মাওলানা দৌলত আলী খান
জিলহজ মাস হিজরি সনের দ্বাদশ ও সমাপনী মাস। এই মাসেই মুসলিম উম্মাহ কোরবানি পালন করেন। আর পবিত্র হজও জিলহজ মাসে হয়। এভাবে জিলহজ মাসের বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত ইসলামি ইতিহাসে অনন্য। তবে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
কারণ, এ দিবসগুলোর আমল অত্যন্ত ফজিলতময়। আল্লাহতায়ালার কাছে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন বেশি প্রিয়তর। তাই রাসুল (সা.) এই দশ দিনের আমলকে গুরুত্বসহকারে পালন করতেন। সেই সঙ্গে স্বীয় উম্মতকেও তা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহতায়ালা এ দিনগুলোর শপথ করেছেন
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘শপথ ফজরের, শপথ দশ রজনির।’ সুরা আল-ফজর : ১-২ অধিকাংশ তাফসিরবিদের মতে, এখানে জিলহজের প্রথম দশ দিনের কথা বলা হয়েছে। ইমাম ইবনে কাসির বলেন, এটাই বিশুদ্ধ মত।
এ দিনগুলো আল্লাহকে স্মরণ করার নির্ধারিত রাত
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘যাতে তারা নির্ধারিত দিনগুলোয় আল্লাহকে স্মরণ করে।’ সুরা আল-হজ : ২৮ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাফসিরবিদদের মতে, আয়াতের নির্ধারিত দিনগুলো দ্বারা জিলহজের প্রথম দশ দিন বোঝানো হয়েছে।
আরাফার দিন : এই দশকের মধ্যে রয়েছে আরাফার দিন। এই ৯ জিলহজ আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আরাফার দিনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোনো দিন নেই।’ ইবনে হিব্বান
কোরবানির দিন : ১০ জিলহজ কোরবানির দিন। বছরের সর্বোৎকৃষ্ট দিন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত দিন হচ্ছে কোরবানির দিন।’ আবু দাউদ
হজ-ওমরাহ পালন : এই দিনগুলোর মধ্যেই রয়েছে হজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা পরপর হজ ও ওমরাহ করো। কেননা, হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য ও গুনাহ মিটিয়ে দেয়। যেমন : হাপরের আগুন লোহ ও সোনা-রুপার ময়লা দূর হয়। আর কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।’ তিরমিজি : ৭৫৭
জিলহজের প্রথম ১০ দিন নখ ও পশম কাটা থেকে বিরত থাকা
কোরবানি সাধারণভাবে সবার ওপর ওয়াজিব হয় না। মূলত যাদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব। কিন্তু গরিব মুসলমানদের পক্ষে কোরবানি পালন সম্ভব হয় না। তাই কোরবানির সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়াটাও তাদের জন্য স্বাভাবিক। তবে গরিবরা কোরবানি করতে না পারলেও কোরবানির সওয়াব অর্জন করা থেকে আল্লাহতায়ালা বঞ্চিত রাখেননি। কারণ, জিলহজের প্রথম দশ দিনগুলোতে এমন আমল রয়েছে, যা সঠিকভাবে পালন করা হলে পূর্ণ কোরবানির সওয়াব পাবে।
আমলগুলো হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করা পর্যন্ত নিজের চুল, নখ, নাভির নিচের লোম কাটা এবং গোঁফ খাট করা থেকে বিরত থাকা। এ আমল করলে আল্লাহতায়ালা বান্দাকে একটি পূর্ণ কোরবানির সওয়াব দান করবেন। সুতরাং কোরবানিদাতা কোরবানি করার পাশাপাশি এই আমলটি করলে দুই কোরবানির সওয়াব পাবে। আর যারা কোরবানি দিতে অক্ষম, তারা এই আমল করলে পূর্ণ এক কোরবানির সওয়াব পাবে। এভাবে গরিব-মিসকিনরাও কোরবানির সওয়াব অর্জন করতে পারে।
লেখক : শিক্ষক, নাজিরহাট বড় মাদরাসা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
জিলহজ মাস হিজরি সনের দ্বাদশ ও সমাপনী মাস। এই মাসেই মুসলিম উম্মাহ কোরবানি পালন করেন। আর পবিত্র হজও জিলহজ মাসে হয়। এভাবে জিলহজ মাসের বৈশিষ্ট্য ও ফজিলত ইসলামি ইতিহাসে অনন্য। তবে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিনকে বিশেষভাবে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
কারণ, এ দিবসগুলোর আমল অত্যন্ত ফজিলতময়। আল্লাহতায়ালার কাছে জিলহজ মাসের প্রথম দশ দিন বেশি প্রিয়তর। তাই রাসুল (সা.) এই দশ দিনের আমলকে গুরুত্বসহকারে পালন করতেন। সেই সঙ্গে স্বীয় উম্মতকেও তা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন।
আল্লাহতায়ালা এ দিনগুলোর শপথ করেছেন
আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেছেন, ‘শপথ ফজরের, শপথ দশ রজনির।’ সুরা আল-ফজর : ১-২ অধিকাংশ তাফসিরবিদের মতে, এখানে জিলহজের প্রথম দশ দিনের কথা বলা হয়েছে। ইমাম ইবনে কাসির বলেন, এটাই বিশুদ্ধ মত।
এ দিনগুলো আল্লাহকে স্মরণ করার নির্ধারিত রাত
এ প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেন, ‘যাতে তারা নির্ধারিত দিনগুলোয় আল্লাহকে স্মরণ করে।’ সুরা আল-হজ : ২৮ সংখ্যাগরিষ্ঠ তাফসিরবিদদের মতে, আয়াতের নির্ধারিত দিনগুলো দ্বারা জিলহজের প্রথম দশ দিন বোঝানো হয়েছে।
আরাফার দিন : এই দশকের মধ্যে রয়েছে আরাফার দিন। এই ৯ জিলহজ আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম দিন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে আরাফার দিনের চেয়ে শ্রেষ্ঠ আর কোনো দিন নেই।’ ইবনে হিব্বান
কোরবানির দিন : ১০ জিলহজ কোরবানির দিন। বছরের সর্বোৎকৃষ্ট দিন। রাসুল (সা.) বলেন, ‘আল্লাহর কাছে সর্বাধিক সম্মানিত দিন হচ্ছে কোরবানির দিন।’ আবু দাউদ
হজ-ওমরাহ পালন : এই দিনগুলোর মধ্যেই রয়েছে হজ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা পরপর হজ ও ওমরাহ করো। কেননা, হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য ও গুনাহ মিটিয়ে দেয়। যেমন : হাপরের আগুন লোহ ও সোনা-রুপার ময়লা দূর হয়। আর কবুল হজের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়।’ তিরমিজি : ৭৫৭
জিলহজের প্রথম ১০ দিন নখ ও পশম কাটা থেকে বিরত থাকা
কোরবানি সাধারণভাবে সবার ওপর ওয়াজিব হয় না। মূলত যাদের ওপর জাকাত ওয়াজিব, তাদের ওপর কোরবানিও ওয়াজিব। কিন্তু গরিব মুসলমানদের পক্ষে কোরবানি পালন সম্ভব হয় না। তাই কোরবানির সওয়াব থেকে বঞ্চিত হওয়াটাও তাদের জন্য স্বাভাবিক। তবে গরিবরা কোরবানি করতে না পারলেও কোরবানির সওয়াব অর্জন করা থেকে আল্লাহতায়ালা বঞ্চিত রাখেননি। কারণ, জিলহজের প্রথম দশ দিনগুলোতে এমন আমল রয়েছে, যা সঠিকভাবে পালন করা হলে পূর্ণ কোরবানির সওয়াব পাবে।
আমলগুলো হলো জিলহজের চাঁদ উদিত হওয়ার পর থেকে কোরবানির পশু জবেহ করা পর্যন্ত নিজের চুল, নখ, নাভির নিচের লোম কাটা এবং গোঁফ খাট করা থেকে বিরত থাকা। এ আমল করলে আল্লাহতায়ালা বান্দাকে একটি পূর্ণ কোরবানির সওয়াব দান করবেন। সুতরাং কোরবানিদাতা কোরবানি করার পাশাপাশি এই আমলটি করলে দুই কোরবানির সওয়াব পাবে। আর যারা কোরবানি দিতে অক্ষম, তারা এই আমল করলে পূর্ণ এক কোরবানির সওয়াব পাবে। এভাবে গরিব-মিসকিনরাও কোরবানির সওয়াব অর্জন করতে পারে।
লেখক : শিক্ষক, নাজিরহাট বড় মাদরাসা, ফটিকছড়ি, চট্টগ্রাম
মক্কার মসজিদুল হারামের অন্যতম পবিত্র স্থান হাতিম। কাবার মূল কাঠামোর অংশ হিসেবে বিবেচিত এ স্থানটি মুসল্লিদের জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ও নামাজ আদায়ের আকাঙ্ক্ষিত জায়গা। এখানে শৃঙ্খলাপূর্ণ উপায়ে ইবাদত নিশ্চিত করতে পুরুষ ও নারী উভয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করেছে কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেখাদ্যগ্রহণ যেমন ক্ষুধা মেটানোর জন্য অপরিহার্য, প্রাত্যহিক জীবনের অংশ হিসেবে খাদ্যগ্রহণের ক্ষেত্রে উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার অনুসরণ করাও গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ যা খায়, যেভাবে খায়—তা তার চরিত্র, নীতি ও রুচির পরিচয় বহন করে। তাই ইসলাম আমাদের খাওয়ার উত্তম সংস্কৃতি ও শিষ্টাচার শিখিয়েছে।
২ দিন আগেসম্প্রতি ইসলামি আলোচক আমীর হামজা আল্লাহর রাসুল (সা.)–কে ‘সাংবাদিক’ বলেছেন। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, যেহেতু নবী (সা.) ছিলেন আল্লাহর বার্তাবাহক, তাই রূপক অর্থে তাঁকে সাংবাদিক বলা যেতে পারে। কিন্তু বাস্তবে এই তুলনা ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভ্রান্তিকর এবং রাসুলের মর্যাদার পরিপন্থী।
৬ দিন আগেআমাদের সমাজে বেশ পরিচিত দুটি শব্দ হলো অলি-আওলিয়া। বাঙালি মুসলমান সমাজে সাধারণত মুসলমানদের একটি বিশেষ শ্রেণিকে অলি-আওলিয়া মনে করা হয়। অলি-আওলিয়াদের বিশেষ মর্যাদা ও ক্ষমতা আছে এমন বিশ্বাসও সাধারণ মুসলমানদের রয়েছে।
৬ দিন আগে