাহাদাতের মর্যাদায় সম্মানিত। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও, যারা বিপদ আপতিত হলে বলে, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ (নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব)।’ (সুরা আল-বাকারাহ : ১৫৫-১৫৬)। এই আয়াতের পরের আয়াতে (১৫৭) এসব ধৈর্যশীলদের ওপর আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি আছে। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কেবল ধৈর্যশীলদেরই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেওয়া হবে কোনো হিসাব ছাড়াই।’ (সুরা জুমার : ১০)
তাছাড়া শিশুরা হবে তাদের অভিভাবকের জন্য অগ্রে প্রেরিত, অগ্রগামী এবং উত্তম বিনিময় লাভের কারণ। (বোখারি : ১২৫৪)
দায়বদ্ধতা ও প্রতিকার
শাহাদাতের মর্যাদা মৃত্যুর কারণকে উপেক্ষা করার অনুমতি দেয় না। এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সবার জন্য এক ভয়াবহ সতর্কবাণী। ইসলাম নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের সতর্কতা অবলম্বন করো।’ (সুরা নিসা : ৭১)। এই আয়াত প্রতিটি অবহেলা, অসতর্কতা, নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থতা এবং দায়িত্বহীনতা থেকে আমাদের বেঁচে থাকার নির্দেশ দেয়। জীবিতদের জন্য অপরিহার্য দায়িত্ব হলো, এ ধরনের ট্র্যাজেডি যেন আর কখনো না ঘটে, তার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো, দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করা এবং সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
আমাদের যা করণীয়
কোরআন বলে, প্রতিটি ঘটনার মূল কারণ হলো আমাদের পাপ। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে-স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যাতে তিনি তাদের তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ থেকে) ফিরে আসে। (সুরা রুম : ৪১)। শিশুরা আমাদের কাছে আমানত হিসেবে আসে বৈবাহিক পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে। সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারের মতো অশ্লীলতা শিশুর আগমন বন্ধ করে। ভবিষ্যৎ শিশু আগমনের পথ বন্ধ করে দিয়ে কেবল বর্তমান শিশুদের নিয়েই ব্যস্ত থাকব—এ বিষয়ে হয়তো আল্লাহতায়ালা সতর্ক করতে চান। তাই দেশের অভিভাবকদের এবং পাশাপাশি অন্যদেরও ভাবা উচিত, সমস্যার উৎস কোথায় এবং গুনাহ থেকে তওবা করা উচিত।
আমরা আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি, তিনি যেন এই শাহাদাতের মর্যাদাপ্রাপ্ত সব মৃত ব্যক্তিকে, বিশেষ করে নিষ্পাপ শিশুদের জান্নাতুল ফেরদাউসে সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। যারা শোকাহত, তাদের অপরিমেয় ধৈর্য ও সান্ত্বনা দান করেন। পাশাপাশি গাজার শিশুদেরও না ভুলি, যারা প্রতিনিয়ত জ্বলন, ক্ষুধা ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশের বেদনা আমাদের সমাজকে জাগ্রত করুক। যেন প্রতিটি দেশ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ঘর ও প্রতিটি রাস্তা মানুষের জীবন এবং নিরাপত্তার জন্য প্রকৃতপক্ষে নিরাপদ হয়। এই ত্যাগ যেন আমাদের সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতার নতুন মাইলস্টোন হোক। আমিন।
লেখক : সিনিয়র পেশ ইমাম ও খতিব, বুয়েট সেন্ট্রাল মসজিদ
বাংলাদেশের হৃদয় আজ বিদীর্ণ। অগ্নিদগ্ধ হয়ে প্রিয়জনদের হারানো, বিশেষত মাইলস্টোন স্কুলের মতো নিরাপদ আশ্রয়ে শিশুদের অসহনীয় মৃত্যু এবং আরো অনেক শিশুর হাসপাতালে কাতরাতে থাকা এক গভীর শোক ও প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রেক্ষাপটে ইসলামের কিছু নির্দেশনা তুলে ধরছি—
আগুনে পোড়া মৃত ব্যক্তিদের জন্য শহীদের মর্যাদা
শহীদ মূলত তারা যারা আল্লাহর বাণীকে বুলন্দ করার জন্য জিহাদের ময়দানে কাফেরদের বিরুদ্ধে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন। আর তাদের সম্পর্কেই কোরআনের ঘোষণা—‘আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়, তাদের তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা তাদের রবের কাছে জীবিত; তাদের রিজিক দেওয়া হয়।’ (সুরা আলে ইমরান : ১৬৯)। এই আয়াত সরাসরি জিহাদে মৃতদের শহীদ বললেও হাদিসে মর্যাদাগতভাবে আরো কিছু ব্যক্তিকে শহীদ বলা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘যে আগুনে পুড়ে মারা গেল, সেও শহীদ।’ (ইবনে মাজা : ২৮০৩)। সুতরাং এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেক মুসলমান নারী-পুরুষ ও শিশু ইসলামের দৃষ্টিতে শাহাদাতের মর্যাদার অধিকারী। আল্লাহর রহমতে তারা জীবিত ও রিজিকপ্রাপ্ত।
সন্তানহারা বাবা-মায়ের জন্য জান্নাত
শিশুরা ফিতরাতের (স্বভাবধর্ম ইসলামের) ওপর জন্মগ্রহণ করে। তাদের পাপের বোঝা নেই। রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিটি শিশুই ফিতরাতের ওপর জন্মগ্রহণ করে।’ (বোখারি : ১৩৮৫)
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন কোনো বান্দার সন্তান মারা যায়, তখন মহান আল্লাহ স্বীয় ফেরেশতাদের বলেন, তোমরা আমার বান্দার সন্তানের জান কবজ করেছ? তাঁরা বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, তোমরা তার হৃদয়ের ধনকে নিয়ে এসেছ? তাঁরা বলেন, হ্যাঁ। তিনি বলেন, সে সময় আমার বান্দা কী বলেছে? তাঁরা বলেন, সে আপনার হামদ (প্রশংসা) করেছে এবং বলেছে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন, অর্থাৎ আমরা তোমার এবং তোমার কাছে অবশ্যই ফিরে যাব। মহান আল্লাহ বলেন, আমার (সন্তানহারা) বান্দার জন্য জান্নাতের মধ্যে একটি গৃহ নির্মাণ করো, আর তার নাম রাখো, ‘বায়তুল হামদ’ (প্রশংসাভবন)। (তিরমিজি : ১০২১)। মাইলস্টোন স্কুলের সেই নিষ্পাপ শিশুদের বাবা-মা সবর করলে ইনশাআল্লাহ এই জান্নাতের বাসিন্দা হবেন।
জীবিতদের জন্য সান্ত্বনা ও দায়িত্ব
এই বেদনায় আক্রান্ত পরিবারগুলোর জন্য সবচেয়ে বড় বিষয় হলো ধৈর্য ধারণ করা এবং এ বিশ্বাস রাখা যে, মৃতরা শাহাদাতের মর্যাদায় সম্মানিত। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আর ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দাও, যারা বিপদ আপতিত হলে বলে, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।’ (নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং নিশ্চয়ই আমরা তাঁর কাছেই ফিরে যাব)।’ (সুরা আল-বাকারাহ : ১৫৫-১৫৬)। এই আয়াতের পরের আয়াতে (১৫৭) এসব ধৈর্যশীলদের ওপর আল্লাহর রহমত ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি আছে। অন্য আয়াতে বলা হয়েছে, ‘কেবল ধৈর্যশীলদেরই তাদের প্রতিদান পূর্ণরূপে দেওয়া হবে কোনো হিসাব ছাড়াই।’ (সুরা জুমার : ১০)
তাছাড়া শিশুরা হবে তাদের অভিভাবকের জন্য অগ্রে প্রেরিত, অগ্রগামী এবং উত্তম বিনিময় লাভের কারণ। (বোখারি : ১২৫৪)
দায়বদ্ধতা ও প্রতিকার
শাহাদাতের মর্যাদা মৃত্যুর কারণকে উপেক্ষা করার অনুমতি দেয় না। এই মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের সবার জন্য এক ভয়াবহ সতর্কবাণী। ইসলাম নিরাপত্তা ও জীবন রক্ষাকে অগ্রাধিকার দেয়। আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মুমিনগণ, তোমরা তোমাদের সতর্কতা অবলম্বন করো।’ (সুরা নিসা : ৭১)। এই আয়াত প্রতিটি অবহেলা, অসতর্কতা, নিরাপত্তা বিধানে ব্যর্থতা এবং দায়িত্বহীনতা থেকে আমাদের বেঁচে থাকার নির্দেশ দেয়। জীবিতদের জন্য অপরিহার্য দায়িত্ব হলো, এ ধরনের ট্র্যাজেডি যেন আর কখনো না ঘটে, তার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালানো, দায়ীদের বিচার নিশ্চিত করা এবং সর্বত্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা।
আমাদের যা করণীয়
কোরআন বলে, প্রতিটি ঘটনার মূল কারণ হলো আমাদের পাপ। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, মানুষের কৃতকর্মের কারণে জলে-স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যাতে তিনি তাদের তাদের কোনো কোনো কাজের শাস্তি আস্বাদন করান, যাতে তারা (অসৎ পথ থেকে) ফিরে আসে। (সুরা রুম : ৪১)। শিশুরা আমাদের কাছে আমানত হিসেবে আসে বৈবাহিক পবিত্র বন্ধনের মাধ্যমে। সমকামিতা ও ট্রান্সজেন্ডারের মতো অশ্লীলতা শিশুর আগমন বন্ধ করে। ভবিষ্যৎ শিশু আগমনের পথ বন্ধ করে দিয়ে কেবল বর্তমান শিশুদের নিয়েই ব্যস্ত থাকব—এ বিষয়ে হয়তো আল্লাহতায়ালা সতর্ক করতে চান। তাই দেশের অভিভাবকদের এবং পাশাপাশি অন্যদেরও ভাবা উচিত, সমস্যার উৎস কোথায় এবং গুনাহ থেকে তওবা করা উচিত।
আমরা আল্লাহর দরবারে মোনাজাত করি, তিনি যেন এই শাহাদাতের মর্যাদাপ্রাপ্ত সব মৃত ব্যক্তিকে, বিশেষ করে নিষ্পাপ শিশুদের জান্নাতুল ফেরদাউসে সর্বোচ্চ স্থান দান করেন। যারা শোকাহত, তাদের অপরিমেয় ধৈর্য ও সান্ত্বনা দান করেন। পাশাপাশি গাজার শিশুদেরও না ভুলি, যারা প্রতিনিয়ত জ্বলন, ক্ষুধা ও নিপীড়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশসহ সব মুসলিম দেশের বেদনা আমাদের সমাজকে জাগ্রত করুক। যেন প্রতিটি দেশ, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, প্রতিটি ঘর ও প্রতিটি রাস্তা মানুষের জীবন এবং নিরাপত্তার জন্য প্রকৃতপক্ষে নিরাপদ হয়। এই ত্যাগ যেন আমাদের সচেতনতা, দায়িত্বশীলতা ও মানবিকতার নতুন মাইলস্টোন হোক। আমিন।
লেখক : সিনিয়র পেশ ইমাম ও খতিব, বুয়েট সেন্ট্রাল মসজিদ
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৫ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৫ দিন আগে