ইয়ামালকে নিয়ে এল ক্লাসিকোতে এলাহি কাণ্ড

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৫: ৪২

এল ক্লাসিকো মানেই বার্সেলোনা ও রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের মধ্যে মাঠ ও মাঠের বাইরে রোমাঞ্চ আর উন্মাদনার জোয়ার। মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতেও এর ব্যতিক্রম দেখা গেল না। রিয়ালের কাছে ২-১ গোলে হারের আগে উত্তাপ ছড়ায় লামিনে ইয়ামালের একটি কথা, ‘রিয়াল মাদ্রিদ চুরি করে আর অভিযোগ করে’। ম্যাচের আগেই ইয়ামালের এই মন্তব্য নিয়ে বিরক্তির কথা জানিয়েছিলেন রিয়াল তারকা দানি কারভাহাল। ম্যাচ শেষেও এই কথার জেরে উত্তেজনা চরমে পৌঁছে যায়।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচে ইয়ামাল যখনই বল স্পর্শ করেছেন, পুরো সান্তিয়াগো বার্নাব্যু দুয়োধ্বনি দিয়েছে বার্সার উঠতি তারকাকে। ম্যাচের শেষ বাঁশির পর উত্তাপ-উত্তেজনা দৃষ্টিকটু পর্যায়ের সীমা ছাড়িয়েছে। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার আগমুহূর্তে রেফারি সিজার সোটো গ্রাদো বার্সেলোনার মিডফিল্ডার পেদ্রিকে লাল কার্ড দেখান। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের ডাগআউটে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যার কেন্দ্রে চলে আসেন ভিনিসিয়াস জুনিয়র ও ইয়ামাল। ডাগআউট থেকে তর্কে জড়ান দুজন। এরপর ইয়ামালের জাতীয় দলের সতীর্থ দানি কারভাহাল ইয়ামালকে বলেন, ‘তুমি অনেক কথা বলো। এখন বলো দেখি!’ তখন ইয়ামাল কারভাহালের দিকে তেড়ে গেলে তাকে থামিয়ে দেন এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গা। এরপর দুই দলের অন্য খেলোয়াড়রা সেখানে চলে এলে শুরু হয় হাতাহাতি। এই ঘটনায় ভিনিসিয়াস, ফেরান তোরেস, আলেহান্দ্রো বালদে, ফারমিন লোপেজ, রদ্রিগো এবং এদার মিলিতাওকে হলুদ কার্ড দেখানো হয়। রিয়ালের গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন দেখেছেন লাল কার্ড।

এরপর ইয়ামালকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করেন জুড বেলিংহ্যাম। ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে ক্যাপশনে বেলিংহ্যাম লিখেছেন, ‘সস্তা কথা বলাই যায়। তবে সবসময় হালা মাদ্রিদ (জেতে)।’ এ ঘটনায় রিয়ালের খেলোয়াড়দের আগ্রাসী আচরণে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বার্সার ডাচ মিডফিল্ডার ফ্রেংকি ডি ইয়ং। গণমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘শুরুটা কীভাবে হয়েছিল আমি আসলে দেখিনি। যখন রেফারি শেষ বাঁশি বাজালেন, রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা লামিনের দিকে তেড়ে যায়। এটি তাদের বাড়াবাড়ি আচরণ।’

আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিষয়:

ফুটবল
এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত