অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজে সবচেয়ে দ্রুততম সময়ে সিরিজ জয়ের রেকর্ড দেখা গিয়েছিল ২০০২-০৩ মৌসুমে। ১১ দিনে সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২৩ বছর পর গতকাল সেই রেকর্ড ভাঙার সুযোগ পেয়েছিল প্যাট কামিন্সের দল। তবে সেটা হতে দিল ইংল্যান্ড। তারা ম্যাচ নিয়ে গেছে ১১তম দিনে। অবশ্য তাতে কেবল পরাজয়ের সময়টাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অঘটন না ঘটলে অ্যাডিলেডেই সিরিজ নিশ্চিত হতে যাচ্ছে অজিদের। শেষদিনে জিততে অস্ট্রেলিয়ার চাই ৪ উইকেট, ইংল্যান্ডের আরো ২২৮ রান। ইংল্যান্ডের সামনে রেকর্ড লক্ষ্য দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। জিততে হলে তাদের করতে হবে ৪৩৫ রান। এই রান তাড়ায় নেমে চতুর্থদিন শেষে ৬৩ ওভারে ৬ উইকেটে ২০৭ রান তুলেছে ইংল্যান্ড।
রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই বেন ডাকেটকে ফেরান কামিন্স। এরপর ওলি পোপকেও শিকার ধরে টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে ১৫০তম উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন অজি দলপতি। অধিনায়কদের এই তালিকায় শীর্ষে পাকিস্তানের ইমরান খান (১৮৭)। এরপর জো রুটকে (৩৯) আউট করে কামিন্স সে পথেও এগিয়েছেন আরো এক ধাপ। এরপর পাল্টা প্রতিরোধ শুরু করেন জ্যাক ক্রলি। তিনি আউট হন ১৫১ বলে ৮৫ রান করে। এরপর ফিরে যান হ্যারি ব্রুকও (৩০)। এবারের অ্যাশেজে ওলি পোপ ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ। বড় সঙ্কটে পড়ে যাচ্ছে তার আর্ন্তজাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার।
ব্রুকের আউটের পর স্টোকস এসে ক্রলির সঙ্গে জুটি বাঁধার চেষ্টা করলেও শেষ সেশনে দারুণ এক ডেলিভারিতে স্টোকসকে (৫) ফেরান লায়ন। স্টোকস ফেরার পরের ওভারেই ক্রলিকে স্টাম্পিংয়ের ফাঁদে ফেলেন লায়ন। তাতে শেষ সেশনে ৩৬ ওভারে ১০১ রান তুলে চারটি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। শেষবেলায় অবিচ্ছিন্ন ১৩ রানের জুটি গড়ে দিনের খেলা শেষ করেন স্মিথ ও জ্যাকস।
এর আগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৬ ওভারে চার উইকেটে ২৭১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। আজ ১৮.৪ ওভার টিকেছে তারা। ১৪২ রানে আগের দিন অপরাজিত থাকা ট্রাভিস হেড ১৭০ রানে আউট হন। আলেক্স ক্যারি করেন ৭২ রানে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার এই উইকেটকিপার দুর্দান্ত সেঞ্চুরিও করেছিলেন। উইকেটের পেছনেও অ্যাডিলেড টেস্টে দারুণ সুখকর সময় কাটছে তার। ৮৪.৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ৩৪৯ রানে অলআউট হওয়ার পর জয়ের জন্য ৪৩৫ রানের লক্ষ্য পায় ইংল্যান্ড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর (চতুর্থ দিন শেষে)
অস্ট্রেলিয়া : ৩৭১ ও ৩৪৯ (হেড ১৭০*, ক্যারি ৭২, খাজা ৪০; টাং ৪/৭০, কার্স ৩/৮০, আর্চার ১/২০)।
ইংল্যান্ড : ২৮৬ ও ২০৭/৬ (ক্রলি ৮৫, রুট ৩৯, ব্রুক ৩০, পোপ ১৭; কামিন্স ৩/২৪, লায়ন ৩/৬৪, বোল্যান্ড ০/২৩, স্টার্ক ০/৩৫)।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

