নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপ

হৃদয় ভেঙেছে ক্যাচ মিসে

স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রকাশ : ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৩: ০০

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের চতুর্থ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ব্যাট হাতে শেষদিকে দারুণ ফিনিশিংয়ে ৬ উইকেটে ২৩২ রানের দারুণ সংগ্রহ পায়। মারুফা আক্তার-নাহিদা আক্তারদের দারুণ বোলিংয়ে শুরুতে মনে হচ্ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা এই লক্ষ্য তাড়া করতে পারবে না। তবে দারুণ থ্রিলার তৈরি করে ৩ বল আগে জয় নিশ্চিত করে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়া নারীদের এমন দারুণ জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান বাংলাদেশের ফিল্ডারদের। তিন ক্যাচ ফেলে তিন ব্যাটারকে থিতু হওয়ার সুযোগ করে দেয় বাংলাদেশ।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের পঞ্চম ওভারে নিজের বলে ক্যাচ ছাড়েন রাবেয়া খান। তখন লউরা উলভার্ট অপরাজিত ছিলেন মোটে ১১ রানে। এই প্রোটিয়া ওপেনার শেষ পর্যন্ত করেন ৩১ রান। বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ক্যাচ ছাড়েন ক্লোয়ি ট্রাইওনের। এবারও বোলার রাবেয়া খান। ডিপ মিড উইকেটে থাকা বদলি ফিল্ডার সুমাইয়া আক্তার এই ক্যাচ ছাড়েন। ৪৬ রানে জীবন পাওয়া এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত আউট হন ৬২ রান করে। তিনি যখন প্যাভিলিয়নে ফেরেন ততক্ষণে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার। নিগার সুলতানা জ্যোতির দল তৃতীয় ক্যাচ ছাড়ে ৪৯ ওভারে। এবার রাবেয়া খানের বলে ক্যাচ ছাড়েন স্বর্ণা আক্তার। লং অফে ২৬ রানে জীবন পাওয়া নাদিনি ডি ক্লার্ক পরের ওভারেই একটি করে চার ও ছক্কা হাঁকিয়ে নিশ্চিত করে দেয় বাংলাদেশের জয়।

প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বাংলাদেশের এমন হারের মূল কারণ হিসেবে দায়ী করা হচ্ছে এই ক্যাচ মিসকেই। সঙ্গে বোলিংয়ে থাকা খানিকটা দুর্বলতা। এ নিয়ে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘বল গ্রিপিং করা কঠিন ছিল। কুয়াশা ছিল বেশি। আমি চেষ্টা করেছি দলের সেরা বোলারদের দিয়ে বল করাতে, যারা ডেথে বল করে। আমার মনে হয় তারা অনেক ভালো বল করেছে। এখান থেকে অনেক শেখারও আছে। সামনে এমন পরিস্থিতিতে আমরা কী করতে পারি।’

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৪ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ পেয়েছে এক জয়। তাতে পয়েন্ট টেবিলের ছয়ে আছে। এখনো বাকি আছে আরো তিন ম্যাচ। বিশ্বকাপে ভালো ফল নিয়ে ঘরে ফিরতে হলে বাংলাদেশকে এখন জিততে হবে সবগুলো ম্যাচেই। তবে বাস্তবতা বলছে তিন ম্যাচের তিনটিতেই লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের জয়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ। ভবিষ্যতের চিন্তা না করে নিগার সুলতানা জ্যোতি অবশ্য এখন পর্যন্ত দল যেভাবে খেলেছে তাতে খুশি। এ নিয়ে তার ভাষ্য, ‘এটাই আমাদের শেষ ম্যাচ না। আরো তিনটি ম্যাচ আছে। আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত। যেভাবে খেলেছি, তাতে মাথা উঁচু রাখা উচিত।’

তিনি আরো যোগ করেন, ‘শেষ বল পর্যন্ত মেয়েরা যেভাবে লড়াই করেছে, তাতে আমি সত্যিই গর্বিত। খারাপও লাগছে কারণ ড্রেসিংরুমে তারা কাঁদছে। সবারই অল্প বয়স। আজ (কাল) তারা যেভাবে নিজেদের ১১০ শতাংশ নিবেদন করেছে, তাতে ভালো লাগছে। এখন তারা খুব আবেগের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, কারণ সবারই বিশ্বাস ছিল ম্যাচটা আমরা জিততে পারব। তাই আমার মনে হয়, এটা আমাদের জন্য শিক্ষণীয় অভিজ্ঞতা।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত