স্পোর্টস রিপোর্টার
লক্ষ্য ছিল চ্যালেঞ্জিং। জিততে হলে দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে হতো কাউকে। সেটা করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারল লিটন দাসের দল। শেষটা জয় দিয়ে রাঙিয়ে সিরিজ শেষ করল পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মিরপরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাহিবজাদা ফারহানের ফিফটিতে (৬৩) ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় নেমে আসা-মিছিলে ছিল বাংলাদেশ। সেটা এমনই যে, দুই অংকের ডিজিটে যেতে পারেন মাত্র দুজন। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান উপহার আসে 'মিস্টার এক্সট্রা' তথা অতিরিক্ত খাত থেকে। ১০ রান আসে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। বাকিদের রান সংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় মোবাইল ডিজিটের সংখ্যায় - ০৮৯১০৫৯৭৭!
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তুলে লিটনের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফারহান ও সাইম আইয়ুব। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৫৭ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। ছয় ম্যাচ পর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ ছাড়িয়ে যায় তারা। টর্নেডোর মতো ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন ফারহান। ফখর জামানের জায়গায় সুযোগ পেয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন এই ওপেনার।
ফারহানের ফিফটির কিছুক্ষণ বাদেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন নাসুম আহমেদ। ভাঙে ৮২ রানের জুটি। ১৫ বলে ২১ রান করা সাইম ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন শামীম হোসেনকে। এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ হারিস। এরপর ফারহানকেও ফেরান নাসুম। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে শেখ মাহেদির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪১ বলে ৬৩ রান করা ফারহান।
১৩তম ওভারে ১৫ রান খরচ করেন মাহেদি। এরপরই হারিসকে ফেরায় বাংলাদেশ। তাসকিনের বলে ডিপ থার্ডম্যানে নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ১৪ বলে মাত্র ৫ রানের ইনিংস। এরপর দুর্দান্ত বোলিং ফিল্ডিং করতে থাকে বাংলাদেশ। তাতে আরও এক উইকেট হারায় পাকিস্তান। শরিফুলের বলে মাহেদিকে ক্যাচ দিয়ে ৩ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন হাসান নাওয়াজ।
এরপর সাইফউদ্দিনের শিকার ধরেন হুসেইন তালাতকে। লিটন দাসকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ বলে ১ রান করেছেন তালাত। ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ঝড়ো জুটি গড়েন আগা ও নাওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করা নাওয়াজকে শেষ ওভারের প্রথম বলে ফেরান তাসকিন। এরপর ফাহিম আশরাফকেও (৪) ফেরান তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তাসকিন। ২২ রান খরচায় ২ উইকেট দখল করেন নাসুম। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৮/৭ (সাহিবজাদা ৬৩, সাইম ২১, হাসান নাওয়াজ ৩৩, মোহাম্মাদ নাওয়াজ ২৭; শরিফুল ৪-০-৩৯-১, তাসকিন ৪-০-৩৮-৩, নাসুম ৪-০-২২-২, সাইফ ৪-০-২৮-১)।
বাংলাদেশ: ১৭.৪ ওভারে ১০৪ (নাঈম ১০, সাইফউদ্দিন ৩৫*; সালমান মির্জা ৪-০-১৯-৩, ফাহিম ২-০-১৩-২, দানিয়াল ৩-০-১৬-১, সালমান আগা ২-০-১২-১, তালাত ৩-০-৩২-২, মোহাম্মাদ নাওয়াজ ১.৪-০-৪-২)।
ফল: পাকিস্তান ৭৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাহিবজাদা ফারহান।
ম্যান অব দা সিরিজ: জাকের আলি।
লক্ষ্য ছিল চ্যালেঞ্জিং। জিততে হলে দুর্দান্ত ইনিংস খেলতে হতো কাউকে। সেটা করতে গিয়ে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইন। তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে ৭৪ রানের বড় ব্যবধানে হারল লিটন দাসের দল। শেষটা জয় দিয়ে রাঙিয়ে সিরিজ শেষ করল পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) মিরপরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সাহিবজাদা ফারহানের ফিফটিতে (৬৩) ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৭৮ রান তোলে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ১৬.৪ ওভারে ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
রান তাড়ায় নেমে আসা-মিছিলে ছিল বাংলাদেশ। সেটা এমনই যে, দুই অংকের ডিজিটে যেতে পারেন মাত্র দুজন। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন সাইফউদ্দিন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৩ রান উপহার আসে 'মিস্টার এক্সট্রা' তথা অতিরিক্ত খাত থেকে। ১০ রান আসে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাট থেকে। বাকিদের রান সংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় মোবাইল ডিজিটের সংখ্যায় - ০৮৯১০৫৯৭৭!
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই ঝড় তুলে লিটনের সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণিত করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার ফারহান ও সাইম আইয়ুব। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারেই ৫৭ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। ছয় ম্যাচ পর আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ৫০ ছাড়িয়ে যায় তারা। টর্নেডোর মতো ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন ফারহান। ফখর জামানের জায়গায় সুযোগ পেয়ে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি তুলে নেন এই ওপেনার।
ফারহানের ফিফটির কিছুক্ষণ বাদেই উইকেট হারায় পাকিস্তান। অষ্টম ওভারে সাইম আইয়ুবকে ফিরিয়ে দলকে প্রথম উইকেট এনে দেন নাসুম আহমেদ। ভাঙে ৮২ রানের জুটি। ১৫ বলে ২১ রান করা সাইম ডিপ স্কোয়ার লেগে ক্যাচ দিয়েছেন শামীম হোসেনকে। এরপর ক্রিজে আসেন মোহাম্মদ হারিস। এরপর ফারহানকেও ফেরান নাসুম। স্লগ সুইপ করতে গিয়ে শেখ মাহেদির হাতে ক্যাচ দিয়েছেন ৪১ বলে ৬৩ রান করা ফারহান।
১৩তম ওভারে ১৫ রান খরচ করেন মাহেদি। এরপরই হারিসকে ফেরায় বাংলাদেশ। তাসকিনের বলে ডিপ থার্ডম্যানে নাসুমের হাতে ক্যাচ দিয়ে শেষ হয় তার ১৪ বলে মাত্র ৫ রানের ইনিংস। এরপর দুর্দান্ত বোলিং ফিল্ডিং করতে থাকে বাংলাদেশ। তাতে আরও এক উইকেট হারায় পাকিস্তান। শরিফুলের বলে মাহেদিকে ক্যাচ দিয়ে ৩ ছক্কায় ১৭ বলে ৩৩ রান করে ফেরেন হাসান নাওয়াজ।
এরপর সাইফউদ্দিনের শিকার ধরেন হুসেইন তালাতকে। লিটন দাসকে ক্যাচ দেওয়ার আগে ৪ বলে ১ রান করেছেন তালাত। ১৩২ রানে ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর ঝড়ো জুটি গড়েন আগা ও নাওয়াজ। ১৬ বলে ২৭ রান করা নাওয়াজকে শেষ ওভারের প্রথম বলে ফেরান তাসকিন। এরপর ফাহিম আশরাফকেও (৪) ফেরান তিনি।
বাংলাদেশের পক্ষে ৪ ওভারে ৩৮ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তাসকিন। ২২ রান খরচায় ২ উইকেট দখল করেন নাসুম। ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৭৮/৭ (সাহিবজাদা ৬৩, সাইম ২১, হাসান নাওয়াজ ৩৩, মোহাম্মাদ নাওয়াজ ২৭; শরিফুল ৪-০-৩৯-১, তাসকিন ৪-০-৩৮-৩, নাসুম ৪-০-২২-২, সাইফ ৪-০-২৮-১)।
বাংলাদেশ: ১৭.৪ ওভারে ১০৪ (নাঈম ১০, সাইফউদ্দিন ৩৫*; সালমান মির্জা ৪-০-১৯-৩, ফাহিম ২-০-১৩-২, দানিয়াল ৩-০-১৬-১, সালমান আগা ২-০-১২-১, তালাত ৩-০-৩২-২, মোহাম্মাদ নাওয়াজ ১.৪-০-৪-২)।
ফল: পাকিস্তান ৭৪ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
ম্যান অব দা ম্যাচ: সাহিবজাদা ফারহান।
ম্যান অব দা সিরিজ: জাকের আলি।
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৯ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৯ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
১০ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
১৩ ঘণ্টা আগে