Ad T1

চ্যাম্পিয়নস লিগ

ফ্লিক হতাশ, ইনজাগি গর্বিত

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ মে ২০২৫, ২৩: ০০
সিমোনে ইনজাগি ও হান্সি ফ্লিক

কোপা দেল রে’র শিরোপা আগেই নিজেদের শোকেসে সাজিয়ে ফেলেছে বার্সেলোনা। স্প্যানিশ লিগের শ্রেষ্ঠত্ব নিজেদের করে নেওয়াটা শুধুই সময়ের অপেক্ষা মাত্র। চিরশত্রু রিয়াল মাদ্রিদ থেকে এখন চার পয়েন্টে এগিয়ে ব্লুগ্রানাররা। সুযোগ ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগে শিরোপা জয়েরও। তাইতো ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন বুনেছিলেন কোচ হান্সি ফ্লিকের শিষ্যরা। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন এখন পরিণত হয়েছে দুঃস্বপ্নে। সেমিফাইনালের ফিরতি লেগে শ্বাসরুদ্ধকর মহারণে ইন্টার মিলানের কাছে ৪-৩ গোলে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সা। সামনে সুযোগ এখন লা লিগা জেতার। রোববার রাতে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালকে হারাতে পারলেই লিগ শিরোপা অনেকটা নিশ্চিত হয়ে যাবে বার্সার। তাইতো ইন্টারের কাছে হারের পর এখন রিয়াল ম্যাচেই নজর দিয়েছেন বার্সার ফুটবল গুরু ফ্লিক।

লা লিগার শিরোপায় চোখ রেখে ফ্লিক বলেন, ‘এখান থেকে আমরা শিখব। শেখার পালা চলতে থাকবে আমাদের। সময় খুব বেশি নেই, তবে আগামী সপ্তাহান্তে আবার আমরা ফিরব নতুন আশা নিয়ে। কাজটা কঠিন হবে, তবে আমরা নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দেব। লড়াই চলতে থাকবে। প্রস্তুতির জন্য পাঁচদিন সময় আছে আমাদের এবং আমরা এটা জিততে চাই। আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রফির জন্য তাড়না।’

হতাশ ফ্লিক কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন মাঠের রেফারিকে, ‘আমি জানি, সবাই হতাশ। আমরা আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছিলাম, কিন্তু…। রেফারিকে নিয়ে খুব বেশি কথা বলতে চাই না, তবে প্রতিটি ৫০-৫০ সিদ্ধান্ত ওদের (ইন্টার) পক্ষে গেছে। আমি হতাশ অবশ্যই, তবে আমার দলকে নিয়ে নয়। ওরা সবটুকু চেষ্টা করেছে। যা হওয়ার হয়ে গেছে। আমরা বাদ পড়েছি। পরের বছর চেষ্টা করব সমর্থকদের খুশি করতে।’

বার্সেলোনার হৃদয় ভেঙে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত সিমোনে ইনজাগি। ইন্টার মিলান কোচ জানালেন, মাঠে হৃদয় দিয়ে লড়ায় শেষ হাসি তার দলই হাসতে পেরেছে, ‘দারুণ নজির মেলে ধরেছে ছেলেরা। ছেলেদের বলেছিলাম এই বিশ্বাস রাখতে যে, আমরা বার্সেলোনাকে আটকাতে পারব। কাজটা সহজ ছিল না, তবে আমরা পেরেছি। প্রতিটি প্রতিকূলতা জয় করার জন্য হৃদয় দিয়ে লড়তে হয়েছে আমাদের। দারুণ খেলেই জিততে হয়েছে । দলের পারফরম্যান্সে আমি খুবই খুশি। দুই লেগে দুটি অসাধারণ পারফরম্যান্স মেলে ধরেছে তারা। ফাইনালে পৌঁছাতে এমন কিছুরই প্রয়োজন ছিল। ওদের কোচ হতে পেরে আমি গর্বিত। ছেলেরা নিজেদের সবটুকু উজাড় করে খেলেছে।’

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত