
স্পোর্টস ডেস্ক

জেমিমাহ রুদ্রিগেজ গিটারটা খুব ভালো বাজাতে পারেন। ক্রিকেটের বাইরেও গিটারই তার প্রিয় সঙ্গী। কিন্তু আসল কাজটা তো মাঠে, ব্যাট হাতে। যে সুরটা বাকি রয়ে গিয়েছিল, সেটাও দেখে ফেলল সমগ্র ভারত। জেমিমাহ সুর তুললেন ব্যাট হাতে। ৫ মিনিটের প্রস্তুতিতে খেললেন মহাকাব্যিক এক ইনিংস। যে ইনিংসে চড়ে ভারত পৌঁছে গেল বিশ্বকাপের ফাইনালের মহামঞ্চে, যে সুরে মাতোয়ারা হলো ক্রিকেট বিশ্ব। জেমিমাহ স্তুতিতে মেতে ওঠলেন ক্রিকেট আকাশের তারকা-মহাতারকারা। জেমিমাহর কাছে এ যেন রূপকথার গল্প।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষে জেমিমাহ গেলেন শাওয়ার নিতে। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করবেন, তার হাতে সময় আছে যথেষ্ট। কিন্তু পরে জানতে পারলেন, তাকে খেলতে হবে তিন নম্বরে। প্রস্তুতি সারতে সময় পেলেন মাত্র ৫ মিনিট! শাওয়ার থেকে ড্রেসিংরুম হয়ে বাইশগজের ক্রিজে, এরপর সোয়া তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে ১৩৪ বলে ১৪ চারে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩৩৯ রান তাড়ায় ৫ উইকেটের রেকর্ড জয়। পক্ষে ছিল না কিছুই, জেমিমাহর হৃদয়ে ছিল দলকে জেতানো প্রতিজ্ঞা, শক্তি জুগিয়েছে বাইবেলের বাক্য। মহাকাব্যের অংশ হয়ে তার উপলব্ধি, সবকিছুই লিখেছেন আসলে ঈশ্বর। নয়তো তিনবার কেন জীবন পাবেন?
নাভি মুম্বাইয়ের ২২ গজ সিক্ত হয়েছে জেমিমাহর চোখের জলে। আনন্দাশ্রুতে ভেসে শুনিয়েছেন পেছনের গল্প, ‘আমার ফিফটি বা সেঞ্চুরির ব্যাপার আজকে ছিল না, আজকে ছিল স্রেফ ভারতকে জেতানোর ব্যাপার। জানি, কয়েক দফায় জীবন পেয়েছি। তবে মনে হয়েছে, সবকিছুই ঈশ্বরের চিত্রনাট্য। আমি বিশ্বাস করি, সঠিক তাড়না নিয়ে কেউ সঠিক কাজ করলে, তিনি সব সময়ই সহায় হন। আমার মনে হয়েছে, যা কিছু হয়েছে, সবকিছুই আসলে এসবকে ফুটিয়ে তোলার জন্যই। সময়টা খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। এখন সবকিছু মনে হচ্ছে স্বপ্ন, ঘোর কাটাতে সময় লাগবে।’
‘এই টুর্নামেন্টের প্রায় প্রতিটি দিন আমি কান্না করেছি। মানসিকভাবে ভালো ছিলাম না, অনেক উদ্বেগের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম। একাদশ থেকে বাদ পড়াটাও আমার জন্য ছিল আরেকটা চ্যালেঞ্জে। এরপর আমি স্রেফ চেয়েছিলাম নিজেকে মেলে ধরতে, বাকিটা ঈশ্বর সব সামলে নিয়েছেন। একটা পর্যায় পর্যন্ত আমি স্রেফ খেলছিলাম, নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তবে শেষ দিকে বাইবেলের বাক্য পড়ছিলাম, কারণ শক্তি হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’ আরো যোগ করেন জেমিমাহ।
জেমিমাহর এই ইনিংস প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বত্র। বাংলাদেশ নারী দলের তারকা পেসার মারুফা আক্তার তার প্রশংসা করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘জেমিমাহ দিদি, আপনি আমাদের অসাধারণ খেলা উপহার দিয়েছেন। সত্যি বলতে, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি সব সময় আপনার জন্য প্রার্থনা করব। আপনি যেন দলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যান এবং আরো বড় সাফল্য অর্জন করেন। ফাইনাল ম্যাচের জন্য রইল শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা।’ এই পোস্টের মন্তব্যে জেমিমা লিখেছেন, ‘মারুফা, তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি নিজেই একটি অনুপ্রেরণা। তুমি যা করেছে, সেটি বাংলাদেশের ও সারা দুনিয়ার মেয়েদের জন্য প্রেরণাদায়ক।’
জেমিমাহর দেশের মহাতারকা বিরাট কোহলি তার এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমাদের দলের কী দারুণ জয়! মেয়েদের অসাধারণ রান তাড়া, আর বড় ম্যাচে জেমাইমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি ছিল ধৈর্য, বিশ্বাস ও আবেগের এক প্রকৃত উদাহরণ।’ শুভমান গিল এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘ভারত নারী দলের কাছ থেকে অদম্য মনোবল আর দারুণ প্রচেষ্টা দেখা গেল। কী অসাধারণ জয়! এটি (জেমিমার) এমন এক ইনিংস, যা মনে রাখার মতো।’

জেমিমাহ রুদ্রিগেজ গিটারটা খুব ভালো বাজাতে পারেন। ক্রিকেটের বাইরেও গিটারই তার প্রিয় সঙ্গী। কিন্তু আসল কাজটা তো মাঠে, ব্যাট হাতে। যে সুরটা বাকি রয়ে গিয়েছিল, সেটাও দেখে ফেলল সমগ্র ভারত। জেমিমাহ সুর তুললেন ব্যাট হাতে। ৫ মিনিটের প্রস্তুতিতে খেললেন মহাকাব্যিক এক ইনিংস। যে ইনিংসে চড়ে ভারত পৌঁছে গেল বিশ্বকাপের ফাইনালের মহামঞ্চে, যে সুরে মাতোয়ারা হলো ক্রিকেট বিশ্ব। জেমিমাহ স্তুতিতে মেতে ওঠলেন ক্রিকেট আকাশের তারকা-মহাতারকারা। জেমিমাহর কাছে এ যেন রূপকথার গল্প।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষে জেমিমাহ গেলেন শাওয়ার নিতে। পাঁচ নম্বরে ব্যাটিং করবেন, তার হাতে সময় আছে যথেষ্ট। কিন্তু পরে জানতে পারলেন, তাকে খেলতে হবে তিন নম্বরে। প্রস্তুতি সারতে সময় পেলেন মাত্র ৫ মিনিট! শাওয়ার থেকে ড্রেসিংরুম হয়ে বাইশগজের ক্রিজে, এরপর সোয়া তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে ১৩৪ বলে ১৪ চারে ১২৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। ৩৩৯ রান তাড়ায় ৫ উইকেটের রেকর্ড জয়। পক্ষে ছিল না কিছুই, জেমিমাহর হৃদয়ে ছিল দলকে জেতানো প্রতিজ্ঞা, শক্তি জুগিয়েছে বাইবেলের বাক্য। মহাকাব্যের অংশ হয়ে তার উপলব্ধি, সবকিছুই লিখেছেন আসলে ঈশ্বর। নয়তো তিনবার কেন জীবন পাবেন?
নাভি মুম্বাইয়ের ২২ গজ সিক্ত হয়েছে জেমিমাহর চোখের জলে। আনন্দাশ্রুতে ভেসে শুনিয়েছেন পেছনের গল্প, ‘আমার ফিফটি বা সেঞ্চুরির ব্যাপার আজকে ছিল না, আজকে ছিল স্রেফ ভারতকে জেতানোর ব্যাপার। জানি, কয়েক দফায় জীবন পেয়েছি। তবে মনে হয়েছে, সবকিছুই ঈশ্বরের চিত্রনাট্য। আমি বিশ্বাস করি, সঠিক তাড়না নিয়ে কেউ সঠিক কাজ করলে, তিনি সব সময়ই সহায় হন। আমার মনে হয়েছে, যা কিছু হয়েছে, সবকিছুই আসলে এসবকে ফুটিয়ে তোলার জন্যই। সময়টা খুব কঠিন ছিল আমার জন্য। এখন সবকিছু মনে হচ্ছে স্বপ্ন, ঘোর কাটাতে সময় লাগবে।’
‘এই টুর্নামেন্টের প্রায় প্রতিটি দিন আমি কান্না করেছি। মানসিকভাবে ভালো ছিলাম না, অনেক উদ্বেগের ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম। একাদশ থেকে বাদ পড়াটাও আমার জন্য ছিল আরেকটা চ্যালেঞ্জে। এরপর আমি স্রেফ চেয়েছিলাম নিজেকে মেলে ধরতে, বাকিটা ঈশ্বর সব সামলে নিয়েছেন। একটা পর্যায় পর্যন্ত আমি স্রেফ খেলছিলাম, নিজের সঙ্গে কথা বলছিলাম। তবে শেষ দিকে বাইবেলের বাক্য পড়ছিলাম, কারণ শক্তি হারিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।’ আরো যোগ করেন জেমিমাহ।
জেমিমাহর এই ইনিংস প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বত্র। বাংলাদেশ নারী দলের তারকা পেসার মারুফা আক্তার তার প্রশংসা করে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘জেমিমাহ দিদি, আপনি আমাদের অসাধারণ খেলা উপহার দিয়েছেন। সত্যি বলতে, আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আমি সব সময় আপনার জন্য প্রার্থনা করব। আপনি যেন দলকে আরো এগিয়ে নিয়ে যান এবং আরো বড় সাফল্য অর্জন করেন। ফাইনাল ম্যাচের জন্য রইল শুভেচ্ছা ও প্রার্থনা।’ এই পোস্টের মন্তব্যে জেমিমা লিখেছেন, ‘মারুফা, তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি নিজেই একটি অনুপ্রেরণা। তুমি যা করেছে, সেটি বাংলাদেশের ও সারা দুনিয়ার মেয়েদের জন্য প্রেরণাদায়ক।’
জেমিমাহর দেশের মহাতারকা বিরাট কোহলি তার এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে আমাদের দলের কী দারুণ জয়! মেয়েদের অসাধারণ রান তাড়া, আর বড় ম্যাচে জেমাইমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি ছিল ধৈর্য, বিশ্বাস ও আবেগের এক প্রকৃত উদাহরণ।’ শুভমান গিল এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, ‘ভারত নারী দলের কাছ থেকে অদম্য মনোবল আর দারুণ প্রচেষ্টা দেখা গেল। কী অসাধারণ জয়! এটি (জেমিমার) এমন এক ইনিংস, যা মনে রাখার মতো।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশ দলের হোয়াইটওয়াশ, এককথায় সম্পূর্ণ ব্যর্থতার প্রতিচ্ছবি। পুরো সিরিজে ব্যাটিং লাইনআপের মাঝে ফুটে উঠেছে দিশেহারা, পরিকল্পনাহীন, আত্মবিশ্বাসহীনতার ছাপ। টানা তিন ম্যাচে হারের ধরনে প্রশ্ন উঠছেÑএ দলটি আদৌ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের চাহিদা বোঝে তো?
২ ঘণ্টা আগে
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচেও জিতল পাকিস্তান। সেই সঙ্গে নিশ্চিত করল সিরিজও। বাবর আজমের রেকর্ড গড়া ফিফটিতে ৪ উইকেটে জিতেছে সালমান আলী আঘার দল।
২ ঘণ্টা আগে
দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে আর্সেনাল। মাঠের লড়াইয়ে যেন হয়ে উঠেছে অপ্রতিরোধ্য। যেন কোনো দলই থামাতে পারছে না গানারদের জয়রথ। ছন্দটা ধরে রেখে আরো একটি অনায়াস জয় তুলে নিয়েছে কোচ মিকেল আর্তেতার শিষ্যরা। এবার বার্নলিকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্সেনাল।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এবং বাংলাদেশ নৌবাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় মুন্সীগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে ২১তম জাতীয় দূরপাল্লা সাঁতার প্রতিযোগিতা ২০২৫ সম্পন্ন হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগে