সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে শুরু থেকে দুরন্ত বোলিং করতে থাকে ভারত। প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা আর কুলদীপ যাদবের পেস-স্পিনে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকেন স্বাগতিকরা। তবে পেস ঝড় আর ঘূর্ণি জাদু সামলে সেঞ্চুরি হাঁকান কুইন্টন ডি কক। তবে দুই রানের জন্য ফিফটি মিস করেন টেম্বা বাভুমা। দুজনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ৪৭.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৭০ রানের পুঁজি গড়েছে সফরকারীরা। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ১-১ এ সমতা চলছে। সিরিজ জয়ের জন্য এখন ভারতের দরকার ২৭১ রান।
বিশাখাপত্তনমে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনে আপে প্রথম আঘাতটা হানেন আর্শদীপ সিং। শূন্য রানে ফিরিয়ে দেন ওপেনার রায়ান রিকেলটনকে। দলীয় সংগ্রহে তখন যোগ হয়েছে মাত্র ১ রান। দ্বিতীয় উইকেটটি তুলে নেন রবীন্দ্র জাদেজা। বিদায় নেন টেম্বা বাভুমা। তবে ততক্ষণে বিপদ কাটিয়ে ১১৪ রান তুলে ফেলে প্রোটিয়ারা। মাত্র ২ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করেন অতিথি দলের এই অধিনায়ক। বাকি ৮ উইকেট সমান ভাগে ভাগাভাগি করেছেন কুলদীপ আর কৃষ্ণা। কিন্তু দুর্ভাগ্য ফাইফারের দেখা পাননি তাদের দুজনের কেউ।
ক্রিজের এক প্রান্ত আগলে রেখে জাদুকরী তিন অঙ্কের দেখা পেয়েছেন কুইন্টন ডি কক। তারকা ওপেনার উপহার দিয়েছেন ১০৬ রানে দুরন্ত এক ইনিংস। ৮৯ বলের দাপুটে ইনিংসটি ৮ বাউন্ডারি ও ৬ ছক্কায় সাজান ডি কক। ডেওয়াল্ড ব্রেভিসের ২৯ রানের সঙ্গে ম্যাথু ব্রিটজকে এনে দেন ২৪ রান। শেষ দিকে ২০ রানে অপরাজিত থেকে যান কেশব মহারাজ। তাতে ইনিস খানিকটা বড় হয়েছে আরকি।
দাপুটে বোলিংয়ে সমান ৪টি করে উইকেট শিকার করেছেন কৃষ্ণা ও কুলদীপ। দুজনে খরচ করেছেন যথাক্রমে ৬৬ ও ৪১ রান। একটি করে উইকেট নেন আর্শদীপ ও জাদেজা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২৭০/১০, ৪৭.৫ ওভার (ডি কক ১০৬, বাভুমা ৪৮, ব্রেভিস ২৯, ব্রিটজকে ২৪, মহারাজ ২০*; কৃষ্ণা ৪/৬৬ ও কুলদীপ ৪/৪১)।

