২০২৬ বিশ্বকাপের গ্রুপিং চূড়ান্ত। ঠিক হয়েছে ফুটবলের বিশ্বমঞ্চের সূচিও। ইতোমধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট কাটা দলগুলো জেনে গেছে তাদের গ্রুপ প্রতিপক্ষের বিষয়েও। ৪৮টি দল বিশ্বকাপ খেলবে ১২ গ্রুপে ভাগ হয়ে। ফুটবল মহাযজ্ঞের গ্রুপগুলো নিয়ে আমার দেশ-এর বিশেষ আয়োজনে আজ থাকছে ‘বি’ গ্রুপের কানাডা, সুইজারল্যান্ড, কাতার ও ইউরোপিয়ান প্লে-অফ এ জয়ী দলের শক্তিমত্তা বিশ্লেষণ।
‘বি’ গ্রুপে ফিফা র্যাংকিংয়ের হিসেব ধরা হলে অবশ্যই সুইজারল্যান্ডকে এগিয়ে রাখতে হবে। র্যাংকিংয়ে ১৭ নম্বরে থাকা দলটি ফিফা বিশ্বকাপের ইতিহসে একবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছিল। ১৯৫৪ সালের সেই আসরেই বিশ্বকাপের ইতিহাসে নিজেদের সেরা সাফল্য দেখাতে পেরেছিল ‘সুইস’রা। এরপর ২০১৪ থেকে ২০২২- বিগত তিন আসরেই তাদের গন্তব্য ছিল শেষ ষোলো। এবার যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা-মেক্সিকোতে আরেকটু ভালো ফলাফলের লক্ষ্য নিয়ে বাছাইপর্ব পেরিয়েছে তারা।
শক্তিমত্তার দিক দিয়ে নিজেদের গ্রুপে এগিয়েই থাকবে সুইজারল্যান্ড। তাদের অনেক তারকাই খেলছেন ইউরোপের নামকরা সব ক্লাবে। দলের সেরা তারকা গ্রাইন্ট শাকা। মাঝমাঠের এই তারকা খেলছেন প্রিমিয়ার লিগের দল সান্ডারল্যান্ডে। গতি আর পাসিং একুরেসির জন্য তার বেশ সুনাম আছে। অভিজ্ঞ তারকাদের মধ্যে সবার আগে আসে ম্যানুয়েল আকেঞ্জির নাম। ম্যানচেস্টার সিটির রক্ষণ সামলানো আকেঞ্জিকে বলা হয় সুইজারল্যান্ডের দেয়াল। আকেঞ্জির পরের দেয়ালটার নাম ইয়ান সোমার। ইন্টার মিলানের এই অভিজ্ঞ গোলকিপার বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষের জন্য ভালোই চ্যালেঞ্জিং হবেন। তরুণ তারকাদের মধ্যে আছেন ব্রিল অ্যাম্বোলো, ডেনিস জাকারিয়া ও গ্রেগর কোবেল।
কানাডা এবারের বিশ্বকাপে যৌথ স্বাগতিক। ঘরের মাঠের চেনা পরিবেশে সুইজারল্যান্ডের পর তারা অবশ্যই এগিয়ে থাকবে। এমনকি সুইজারল্যান্ডের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে। তবে বিশ্বকাপে ইতিহাস তাদের পক্ষে কথা বলছে না। ফুটবলের মহাযজ্ঞে এর আগে মোটে দুবার অংশ নিতে পেরেছে কানাডা। প্রথমবার ১৯৮৬, দ্বিতীয়বার ২০২২। দুবারই গ্রুপ স্টেজে বাদ পড়েছে তারা। এবার সুযোগ পেলো স্বাগতিক কোটায়। স্বাগতিক কোটা হলেও তাদের দল এখন তারকাময়। বায়ার্নের উইঙ্গার আলফান্সো ডেভিস দলের সবচেয়ে বড় তারকা। গতি এবং স্কিলের জন্য পরিচিত আছে ডেভিসের। জুভেন্টাসে খেলা জোনাথন ডেভিড আছেন আক্রমণে। রক্ষণে স্প্যানিশ ক্লাব সেল্টিকের অ্যালিস্টার জনস্টোনও দলের ভরসার নাম। অতীত পেছনে ফেলে তারা এবার কেমন করে সেটার অপেক্ষায়।
কাতার গেল বিশ্বকাপের স্বাগতিক। এখন পর্যন্ত কেবল ২০২২ সালের আসরেই খেলেছে দলটি। তাতে ৩২ দলের মধ্যে সবার আগে বাদ পড়েছে তারা। এবার অবশ্য সুযোগ পেয়েছে লড়াই করে। ফুটবলে ভালোই উন্নতি করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। তাদের দলের সেরা তারকা ঘরোয়া লিগে আল সাদে খেলা উইঙ্গার আকরাম আফিফ। এছাড়াও আলমোয়েজ আলি, হাসান আল হায়দোস ও করিম বাউদিয়াফরা পাল্টে দিতে পারেন দৃশ্যপট। এই গ্রুপের অন্য দলটি আসবে ইউরোপিয়ান প্লে-অফে জয়ী হয়ে। সেটার জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।
এই গ্রুপে ১২ জুন মুখোমুখি হবে কানাডা ও উয়েফা প্লে অফ এ জয়ী দল। পরদিন লড়বে কাতার ও সুইজারল্যান্ড। ১৮ জুন সুইজারল্যান্ড ও উয়েফা প্লে অফ এ জয়ী দল এবং ১৯ জুন মাঠে নামবে কানাডা–কাতার। ২৪ জুন মাঠে নামবে কানাডা–সুইজারল্যান্ড এবং উয়েফা প্লে অফ এ জয়ী দল এবং কাতার।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

