মাঠে ফুটবল জাদু দেখানোই ছিল নেইমার জুনিয়রের কাজ। মাঠের লড়াই নিয়েই ব্যস্ত থাকতেন একটা সময়। ছিলেন ফুটবল জাদুর সমার্থক। মাঠে ব্রাজিলিয়ান এই তারকা ফরোয়ার্ড থাকা মানেই ছিল গ্যালারি কানায় কানায় পূর্ণ। কিন্তু সেই নেইমার এখন ‘বুড়ো’দের দলে নাম লিখে ফেলেছেন। কমে গেছে তার আক্রমণের ধার। মাঠে যতটা না খেলেন, তার চেয়ে বেশি ব্যস্ত সময় কাটান চোটের বিপক্ষে লড়াই করে। মাঠের বাইরের এই লড়াইয়ে ক্লান্ত এখন নেইমার।
বার্সেলোনা-পিএসজিতে রোমাঞ্চকর অভিযান শেষ করে আল হিলালে নাম লিখিয়েছিলেন চমক উপহার দিতে। কিন্তু সৌদি আরবে সেই মিশনে হতাশাই সঙ্গী হয়েছে তার। ইনজুরির ধকল সামলে উঠতে না পেরে লিখে গেছেন শুধু ব্যর্থতার গল্প।
এদিকে ব্রাজিলিয়ান ক্লাব সান্তোসের সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ ডিসেম্বর। কিন্তু ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলতে হলে নেইমারকে থাকতে হবে খেলার মধ্যে। এটা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে নেইমারের কপালে। কেননা, সান্তোস তার চুক্তির মেয়াদ নাও বাড়াতে পারে। তাই তো নতুন ঠিকানা খুঁজে ফিরছেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ বা অন্য কোনো লিগে।
নেইমারকে দলে টেনে সান্তোসের লাভের অঙ্কটা বলতে গেলে শূন্য। ব্রাজিলের ক্লাবটি উন্নতি করতে গিয়ে উল্টো হয়েছে অবনতির শিকার। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) হালনাগাদ র্যাংকিংয়ে দলটি নেই সেরা পনেরোর মধ্যেও।
ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব র্যাংকিংয়ে অনেক দিন ধরেই আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে ফ্ল্যামেঙ্গো। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠবারের মতো সিবিএফ প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে ব্রাজিলের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু এবারের র্যাংকিং প্রকাশের পর ঐতিহ্যবাহী ক্লাব সান্তোসের অবনতি আলোচনার খোরাক জুগিয়েছে। আটবারের ব্রাজিলিয়ান লিগ জয়ী দলটি এবার র্যাংকিংয়ে পড়ে রয়েছে ১৬তম স্থানে।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

