আদানি পাওয়ারের কাছে বিদ্যুৎ বিল বাবদ বাংলাদেশের সব বকেয়া পরিশোধ করা হয়েছে। জুন মাসে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে এককালীন ৪৩৭ মিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে। এর ফলে চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত আদানির সব পাওনা ‘সম্পূর্ণভাবে পরিশোধ’ হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
টানা ১৭ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও চালু হয়েছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ। শনিবার সন্ধ্যার পর জাতীয় সঞ্চালন লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়।
কারিগরি ত্রুটির কারণে ভারতের আদানি গ্রুপের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. রেজাউল করিম আমার দেশকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বাংলাদেশ অর্থ পরিশোধ শুরুর পর পূর্ণ মাত্রায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করেছে ভারতের গৌতম আদানির প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার।
ভারতীয় আদানি পাওয়ার প্লান্ট থেকে বিদ্যুৎ আমদানিতে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকির ঘটনা ঘটেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতাধীন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি শুল্ক ফাঁকির এ ঘটনা উদঘাটন করে।
আদানি পাওয়ারের কাছ থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করছে বাংলাদেশ। আদানি পাওয়ারের ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রর সঙ্গে বিরোধের ফলে বাংলাদেশ সেখান থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে।
ভারতের বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয়চুক্তি বাতিল করেছে শ্রীলঙ্কা। আদানির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এ সিদ্ধান্ত নিল দ্বীপ রাষ্ট্রটি।
আদানির সঙ্গে চুক্তিপত্রের প্যারায় প্যারায় জলাঞ্জলি দেওয়া হয়েছে বাংলাদেশের স্বার্থ।
পতিত লুটেরা আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে করা আত্মঘাতী চুক্তির কারণে ভারতের আদানি পাওয়ার বাংলাদেশ থেকে লুটে নেবে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। এই টাকা বিদ্যুতের দামের বাইরে।