এসিসির প্রেসিডেন্ট হলেন নাকভি

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ৪০
আপডেট : ০৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৯: ৪৬
মহসিন নাগভি

এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন মহসিন নাগভি। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যানের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। নতুন মর্যাদাকর দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন আজ বৃহস্পতিবার থেকেই। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) প্রেসিডেন্ট শাম্মি সিলভার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন নাকভি। আজ অনুষ্ঠিত মহাদেশীয় এ ক্রিকেট সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় নেতৃত্ব বদলের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পিসিবির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পেয়েছেন নাকভি তিন বছরের জন্য। এসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন দুই বছরের জন্য। দুই পদে নাকভির মেয়াদ শেষ হবে প্রায় একই সময়ে। পাকিস্তানিদের মধ্যে সবশেষ এসিসির প্রেসিডেন্ট ছিলেন এহসান মানি। ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পাকিস্তান থেকে এখন পর্যন্ত ১০ জন এসিসির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

নাকভির সবচেয়ে বড় পরীক্ষা হবে এশিয়া কাপ আয়োজন করা। আগামী সেপ্টেম্বরে ভারতের মাটিতে হওয়ার কথা টুর্নামেন্টের আগামী আসর। যদিও ভারত-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের জন্য এশিয়া হওয়ার কথা রয়েছে হাইব্রিড মডেলে। কেননা চির বৈরী এই দুই প্রতিবেশী একে অন্যের দেশে ভ্রমণ করতে অনিচ্ছুক। নাকভি এখন সিদ্ধান্ত নেবে কোন নিরপেক্ষ দেশে হবে এশিয়া কাপ। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও শ্রীলঙ্কা রয়েছে আলোচনায়।

এসিসিতে নতুন দায়িত্ব পেয়ে সম্মানিত বোধ করছেন নাকভি, ‘এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতির গ্রহণ করতে পেরে আমি অত্যন্ত সম্মানিত বোধ করছি।’

এশিয়ান ক্রিকেটকে এগিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নাকভি যোগ করেন, ‘এশিয়া বিশ্ব ক্রিকেটের হৃদস্পন্দন হিসেবে রয়ে গেছে। ক্রিকেটের বিকাশ ও বৈশ্বিক প্রভাব বাড়ানোর জন্য সব সদস্য বোর্ডের সঙ্গে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। একসঙ্গে, আমরা নতুন সুযোগ উন্মোচন করব, বৃহত্তর সহযোগিতা গড়ে তুলব এবং এশিয়ান ক্রিকেটকে অভূতপূর্ব উচ্চতায় নিয়ে যাব। আমি বিদায়ী এসিসি সভাপতিকে তার মেয়াদকালে এসিসিতে তার নেতৃত্ব এবং অবদানের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’

এসিসি এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ‘নাকভি ঐক্য, উদ্ভাবন ও কৌশলগত প্রবৃদ্ধির ওপর নজর দিয়ে একটি দূরদর্শী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে এসেছেন, যা বিশ্ব ক্রিকেটের কেন্দ্রস্থল হিসেবে এশিয়ার অবস্থানকে আরও শক্তিশালী করবে। তার নেতৃত্বে, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল একটি গতিশীল ও সহযোগিতামূলক ভবিষ্যতের প্রত্যাশা করে, যার মধ্যে উন্নয়ন কর্মসূচি, যুব সম্পৃক্ততা ও এশিয়ান ক্রিকেটের বৈশ্বিক গুরুত্ব বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি রয়েছে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত