ব্রিসবেনে রোমাঞ্চকর এক দিন কাটল। ব্যাটে-বলে তুমুল লড়াই জমিয়ে তুলল অস্ট্রেলিয়া আর ইংল্যান্ড। অ্যাশেজ সিরিজে এমন তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা উপভোগের অপেক্ষায়ই তো থাকেন ক্রীড়ামোদিরা। প্রথমে বল হাতে পেস ঝড় তুললেন মিচেল স্টার্ক। তারকা এ পেসার একাই শিকার করলেন ইংল্যান্ডের ৬ উইকেট।
এ অজি তারকার আগুনে বোলিংয়ের জবাবটা ব্যাটিংয়ে বেশ ভালোভাবেই দিয়ে দিয়েছেন জো রুট। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রয়ে গেছেন অপরাজিত। তার জাদুকরী তিন অঙ্কের দারুণ এক ইনিংসের সঙ্গে হাফসেঞ্চুরি হাঁকান জ্যাক ক্রলি। দুজনের দাপুটে ব্যাটিংয়ে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩২৫ রান সংগ্রহ করেছে ইংলিশরা।
ক্ষুরধার বোলিংয়ে শুরুতেই স্টার্ক নাড়িয়ে দেন ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ। দলীয় ৫ রানের মাথায় ওপেনার বেন ডাকেট ও ওয়ানডাউনে নামা অলি পেপকে ফিরিয়ে দেন রানের খাতা খোলার আগেই। তবে দুরন্ত ব্যাটিংয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন জো রুট ও জ্যাক ক্রলি। তৃতীয় উইকেটে দুজনে মিলে ১৫২ বলে গড়েন ১১৭ রানের দারুণ এক জুটি। ৯৩ বলে ১১ বাউন্ডারিতে ৭৬ রানে চমৎকার এক ইনিংস খেলে ক্রিজ থেকে বিদায় নেন ওপেনার ক্রলি।
তবে এখনো ব্যাট হাতে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রুট। ২০২ বলে ১৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ১৩৫* রানের অসাধারণ এক ইনিংস খেলে এখনো উইকেটে টিকে রয়েছেন। ৩১ রান এনে দেন হ্যারি ব্রুক। ৩২ রান নিয়ে রুটকে সঙ্গ দিয়ে দিন শেষে অপরাজিত থেকে গেছেন জোফরা আর্চারও। তবে তার আগে ১৩ রানে ব্যবধানে স্টার্ক ফিরিয়ে দেন উইল জ্যাকস, গাস অ্যাটকিনসন আর ব্রাইডন কার্স।
অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৭১ রান দিয়ে ৬ উইকেট শিকার করেন মিচেল স্টার্ক। টেস্টে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক এখন স্টার্ক (৪১৮)। ছাড়িয়ে গেছে পাকিস্তানের লিজেন্ড পেসার ওয়াসিম আকরামকে (৪১৪)। মাইকেল নেসার আর স্কটল্যান্ড বোল্যান্ড একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস : ৩২৫/৯, ৭৪ ওভারে (রুট ১৩৫*, ক্রলি ৭৬, আর্চার ৩২*, ব্রুক ৩১; স্টার্ক ৬/৭১, নেসার ১/৪৩ ও বোল্যান্ড ১/৮৭)। *প্রথম দিন শেষে

