
ধর্ম ডেস্ক

খবর জানা থেকে শুরু করে কেনাকাটা সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এসব প্ল্যাটফর্ম এখন আর শুধু মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম নয়। এগুলো হয়ে উঠেছে খবরের উৎস, বাজার–সদাইয়ের জায়গা, আবার নিজের পছন্দমতো ‘ডিজিটাল দুনিয়া’য় ডুবে থাকার একটি প্ল্যাটফর্মও।
গবেষণা বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৯০ শতাংশ মানুষ দু’ঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করেন। এতো বেশি তথ্যের ভিড়ে আমাদের চিন্তা, আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে যায় অজান্তেই। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন দায়িত্বশীল ব্যবহার।
স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার কার্যকর পরামর্শ
মনোযোগী ও সতর্ক থাকুন
বন্ধু, পরিচিত ও অচেনা মানুষের পোস্ট আমাদের ওপর মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে—ইর্ষা, দুঃখ বা বিরক্তি তৈরি করতে পারে। তাই নিজের মানসিক সুস্থতা রক্ষায় সচেতন থাকা জরুরি এবং আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি পড়তে পারেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি, ওয়া মিন শাররি বাসারি, ওয়া মিন সাররি লিসানি, ওয়া মিন সাররি ক্বালবি, ওয়া মিন সাররি মানিয়্যি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার কানের অপকারিতা, চোখের অপকারিতা, জবানের অপকারিতা, অন্তরের অপকারিতা এবং বীর্জের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ)
ইতিবাচক কনটেন্ট শেয়ার করুন
আমরা যা পোস্ট করি, তা অন্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগ বা গুজব ছড়ানোর পরিবর্তে ইতিবাচক, উপকারী এবং গঠনমূলক বিষয় শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পোস্ট করার আগে নেতিবাচক কিছু থেকে রক্ষা পেতে আরেকটি দোয়া পড়তে পারেন। দোয়াটি হলো—
أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لامَّةٍ
উচ্চারণ : উঈযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিন কুল্লি শায়ত্ব-নিউ অ হা-ম্মাহ, অমিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ।।
অর্থ : আমি তোমাদেরকে আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের অসীলায় প্রত্যেক শয়তান ও কষ্টদায়ক জন্তু হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকারক (বদ) নজর হতে আল্লাহর পানাহ দিচ্ছি। (বুখারি)
যাচাই-বাছাই করে তথ্য গ্রহণ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পোস্ট দেখলেই আমরা তা সত্য ধরে নিই। ছবি, স্ক্রিনশট বা নাটকীয় ভাষ্যের কিছু দেখে অনেকেই প্রতারিত হন, ভুল তথ্য ছড়ান কিংবা অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হন।
যে কোনো উত্তেজনাপূর্ণ বা ভাইরাল তথ্য দেখলে একটু থামুন। নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমে খোঁজ নিন। পরিচিত কেউ থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করুন।
ইসলামের শিক্ষাও ঠিক এটাই বলে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে। (সুরা আল–ইসরা, আয়াত :৩৬)
লক্ষ্য ঠিক রেখে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
ফিডে একের পর এক কনটেন্ট দেখতে গিয়ে সময় কোথায় চলে যায় আমরা তা টেরই পাই না। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়, কোন কাজের জন্য ডিভাইজ হাতে নিয়েছিলাম তা ভুলে যাই। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উদ্দেশ্য ঠিক করুন। যেমন—
এমন করলে সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই থাকবে।
বাস্তব জীবনকে সবসময় অনুভব করুন
সোশ্যাল মিডিয়া কখনোই বাস্তব জীবনের বিকল্প নয়। কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে গেছে। অনলাইন দুনিয়ায় ডুবে থাকার ফলে মানুষ বাস্তব জীবন ও নিজের আশপাশের মানুষদের থেকে কেমন যেন উদাসীন হয়ে গেছে। অথচ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা, সময় কাটানো আর সম্পর্ক রক্ষা—এসবই আসল জীবন। তাই নিয়মিত বিরতি নিন, ফোন সরিয়ে রাখুন এবং বর্তমান বাস্তবতা উপভোগ করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবন সহজ করেছে এটা সত্য। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকবে, না কি প্ল্যাটফর্ম আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে এটা ভাবার সময় এখনই। আমরা কেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি, কী উদ্দেশ্যে করি এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

খবর জানা থেকে শুরু করে কেনাকাটা সবকিছুই এখন হাতের মুঠোয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অপরিহার্য অংশে পরিণত হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। ফেসবুক, টিকটক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এসব প্ল্যাটফর্ম এখন আর শুধু মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার মাধ্যম নয়। এগুলো হয়ে উঠেছে খবরের উৎস, বাজার–সদাইয়ের জায়গা, আবার নিজের পছন্দমতো ‘ডিজিটাল দুনিয়া’য় ডুবে থাকার একটি প্ল্যাটফর্মও।
গবেষণা বলছে, প্রতিদিন গড়ে ৯০ শতাংশ মানুষ দু’ঘণ্টার বেশি সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যয় করেন। এতো বেশি তথ্যের ভিড়ে আমাদের চিন্তা, আচরণ ও দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে যায় অজান্তেই। এই পরিস্থিতিতে প্রয়োজন দায়িত্বশীল ব্যবহার।
স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেওয়ার কার্যকর পরামর্শ
মনোযোগী ও সতর্ক থাকুন
বন্ধু, পরিচিত ও অচেনা মানুষের পোস্ট আমাদের ওপর মানসিক প্রভাব ফেলতে পারে—ইর্ষা, দুঃখ বা বিরক্তি তৈরি করতে পারে। তাই নিজের মানসিক সুস্থতা রক্ষায় সচেতন থাকা জরুরি এবং আল্লাহর কাছে এই দোয়াটি পড়তে পারেন—
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ شَرِّ سَمْعِي وَمِنْ شَرِّ بَصَرِي وَمِنْ شَرِّ لِسَانِي وَمِنْ شَرِّ قَلْبِي وَمِنْ شَرِّ مَنِيِّي
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন শাররি সাময়ি, ওয়া মিন শাররি বাসারি, ওয়া মিন সাররি লিসানি, ওয়া মিন সাররি ক্বালবি, ওয়া মিন সাররি মানিয়্যি।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আমার কানের অপকারিতা, চোখের অপকারিতা, জবানের অপকারিতা, অন্তরের অপকারিতা এবং বীর্জের অপকারিতা থেকে আশ্রয় চাই। (আবু দাউদ)
ইতিবাচক কনটেন্ট শেয়ার করুন
আমরা যা পোস্ট করি, তা অন্যের ওপরও প্রভাব ফেলে। ব্যক্তিগত ক্ষোভ, রাগ বা গুজব ছড়ানোর পরিবর্তে ইতিবাচক, উপকারী এবং গঠনমূলক বিষয় শেয়ার করার আহ্বান জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পোস্ট করার আগে নেতিবাচক কিছু থেকে রক্ষা পেতে আরেকটি দোয়া পড়তে পারেন। দোয়াটি হলো—
أُعِيذُكُمَا بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لامَّةٍ
উচ্চারণ : উঈযুকুমা বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাহ, মিন কুল্লি শায়ত্ব-নিউ অ হা-ম্মাহ, অমিন কুল্লি আইনিল লা-ম্মাহ।।
অর্থ : আমি তোমাদেরকে আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীসমূহের অসীলায় প্রত্যেক শয়তান ও কষ্টদায়ক জন্তু হতে এবং প্রত্যেক ক্ষতিকারক (বদ) নজর হতে আল্লাহর পানাহ দিচ্ছি। (বুখারি)
যাচাই-বাছাই করে তথ্য গ্রহণ
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল পোস্ট দেখলেই আমরা তা সত্য ধরে নিই। ছবি, স্ক্রিনশট বা নাটকীয় ভাষ্যের কিছু দেখে অনেকেই প্রতারিত হন, ভুল তথ্য ছড়ান কিংবা অনলাইনে বুলিংয়ের শিকার হন।
যে কোনো উত্তেজনাপূর্ণ বা ভাইরাল তথ্য দেখলে একটু থামুন। নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যমে খোঁজ নিন। পরিচিত কেউ থাকলে তাকে জিজ্ঞেস করুন।
ইসলামের শিক্ষাও ঠিক এটাই বলে। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে বিষয় তোমার জানা নাই তার অনুসরণ করো না। নিশ্চয় কান, চোখ ও অন্তকরণ- এদের প্রতিটির ব্যাপারে সে জিজ্ঞাসিত হবে। (সুরা আল–ইসরা, আয়াত :৩৬)
লক্ষ্য ঠিক রেখে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার
ফিডে একের পর এক কনটেন্ট দেখতে গিয়ে সময় কোথায় চলে যায় আমরা তা টেরই পাই না। এতে মনোযোগ নষ্ট হয়ে যায়, কোন কাজের জন্য ডিভাইজ হাতে নিয়েছিলাম তা ভুলে যাই। তাই সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের উদ্দেশ্য ঠিক করুন। যেমন—
এমন করলে সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণ আপনার হাতেই থাকবে।
বাস্তব জীবনকে সবসময় অনুভব করুন
সোশ্যাল মিডিয়া কখনোই বাস্তব জীবনের বিকল্প নয়। কিন্তু আমাদের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন হয়ে গেছে। অনলাইন দুনিয়ায় ডুবে থাকার ফলে মানুষ বাস্তব জীবন ও নিজের আশপাশের মানুষদের থেকে কেমন যেন উদাসীন হয়ে গেছে। অথচ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা, সময় কাটানো আর সম্পর্ক রক্ষা—এসবই আসল জীবন। তাই নিয়মিত বিরতি নিন, ফোন সরিয়ে রাখুন এবং বর্তমান বাস্তবতা উপভোগ করুন।
সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের জীবন সহজ করেছে এটা সত্য। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে থাকবে, না কি প্ল্যাটফর্ম আমাদের নিয়ন্ত্রণ করবে এটা ভাবার সময় এখনই। আমরা কেন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি, কী উদ্দেশ্যে করি এ প্রশ্নের জবাব খুঁজে পাওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

আল্লাহুম্মা আসলামতু নাফসী ইলাইক, ওয়া ওয়াজ্জাহতু ওয়াজহিয়া ইলাইক, ওয়া ফাউওয়াযতু আমরী ইলাইক, ওয়া আলজা’তু যাহরী ইলাইক, রাগবাতাঁঊ ওয়া রাহবাতান্ ইলাইক্, লা মালজাআ ওয়ালা মানজা মিনকা ইল্লা ইলাইক, আমানতু বিকিতাবিকাল্লাযী আনযালতা বিনাবিয়্যিকাল্লাযী আরসালতা।
১ দিন আগে
ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন’ মুসল্লিদের ঢল নেমেছে। পুরো সোহরাওয়ার্দী উদ্যান কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গেছে।
১ দিন আগে
কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চলছে ‘আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়ত মহাসম্মেলন’। শনিবার সকাল নয়টার পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই মহাসম্মেলন শুরু হয়। তার আগেই সারা দেশ থেকে আগত ধর্মপ্রাণ মানুষের উপস্থিতিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিপূর্ণ হয়ে যায়।
১ দিন আগে
মানুষ আকৃতি ও মস্তিষ্কের জটিল নার্ভ সিস্টেমে গঠিত এক বিস্ময়কর সৃষ্টি, যা আল্লাহর সৃষ্টির মাঝে সেরা, যেখানে entrusted হয়েছে ন্যায়, করুণা ও সৌন্দর্যের নানা দিক। মানুষের স্বভাবসুলভ সেই পারিপার্শ্বিক অবস্থা এখন মানুষই যেন ভুলে গেছে। পৃথিবীর দিকে দিকে মানুষ এখন নিজের মিশন, নিজের কর্ম—সব ভুলে নির্দয়
২ দিন আগে