চ্যাম্পিয়নস লিগ
স্পোর্টস ডেস্ক
ঠিক ১৫ বছর আগে সবশেষ সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল। পুরোনো সেই স্মৃতিটা ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে বার্সেলোনা-ইন্টার মিলান। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে ফের মুখোমুখি হচ্ছে দুদল। বার্সার ঘরের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে আতিথ্য নিতে যাচ্ছে ইন্টার। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাকর এ টুর্নামেন্টের সেমির প্রথম লেগ খেলতে আজ বুধবার রাত ১টায় মাঠে নামছে ক্লাব দুটি। স্পেনের বিদ্যুৎবিভ্রাটের জন্য এ ম্যাচ আয়োজন নিয়ে রয়েছে খানিকটা অনিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকায় দুদলের মহারণ নিয়ে আছে কিছুটা আশাবাদও।
তবে পুরোনো সেই স্মৃতিটা মোটেই সুখকর ছিল না কাতালানদের জন্য। ২০১০ সালে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে বার্সার হৃদয় ভেঙেছিল সেবার ইন্টার মিলান। শুধু তা-ই নয়, পরে বায়ার্ন মিউনিখকে ফাইনালে হতাশ করে টুর্নামেন্টটির মুকুটও ঘরে তুলেছিল ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্লাবটি। এবার সেই সুখস্মৃতি পুনঃমঞ্চায়ন করতে চায় মিলানের জায়ান্ট ক্লাবটি। কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা বার্সা এবার যে করেই হোক জিততে চায়। নিতে চায় ১৫ বছর আগের হারের মধুর প্রতিশোধ। ইতালিয়ানদের বিদায় করে টিকিট কাটতে চায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের। ৩১ মে ইউরোপসেরাদের আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মোকাবিলা করতে চায় পিএসজি বা আর্সেনালকে।
অনেকটা হেসেখেলেই কোয়ার্টার ফাইনালের বৈতরণী পেরিয়ে গেছে বার্সা। সহজে সেমিফাইনালে নিজেদের নাম লিখে এখন দৃষ্টি রাখছে শিরোপায়। ২০১৫ সালে নিজেদের পঞ্চম ইউরোপিয়ান ট্রফি জয়ের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার মিশন নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে ব্লুগানাররা। কিন্তু এই মাঝের সময়ে তাদের চিরশত্রু রিয়াল মাদ্রিদ মহাদেশীয় এ শিরোপা জিতে নিয়েছে পাঁচটি। তবে ইউরোপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবার শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে। কিন্তু বার্সার ভয়ডরহীন তারুণ্যনির্ভর দল এখনো টিকে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে।
হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে ইউরোপিয়ান আসরে নিজেদের প্রথম মৌসুমে দারুণ খেলে যাচ্ছে বার্সা। এবারের মৌসুমে ১২ ম্যাচ খেলে হার মেনেছে মাত্র দুটি ম্যাচে। লিগ পর্বে ফরাসি ক্লাব মোনাকোর বিপক্ষে একটি, আর কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে আরেকটি। সবার ওপরে থাকা লিভারপুলের (৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট) চেয়ে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়ে লিগ ফেজ শেষ করেছিল বার্সা (১৯ পয়েন্ট)। পরে শেষ ১৬ পর্বে তারা হারায় বেনফিকাকে। প্রতি ম্যাচে তারা পেয়েছে গড়ে ৩.১ গোল। গোল স্কোরিংয়ে তাদের চেয়ে এগিয়ে কেবল ফ্লিকের সাবেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ (৩.২)। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কাজের কাজটি করে রেখেছিল বার্সা। তাইতো ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে হেরেও ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের টিকিট কাটে এ স্প্যানিশ জায়ান্ট। অথচ গত ছয়বারের চেষ্টায় পাঁচবারই তারা থেমে গেছে ঠিক এই স্টেজে এসে। কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকে গেছে তারা মাত্র একবার।
সেমিতে ওঠার পথে বার্সা ঘরের মাঠে জিতেছে পাঁচ ম্যাচ। ছয় ম্যাচের মধ্যে ড্র করেছে মাত্র একটি। গোল পেয়েছে ২১টি। সেভিয়ার মাঠে ফ্লিকের শিষ্যরা জালে জড়িয়েছে আরো তিন গোল। এল ক্লাসিকো সংস্করণের কোপা দে রে’র ফাইনাল জিতে বার্সা রয়েছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। স্প্যানিশ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এখন চার পয়েন্টে এগিয়ে তারা। লা লিগায় নিজেদের ২৮ ম্যাচের মধ্যে বার্সা জিতেছে ২৩টি। দারুণ এই পরিসংখ্যান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আজ রাতে নিজেদের মাঠে প্রথম লেগ জিতে এগিয়ে থাকতে চায় বার্সা। কারণ, ফিরতি লেগ ইন্টারের মাঠে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের গত ১৫ হোম ম্যাচে তো হারেনি ইন্টার। রাফিনহা-ইয়ামালদের ভয়টা ঠিক এই পরিসংখ্যানেই!
মুখোমুখি
বার্সেলোনা - ইন্টার মিলান
জয় ড্র জয়
৬ ৪ ২
১৭ গোল ১০
৫ শিরোপা ৩
ঠিক ১৫ বছর আগে সবশেষ সেমিফাইনালে দেখা হয়েছিল। পুরোনো সেই স্মৃতিটা ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে বার্সেলোনা-ইন্টার মিলান। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ চারে ফের মুখোমুখি হচ্ছে দুদল। বার্সার ঘরের মাঠ এস্তাদিও অলিম্পিক লুইস কোম্পানিসে আতিথ্য নিতে যাচ্ছে ইন্টার। ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে মর্যাদাকর এ টুর্নামেন্টের সেমির প্রথম লেগ খেলতে আজ বুধবার রাত ১টায় মাঠে নামছে ক্লাব দুটি। স্পেনের বিদ্যুৎবিভ্রাটের জন্য এ ম্যাচ আয়োজন নিয়ে রয়েছে খানিকটা অনিশ্চয়তা। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকায় দুদলের মহারণ নিয়ে আছে কিছুটা আশাবাদও।
তবে পুরোনো সেই স্মৃতিটা মোটেই সুখকর ছিল না কাতালানদের জন্য। ২০১০ সালে দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ গোলে বার্সার হৃদয় ভেঙেছিল সেবার ইন্টার মিলান। শুধু তা-ই নয়, পরে বায়ার্ন মিউনিখকে ফাইনালে হতাশ করে টুর্নামেন্টটির মুকুটও ঘরে তুলেছিল ইতালিয়ান জায়ান্ট ক্লাবটি। এবার সেই সুখস্মৃতি পুনঃমঞ্চায়ন করতে চায় মিলানের জায়ান্ট ক্লাবটি। কিন্তু দারুণ ফর্মে থাকা বার্সা এবার যে করেই হোক জিততে চায়। নিতে চায় ১৫ বছর আগের হারের মধুর প্রতিশোধ। ইতালিয়ানদের বিদায় করে টিকিট কাটতে চায় চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালের। ৩১ মে ইউরোপসেরাদের আসরের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মোকাবিলা করতে চায় পিএসজি বা আর্সেনালকে।
অনেকটা হেসেখেলেই কোয়ার্টার ফাইনালের বৈতরণী পেরিয়ে গেছে বার্সা। সহজে সেমিফাইনালে নিজেদের নাম লিখে এখন দৃষ্টি রাখছে শিরোপায়। ২০১৫ সালে নিজেদের পঞ্চম ইউরোপিয়ান ট্রফি জয়ের পর এই প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার মিশন নিয়ে মাঠে নামতে যাচ্ছে ব্লুগানাররা। কিন্তু এই মাঝের সময়ে তাদের চিরশত্রু রিয়াল মাদ্রিদ মহাদেশীয় এ শিরোপা জিতে নিয়েছে পাঁচটি। তবে ইউরোপের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা এবার শ্রেষ্ঠত্ব জয়ের লড়াই থেকে ছিটকে গেছে। কিন্তু বার্সার ভয়ডরহীন তারুণ্যনির্ভর দল এখনো টিকে রয়েছে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে।
হ্যান্সি ফ্লিকের অধীনে ইউরোপিয়ান আসরে নিজেদের প্রথম মৌসুমে দারুণ খেলে যাচ্ছে বার্সা। এবারের মৌসুমে ১২ ম্যাচ খেলে হার মেনেছে মাত্র দুটি ম্যাচে। লিগ পর্বে ফরাসি ক্লাব মোনাকোর বিপক্ষে একটি, আর কোয়ার্টার ফাইনালের ফিরতি লেগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে আরেকটি। সবার ওপরে থাকা লিভারপুলের (৮ ম্যাচে ২১ পয়েন্ট) চেয়ে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় হয়ে লিগ ফেজ শেষ করেছিল বার্সা (১৯ পয়েন্ট)। পরে শেষ ১৬ পর্বে তারা হারায় বেনফিকাকে। প্রতি ম্যাচে তারা পেয়েছে গড়ে ৩.১ গোল। গোল স্কোরিংয়ে তাদের চেয়ে এগিয়ে কেবল ফ্লিকের সাবেক ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ (৩.২)। কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়ে কাজের কাজটি করে রেখেছিল বার্সা। তাইতো ফিরতি লেগে ৩-১ গোলে হেরেও ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ের টিকিট কাটে এ স্প্যানিশ জায়ান্ট। অথচ গত ছয়বারের চেষ্টায় পাঁচবারই তারা থেমে গেছে ঠিক এই স্টেজে এসে। কোয়ার্টার ফাইনালের বাধা টপকে গেছে তারা মাত্র একবার।
সেমিতে ওঠার পথে বার্সা ঘরের মাঠে জিতেছে পাঁচ ম্যাচ। ছয় ম্যাচের মধ্যে ড্র করেছে মাত্র একটি। গোল পেয়েছে ২১টি। সেভিয়ার মাঠে ফ্লিকের শিষ্যরা জালে জড়িয়েছে আরো তিন গোল। এল ক্লাসিকো সংস্করণের কোপা দে রে’র ফাইনাল জিতে বার্সা রয়েছে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে। স্প্যানিশ শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে এখন চার পয়েন্টে এগিয়ে তারা। লা লিগায় নিজেদের ২৮ ম্যাচের মধ্যে বার্সা জিতেছে ২৩টি। দারুণ এই পরিসংখ্যান থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে আজ রাতে নিজেদের মাঠে প্রথম লেগ জিতে এগিয়ে থাকতে চায় বার্সা। কারণ, ফিরতি লেগ ইন্টারের মাঠে যে কোনো কিছু ঘটতে পারে। চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের গত ১৫ হোম ম্যাচে তো হারেনি ইন্টার। রাফিনহা-ইয়ামালদের ভয়টা ঠিক এই পরিসংখ্যানেই!
মুখোমুখি
বার্সেলোনা - ইন্টার মিলান
জয় ড্র জয়
৬ ৪ ২
১৭ গোল ১০
৫ শিরোপা ৩
দারুণ ফর্মে রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। ঘরোয়া থেকে ইউরোপিয়ান ফুটবল- প্রতিটি জায়গাতেই দাপট দেখিয়ে চলেছে কোচ জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। লা লিগায় এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে জিতেছে ৮টিতেই। হার বলতে একটিতে।
৮ ঘণ্টা আগেদারুণ সময় কাটছে আর্সেনালের। আগে থেকেই জয়ের ছন্দে ছিল কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ছুটে চলছিল জয়ে রথে চেপে। তার ধারাবাহিকতায় চ্যাম্পিয়নস লিগে তুলে নিয়েছে আরও একটি বড় জয়। ইংলিশ জায়ান্ট ক্লাবটি ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। সব ধরনের টুর্নামেন্ট মিলিয়ে এনিয়ে টানা ছয় ম্যাচে জয় পেল ক্লাবটি।
৯ ঘণ্টা আগেবার্সেলোনাকে হারানোর পর থেকেই সময়টা যেন ভালো যাচ্ছিল না। মাঠের পারফরম্যান্সে কোথায় যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিল পিএসজি। ফরাসি লিগ ওয়ানে হোঁচট খেয়ে বসে পরপর দুই ম্যাচে। স্ত্রাসবুর্গের বিপক্ষে ছয় গোলের থ্রিলার ম্যাচে জয়বঞ্চিত হয়েছে দলটি।
৯ ঘণ্টা আগেবাবা ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর মতো ছেলেও খেলবেন পর্তুগালের জাতীয় দলে। স্বপ্নের সেই পথে একটু একটু করে এগোচ্ছেন তনয় ক্রিশ্চিয়ানো জুনিয়র। গত মে’তে পর্তুগাল অনূর্ধ্ব-১৫ দলে জায়গা পেয়েছিলেন।
১২ ঘণ্টা আগে