স্পোর্টস রিপোর্টার
প্রথম ২ ওভারেই রান ৩২! ২০২ রানের লক্ষ্য তখন মনে হচ্ছিলো ক্ষনিকের পথ। কিন্তু দলটা যে বাংলাদেশ। মুহূর্তেই ব্যাটিং ধ্বংস এবং চোখের পলকে ৫৪/৩! সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না লিটন দাসের দল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ রানের পরাজয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাকিস্তানের হাতে ট্রফি তুলে দিলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ এখন কেবলই আনুষ্ঠানিকতার!
শুক্রবার (৩০ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাট টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে তানজিম সাকিবের ফিফটিতে ১৯ ওভারে ১৪৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ঝড়ো শুরু করলেন তানজিদ হাসান। তবে সেটা প্রথম ২ ওভারেই। এরপর একের পর এক আসা-যাওয়ার মিছিল। তাতে মাত্র ৩ ব্যাটার ছাড়া কেউ দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৫০ করেন তানজিম, তানজিদ করেন ৩৩, মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আবরার আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, হাসান আলী, খুশদিল শাহ, আবরার আহনেদ, সাইম আইয়ুব ও শাদাব খান।
এর আগে, টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজের তৃতীয় বল তুলে মারতে চেয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। বল উঠে যায় আকাশে। পয়েন্ট থেকে দৌড়ে কাভারের দিকে গিয়ে ঝাঁপিয়ে বল নাগালে পেলেও মিস করেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
পরের ওভারেই রানআউটে ফিরে যান সাইম আইয়ুব। লং অন বাউন্ডারি থেকে ফিল্ডিং করে বল পাঠিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়, স্টাম্প ভেঙেছেন লিটন দাস। পরের দুই ওভারে ৩১ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। মিরাজের ওভারে ১৪ ও হাসানের ওভারে খরচ হয় ১৭ রান।
এরপর চলতে থাকে পাকিস্তানের ঝড়ো ব্যাটিং। পাওয়ার প্লেতে তাদের রান দাঁড়ায় ৬৭/১। সাইম আইয়ুব রানআউট হয়ে ফিরলেও সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে পাকিস্তান ৬৭ রান তুলেছে। এরপর আরেকবার জীবন পান ফারহান। রিশাদকে তুলে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুললেও ক্যাচ মিস করেন মিরাজ।
পরের ওভারে হারিসকে ফেরান তানজিম। পয়েন্টে সোজা রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হারিস (২৫ বলে ৪১ রান)। এরপর ক্রিজে আসেন হাসান নওয়াজ। আরেক প্রান্তে ফিফটি তুলে অপরাজিত ফারহান।
এরপর ফারহানকেও থামান রিশাদ। দুবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যাওয়া ফারহান রিশাদ হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন। আউট হওয়ার আগে ৪টি চার আর ৬টি ছক্কায় ৪১ বলে করেছেন ৭৬ রান।
এরপর ঝড়ো ইনিংস খেলেন হাসান নাওয়াজ। ২৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫১ রান। আর তাতেই দুইশ ছাড়ানো বড় পুঁজি পায় পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৬ (সাহিবজাদা ৭৪, হারিস ৪১, নাওয়াজ ৫১*; তানজিম ৪-০-৩৬-২, রিশাদ ৪-০-৫০-১)
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৪৪ (তানজিদ ৩৩, মিরাজ ২৩, তানজিম ৫০, হাসান ৮*; আবরার ৪-০-১৯-৩, শাদাব ২-০-১৩-১)
ফল: পাকিস্তার ৫৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ : সাহিবজাদা ফারহান
প্রথম ২ ওভারেই রান ৩২! ২০২ রানের লক্ষ্য তখন মনে হচ্ছিলো ক্ষনিকের পথ। কিন্তু দলটা যে বাংলাদেশ। মুহূর্তেই ব্যাটিং ধ্বংস এবং চোখের পলকে ৫৪/৩! সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়াতে পারলো না লিটন দাসের দল। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ৫৭ রানের পরাজয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই পাকিস্তানের হাতে ট্রফি তুলে দিলো বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচ এখন কেবলই আনুষ্ঠানিকতার!
শুক্রবার (৩০ মে) লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে ব্যাট টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে তানজিম সাকিবের ফিফটিতে ১৯ ওভারে ১৪৪ রান পর্যন্ত যেতে পারে বাংলাদেশ।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুটা হয়েছিল দুর্দান্ত। ঝড়ো শুরু করলেন তানজিদ হাসান। তবে সেটা প্রথম ২ ওভারেই। এরপর একের পর এক আসা-যাওয়ার মিছিল। তাতে মাত্র ৩ ব্যাটার ছাড়া কেউ দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। সর্বোচ্চ ৫০ করেন তানজিম, তানজিদ করেন ৩৩, মিরাজের ব্যাট থেকে আসে ২৩ রান।
পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন আবরার আহমেদ। ১টি করে উইকেট নেন ফাহিম আশরাফ, হারিস রউফ, হাসান আলী, খুশদিল শাহ, আবরার আহনেদ, সাইম আইয়ুব ও শাদাব খান।
এর আগে, টস হেরে ফিল্ডিং করতে নেমে প্রথম ওভারেই ক্যাচ মিস করে বাংলাদেশ। মেহেদি হাসান মিরাজের তৃতীয় বল তুলে মারতে চেয়েছেন সাহিবজাদা ফারহান। বল উঠে যায় আকাশে। পয়েন্ট থেকে দৌড়ে কাভারের দিকে গিয়ে ঝাঁপিয়ে বল নাগালে পেলেও মিস করেছেন তানজিম হাসান সাকিব।
পরের ওভারেই রানআউটে ফিরে যান সাইম আইয়ুব। লং অন বাউন্ডারি থেকে ফিল্ডিং করে বল পাঠিয়েছিলেন তাওহিদ হৃদয়, স্টাম্প ভেঙেছেন লিটন দাস। পরের দুই ওভারে ৩১ রান তুলে নেয় পাকিস্তান। মিরাজের ওভারে ১৪ ও হাসানের ওভারে খরচ হয় ১৭ রান।
এরপর চলতে থাকে পাকিস্তানের ঝড়ো ব্যাটিং। পাওয়ার প্লেতে তাদের রান দাঁড়ায় ৬৭/১। সাইম আইয়ুব রানআউট হয়ে ফিরলেও সাহিবজাদা ফারহান ও মোহাম্মদ হারিসের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে প্রথম ৬ ওভারে পাকিস্তান ৬৭ রান তুলেছে। এরপর আরেকবার জীবন পান ফারহান। রিশাদকে তুলে মারতে গিয়ে বল আকাশে তুললেও ক্যাচ মিস করেন মিরাজ।
পরের ওভারে হারিসকে ফেরান তানজিম। পয়েন্টে সোজা রিশাদের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন হারিস (২৫ বলে ৪১ রান)। এরপর ক্রিজে আসেন হাসান নওয়াজ। আরেক প্রান্তে ফিফটি তুলে অপরাজিত ফারহান।
এরপর ফারহানকেও থামান রিশাদ। দুবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যাওয়া ফারহান রিশাদ হোসেনের বলে উইকেটের পেছনে লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়েছেন। আউট হওয়ার আগে ৪টি চার আর ৬টি ছক্কায় ৪১ বলে করেছেন ৭৬ রান।
এরপর ঝড়ো ইনিংস খেলেন হাসান নাওয়াজ। ২৬ বলে ২ চার ও ৩ ছক্কায় করেন ৫১ রান। আর তাতেই দুইশ ছাড়ানো বড় পুঁজি পায় পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ২০১/৬ (সাহিবজাদা ৭৪, হারিস ৪১, নাওয়াজ ৫১*; তানজিম ৪-০-৩৬-২, রিশাদ ৪-০-৫০-১)
বাংলাদেশ: ১৯ ওভারে ১৪৪ (তানজিদ ৩৩, মিরাজ ২৩, তানজিম ৫০, হাসান ৮*; আবরার ৪-০-১৯-৩, শাদাব ২-০-১৩-১)
ফল: পাকিস্তার ৫৭ রানে জয়ী।
সিরিজ: তিন ম্যাচ সিরিজে পাকিস্তান ২-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ : সাহিবজাদা ফারহান
আগামী ৩০ অক্টোবর ভারতের গোয়ায় শুরু হবে ফিদে ওয়ার্ল্ড কাপ দাবা-২০২৫। চলবে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত। এই ওয়ার্ল্ড কাপে বাংলাদেশের দুই আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও মনন রেজা নীড় অংশ নিচ্ছেন।
৪ মিনিট আগে৩৪তম জাতীয় সাঁতারে আজ তৃতীয় দিনে আরো তিনটি নতুন রেকর্ড হয়েছে। মিরপুর জাতীয় সুইমিং কমপ্লেক্সে ডাইভিং ও ওয়াটার পোলোতে এ রেকর্ডগুলো হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের আসরে মোট ১৫টি নতুন জাতীয় রেকর্ড হলো।
৩৮ মিনিট আগেসেন্ট্রাল এশিয়া ভলিবল এসোসিয়েশনের (কাভা) টুর্নামেন্ট কাভা কাপে জয় দিয়ে যাত্রা শুরু করল বাংলাদেশ। মালদ্বীপকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে স্বাগতিকরা। বুধবার উদ্বোধনী দিনে সহজ জয় পেয়েছে তুর্কমেনিস্তানও।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ আফ্রিকা লিড নিতে পারবে কি না, সেটা নিয়েই দেখা দিয়েছিল অনিশ্চয়তা। কিন্তু দশম উইকেটে ক্যাগিসো রাবাদা পার্টনার সেনুরান মুথুসামির সঙ্গে দুরন্ত ব্যাটিং করে লিখে ফেলেছেন নতুন ইতিহাস। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টের তৃতীয় দিনে আজ বুধবার পাকিস্তানের বোলারদের হতাশ করে রেকর্ড গড়েছেন তারকা এ পেসার।
২ ঘণ্টা আগে