
ডা. মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম খান

সালমান ফারসি (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ইসলামি ইতিহাসে এক অসাধারণ আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও ত্যাগের গাথা। সংক্ষিপ্তভাবে তার জীবনী ও ঈমান গ্রহণের ধাপগুলো নিম্নরূপ—
প্রাথমিক জীবন ও ধর্মীয় অনুসন্ধান
অগ্নিপূজক পরিবার : সালমান ফারসি (রা.) পারস্যের ইস্পাহানের ‘জাই’ নামক গ্রামে এক অগ্নিপূজক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গ্রামের প্রধান ছিলেন এবং সালমানকে অগ্নিপূজার দায়িত্বে নিয়োজিত করতেন ।
খ্রিষ্ট ধর্মে আকর্ষণ : এক দিন তিনি একটি গির্জায় খ্রিষ্টানদের প্রার্থনা পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের ধর্মাচরণে মুগ্ধ হয়ে তিনি সিরিয়ায় গমন করেন, যেখানে এই ধর্মের মূল কেন্দ্র অবস্থিত ছিল। এ সময় তার বাবা তাকে বন্দি করলেও তিনি পালিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হন ।
সিরিয়ায় আধ্যাত্মিক শিক্ষা ও নবী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
পাদ্রিদের সান্নিধ্য : সিরিয়ায় তিনি তিনজন ধর্মীয় পণ্ডিতের সান্নিধ্য লাভ করেন—
প্রথম পাদ্রি : দুর্নীতিপরায়ণ ছিলেন, যিনি দানবিক্রীত অর্থ আত্মসাৎ করতেন। তার মৃত্যুর পর সালমান ফারসি (রা.) এই তথ্য প্রকাশ করলে খ্রিষ্টানরা তাকে ক্রুশে বিদ্ধ করে ।
দ্বিতীয় পাদ্রি (মুসেলে) : ইবাদতগুজার ও সৎব্যক্তি ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-কে নাসিবিনের অন্য এক পাদ্রির কাছে পাঠান ।
তৃতীয় পাদ্রি (নাসিবিন ও আমুরিয়ায়) : তিনিও সত্যপরায়ণ ছিলেন। তার কাছ থেকে সালমান ফারসি (রা.) জানতে পারেন যে আরব ভূমিতে শেষ নবীর আবির্ভাব ঘটবে। এই নবীর বৈশিষ্ট্য হবে— তিনি সাদকা (দান) গ্রহণ করবেন না। তিনি হাদিয়া গ্রহণ করবেন। তার পৃষ্ঠদেশে ‘মোহরে নবুওয়াত’ (নবুওয়াতের সিল) থাকবে। তিনি ইবরাহিম (আ.)-এর আদর্শ পুনর্জীবিত করবেন। এ কথা শুনে তিনি এভাবে আরবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আরবে যাত্রা ও দাসত্বের জীবন
আমুরিয়া থেকে এক বাণিজ্যিক কাফেলার সঙ্গে আরবে যাওয়ার সময় বনু কালব গোত্র তাকে ধোঁকা দিয়ে এক ইহুদির কাছে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। পরে তাকে মদিনার এক ইহুদির হাতে বিক্রি করা হয় । মদিনায় তিনি নবীজি (সা.)-এর আগমনের সংবাদ শুনতে পান। হিজরতের পর নবীজি মদিনায় এলে সালমান (রা.) তাকে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন ।
নবীজির সত্যতা যাচাই ও ইসলাম গ্রহণ
প্রথম দিন : তিনি কিছু খেজুর সাদকা (দান) হিসেবে নবীজি (সা.)-কে দিলে তিনি তা গ্রহণ না করে বললেন, ‘সাদকা আমাদের জন্য হালাল নয়।’
দ্বিতীয় দিন : তিনি একই খেজুর হাদিয়া (উপহার) হিসেবে পেশ করলে নবীজি (সা.) তা গ্রহণ করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে বণ্টন করেন ।
মোহরে নবুওয়াত দেখা : তারপর তিনি একদিন বাকিউল গারকাদ নামক স্থানে, যেখানে নবীজি অন্য সাহাবিদের নিয়ে বসেছিলেন, তখন তিনি নবুওয়াতের মোহরটি দেখার জন্য বারবার নবীজির পিঠের দিকে তাকাচ্ছিলেন। নবীজি তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে পিঠের চাদরটি সরিয়ে দিলে তিনি নবুওয়াতের মোহরটি স্পষ্ট দেখতে পান। এতে তিনি নিশ্চিত হন যে মুহাম্মদ (সা.)-ই প্রকৃত নবী । এই আলামত দেখে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
দাসত্ব থেকে মুক্তি ও মুজিজা
মুকাতাবা চুক্তি : ইসলাম গ্রহণের পরও তিনি দাস ছিলেন। নবীজি (সা.)-এর পরামর্শে তিনি মনিবের সঙ্গে ৪০ উকিয়া স্বর্ণ ও ৩০০টি খেজুর চারা রোপণের শর্তে মুক্তি চুক্তি করেন ।
সাহাবাদের সহযোগিতা : নবীজির আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাহাবায়ে কেরাম তাকে খেজুরের চারা দিয়ে সাহায্য করেন। নবীজি (সা.) নিজ হাতে চারাগুলো রোপণ করেন এবং সবগুলো অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় ।
স্বর্ণের মুজিজা : ৪০ উকিয়া স্বর্ণের ব্যবস্থা করতে নবীজি (সা.) তাকে একটি ছোট স্বর্ণখণ্ড দেন। এটি ওজনে অলৌকিকভাবে ৪০ উকিয়া পরিমাপ হয় ।
মুক্তি লাভ : শর্তপূরণ হলে পঞ্চম হিজরিতে তিনি মুক্তিলাভ করেন এবং খন্দকের যুদ্ধে অংশ নেন ।
ইসলামে অবদান
খন্দকের যুদ্ধ : ওই যুদ্ধে পরিখা খননের ধারণাটি সালমান ফারসি (রা.) দেন। পরিখা খননের ধারণা দিয়ে মদিনাকে রক্ষা করেন, যা সাসানীয় সামরিক কৌশল হিসেবে পরিচিত ছিল।
প্রশাসনিক দায়িত্ব : উমর (রা.)-এর শাসনামলে তিনি মাদায়েনের (ইরাক) গভর্নর নিযুক্ত হন ।
আধ্যাত্মিক মর্যাদা : নবীজি (সা.) তাকে ‘আহলে বাইত’ (পরিবারের সদস্য) বলে ঘোষণা করেন ।
শিক্ষা ও মৃত্যু
জ্ঞানচর্চা : তিনি ফারসি ভাষায় কোরআনের প্রথম অনুবাদক হিসেবে স্বীকৃত ।
ওফাত : ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে (৩৫ হিজরি) মাদায়েনে ইন্তিকাল করেন ।
পরিশেষে বলা যায়, সালমান ফারসি (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণ শুধু একটি ধর্মান্তরের ঘটনা নয়; এটি সত্যের সন্ধানে এক অনন্ত যাত্রা। পারস্য থেকে সিরিয়া, সেখান থেকে আরব—জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় তিনি নবীর সাক্ষাতের প্রত্যাশায় কাটিয়েছেন। তার জীবনের প্রতিটি পর্ব—অগ্নিপূজা, খ্রিষ্টধর্ম, দাসত্ব, মুক্তি—সাক্ষ্য দেয় কীভাবে আন্তরিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে থাকলে আল্লাহ সত্যের পথ দেখান। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তার বিশ্বাস ও ত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরন্তন প্রেরণা। তাই তো নবীজি সালমানের কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘ঈমান যদি সুরাইয়া নক্ষত্রের জগতে থাকত, তবে এর মতো লোকরা সেখান থেকেও তা হাসিল করে ছাড়ত।’ (তথ্যসূত্র : সিরাতে ইবনে কাসির ও অন্যান্য গ্রন্থ)
লেখক : লিভার বিশেষজ্ঞ, লিভার বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর

সালমান ফারসি (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা ইসলামি ইতিহাসে এক অসাধারণ আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান ও ত্যাগের গাথা। সংক্ষিপ্তভাবে তার জীবনী ও ঈমান গ্রহণের ধাপগুলো নিম্নরূপ—
প্রাথমিক জীবন ও ধর্মীয় অনুসন্ধান
অগ্নিপূজক পরিবার : সালমান ফারসি (রা.) পারস্যের ইস্পাহানের ‘জাই’ নামক গ্রামে এক অগ্নিপূজক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা গ্রামের প্রধান ছিলেন এবং সালমানকে অগ্নিপূজার দায়িত্বে নিয়োজিত করতেন ।
খ্রিষ্ট ধর্মে আকর্ষণ : এক দিন তিনি একটি গির্জায় খ্রিষ্টানদের প্রার্থনা পর্যবেক্ষণ করেন। তাদের ধর্মাচরণে মুগ্ধ হয়ে তিনি সিরিয়ায় গমন করেন, যেখানে এই ধর্মের মূল কেন্দ্র অবস্থিত ছিল। এ সময় তার বাবা তাকে বন্দি করলেও তিনি পালিয়ে সিরিয়ার উদ্দেশে রওনা হন ।
সিরিয়ায় আধ্যাত্মিক শিক্ষা ও নবী সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী
পাদ্রিদের সান্নিধ্য : সিরিয়ায় তিনি তিনজন ধর্মীয় পণ্ডিতের সান্নিধ্য লাভ করেন—
প্রথম পাদ্রি : দুর্নীতিপরায়ণ ছিলেন, যিনি দানবিক্রীত অর্থ আত্মসাৎ করতেন। তার মৃত্যুর পর সালমান ফারসি (রা.) এই তথ্য প্রকাশ করলে খ্রিষ্টানরা তাকে ক্রুশে বিদ্ধ করে ।
দ্বিতীয় পাদ্রি (মুসেলে) : ইবাদতগুজার ও সৎব্যক্তি ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি সালমান ফারসি (রা.)-কে নাসিবিনের অন্য এক পাদ্রির কাছে পাঠান ।
তৃতীয় পাদ্রি (নাসিবিন ও আমুরিয়ায়) : তিনিও সত্যপরায়ণ ছিলেন। তার কাছ থেকে সালমান ফারসি (রা.) জানতে পারেন যে আরব ভূমিতে শেষ নবীর আবির্ভাব ঘটবে। এই নবীর বৈশিষ্ট্য হবে— তিনি সাদকা (দান) গ্রহণ করবেন না। তিনি হাদিয়া গ্রহণ করবেন। তার পৃষ্ঠদেশে ‘মোহরে নবুওয়াত’ (নবুওয়াতের সিল) থাকবে। তিনি ইবরাহিম (আ.)-এর আদর্শ পুনর্জীবিত করবেন। এ কথা শুনে তিনি এভাবে আরবে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
আরবে যাত্রা ও দাসত্বের জীবন
আমুরিয়া থেকে এক বাণিজ্যিক কাফেলার সঙ্গে আরবে যাওয়ার সময় বনু কালব গোত্র তাকে ধোঁকা দিয়ে এক ইহুদির কাছে দাস হিসেবে বিক্রি করে দেয়। পরে তাকে মদিনার এক ইহুদির হাতে বিক্রি করা হয় । মদিনায় তিনি নবীজি (সা.)-এর আগমনের সংবাদ শুনতে পান। হিজরতের পর নবীজি মদিনায় এলে সালমান (রা.) তাকে পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেন ।
নবীজির সত্যতা যাচাই ও ইসলাম গ্রহণ
প্রথম দিন : তিনি কিছু খেজুর সাদকা (দান) হিসেবে নবীজি (সা.)-কে দিলে তিনি তা গ্রহণ না করে বললেন, ‘সাদকা আমাদের জন্য হালাল নয়।’
দ্বিতীয় দিন : তিনি একই খেজুর হাদিয়া (উপহার) হিসেবে পেশ করলে নবীজি (সা.) তা গ্রহণ করেন এবং সাহাবাদের মধ্যে বণ্টন করেন ।
মোহরে নবুওয়াত দেখা : তারপর তিনি একদিন বাকিউল গারকাদ নামক স্থানে, যেখানে নবীজি অন্য সাহাবিদের নিয়ে বসেছিলেন, তখন তিনি নবুওয়াতের মোহরটি দেখার জন্য বারবার নবীজির পিঠের দিকে তাকাচ্ছিলেন। নবীজি তার উদ্দেশ্য বুঝতে পেরে পিঠের চাদরটি সরিয়ে দিলে তিনি নবুওয়াতের মোহরটি স্পষ্ট দেখতে পান। এতে তিনি নিশ্চিত হন যে মুহাম্মদ (সা.)-ই প্রকৃত নবী । এই আলামত দেখে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন।
দাসত্ব থেকে মুক্তি ও মুজিজা
মুকাতাবা চুক্তি : ইসলাম গ্রহণের পরও তিনি দাস ছিলেন। নবীজি (সা.)-এর পরামর্শে তিনি মনিবের সঙ্গে ৪০ উকিয়া স্বর্ণ ও ৩০০টি খেজুর চারা রোপণের শর্তে মুক্তি চুক্তি করেন ।
সাহাবাদের সহযোগিতা : নবীজির আহ্বানে সাড়া দিয়ে সাহাবায়ে কেরাম তাকে খেজুরের চারা দিয়ে সাহায্য করেন। নবীজি (সা.) নিজ হাতে চারাগুলো রোপণ করেন এবং সবগুলো অলৌকিকভাবে বেঁচে যায় ।
স্বর্ণের মুজিজা : ৪০ উকিয়া স্বর্ণের ব্যবস্থা করতে নবীজি (সা.) তাকে একটি ছোট স্বর্ণখণ্ড দেন। এটি ওজনে অলৌকিকভাবে ৪০ উকিয়া পরিমাপ হয় ।
মুক্তি লাভ : শর্তপূরণ হলে পঞ্চম হিজরিতে তিনি মুক্তিলাভ করেন এবং খন্দকের যুদ্ধে অংশ নেন ।
ইসলামে অবদান
খন্দকের যুদ্ধ : ওই যুদ্ধে পরিখা খননের ধারণাটি সালমান ফারসি (রা.) দেন। পরিখা খননের ধারণা দিয়ে মদিনাকে রক্ষা করেন, যা সাসানীয় সামরিক কৌশল হিসেবে পরিচিত ছিল।
প্রশাসনিক দায়িত্ব : উমর (রা.)-এর শাসনামলে তিনি মাদায়েনের (ইরাক) গভর্নর নিযুক্ত হন ।
আধ্যাত্মিক মর্যাদা : নবীজি (সা.) তাকে ‘আহলে বাইত’ (পরিবারের সদস্য) বলে ঘোষণা করেন ।
শিক্ষা ও মৃত্যু
জ্ঞানচর্চা : তিনি ফারসি ভাষায় কোরআনের প্রথম অনুবাদক হিসেবে স্বীকৃত ।
ওফাত : ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে (৩৫ হিজরি) মাদায়েনে ইন্তিকাল করেন ।
পরিশেষে বলা যায়, সালমান ফারসি (রা.)-এর ইসলাম গ্রহণ শুধু একটি ধর্মান্তরের ঘটনা নয়; এটি সত্যের সন্ধানে এক অনন্ত যাত্রা। পারস্য থেকে সিরিয়া, সেখান থেকে আরব—জীবনের অর্ধেকেরও বেশি সময় তিনি নবীর সাক্ষাতের প্রত্যাশায় কাটিয়েছেন। তার জীবনের প্রতিটি পর্ব—অগ্নিপূজা, খ্রিষ্টধর্ম, দাসত্ব, মুক্তি—সাক্ষ্য দেয় কীভাবে আন্তরিকতা ও ধৈর্যের মাধ্যমে থাকলে আল্লাহ সত্যের পথ দেখান। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তার বিশ্বাস ও ত্যাগ মুসলিম উম্মাহর জন্য চিরন্তন প্রেরণা। তাই তো নবীজি সালমানের কাঁধে হাত রেখে বলেছিলেন, ‘ঈমান যদি সুরাইয়া নক্ষত্রের জগতে থাকত, তবে এর মতো লোকরা সেখান থেকেও তা হাসিল করে ছাড়ত।’ (তথ্যসূত্র : সিরাতে ইবনে কাসির ও অন্যান্য গ্রন্থ)
লেখক : লিভার বিশেষজ্ঞ, লিভার বিভাগ, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, রংপুর

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, উন্নত চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিরাই সমাজে শান্তি, ন্যায়বিচার ও সৌহার্দ্যের পরিবেশ তৈরি করে। চরিত্রবান মানুষ সমাজকে করে তোলে সুন্দর, নিরাপদ ও মানবিক। আর চরিত্রহীন মানুষ অনাচার, দুর্নীতি ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। চরিত্রবান মানুষ যেমন নিজের কল্যাণ বয়ে আনে, তেমনি সমাজকেও আলোকিত করে তোল
১১ ঘণ্টা আগে
চলতি বছরের জুনে শুরু হওয়া ওমরাহ মৌসুমে এরই মধ্যে রেকর্ড ৪০ লাখের বেশি বিদেশি হাজি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, যা আগের বছরের পুরো মৌসুমের তুলনায়ও বেশি।
১৯ ঘণ্টা আগে
মসজিদ শুধু নামাজের স্থান নয়। এটি মুসলিম সমাজের হৃদয়কেন্দ্র। যেখানে আধ্যাত্মিকতা, নৈতিকতা ও সামাজিক চেতনাসমবেত হয়। ইসলামের সূচনালগ্নে মসজিদ ছিল জ্ঞান, নেতৃত্ব, ন্যায়বিচার এবং সমাজকল্যাণের কেন্দ্র। নবী করিম (সা.) মসজিদের মিম্বর থেকে যেমন ঈমান ও আমলের দাওয়াত দিতেন, তেমনি সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা
১ দিন আগে
সম্প্রতি একজন বক্তা প্রিয় নবীজিকে ‘সাংবাদিক’ অভিধায় অভিহিত করে চরম বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন। দেশের ধর্মীয় অঙ্গনে পক্ষে-বিপক্ষে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এ ধরনের বিষয়ে পক্ষপাতদুষ্ট না হয়ে বস্তুনিষ্ঠভাবে বিশ্লেষণ করা আবশ্যক।
১ দিন আগে