আইপিএলের নিলামে মোস্তাফিজুর রহমানকে নিয়ে হয়েছে রীতিমতো কাড়াকাড়ি। শেষ পর্যন্ত ৯ কোটি ২০ লাখ রুপিতে তাকে দলে ভেড়ায় কলকাতা নাইট রাইডার্স। আইপিএল নিলামের পরদিনই বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি এত দাম পাওয়ার যোগ্য। গতকাল আইএল টি-টোয়েন্টিতে এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে এক ওভারে শিকার করেন তিন উইকেট। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রশিদ খান, টম ব্যান্টন ও এএম গজনফারকে ফেরান তিনি।
এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে এক ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি এই পেসার। ইনিংসের ১৮তম ওভারে রশিদ খান, টম ব্যান্টন ও মোহাম্মদ গজনফারকে আউট করেছেন। সেই ওভারে মাত্র ১ রান খরচ করেন মোস্তাফিজ। আগের চার ম্যাচে মোট ৬ উইকেট নিয়েছিলেন এই পেসার। তবে কোনোটিতে দুটির বেশি উইকেট পাননি তিনি। এবার সেই বৃত্ত ভেঙেছেন তিনি। তার দারুণ বোলিংয়ে ১৩৭ রানের থামে এমিরেটসের ইনিংস।
যদিও শেষ পর্যন্ত ৭ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে দুবাই ক্যাপিটালসকে। তারা ১৩০ রানে অল আউট হয়ে গেছে। জর্ডান কস্কের ৪৬, শায়ান জাহাঙ্গীরের ৩৪ রান ছাড়া আর কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। শেষ দিকে মোস্তাফিজ নেমে ১ রান করে রান আউট হয়েছেন। তাতে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির তালিকায় তিন নম্বরে উঠে এসেছেন তিনি।
গতকাল এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে নিজের প্রথম ওভারে ১০ রান খরচ করে মোস্তাফিজুর রহমান। দ্বিতীয় ওভারে তার খরচ ছিল আরো ৭ রান। তাতে প্রথম দুই ওভারে মোস্তাফিজের বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১৭ রান দিয়ে উইকেটশূন্য। নিজের তৃতীয় ওভারে এসে ঘুরে দাঁড়ান মোস্তাফিজুর রহমান। ম্যাচের ১৮তম ওভারে এক রান খরচায় নেন তিন উইকেট। তাতে তিন ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ১৮ রানে ৩ উইকেট।
তৃতীয় ওভারে দারুণ বোলিংয়ের এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেননি নিজের শেষ ওভারে। একটি করে চার ও ছক্কায় ওই ওভারে তার খরচ ছিল ১৬ রান। তাতে পুরো ম্যাচে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৩৫ রানে তিন উইকেট। এমন দারুণ বোলিং করলেও অবশ্য তার দল জিততে পারেনি। ৭ রানে হারে এমআই এমিরেটসের বিপক্ষে। গত ম্যাচে তিন উইকেট শিকার করা মোস্তাফিজ আইএল টি-টোয়েন্টিতে পাঁচ ম্যাচে শিকার করেছেন মোট ৯ উইকেট। তাতে টুর্নামেন্টের তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। ১২ উইকেট নিয়ে সবার উপরে আছেন দুবাই ক্যাপিটালসে তারই সতীর্থ ওয়াকার সালামখিল।
আমার দেশের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

