নাগরিক সেবায় রুগ্ণদশা-শেষ
দেশে বর্তমানে জন্মনিবন্ধনের হার শতকরা ৫০ ও মৃত্যু নিবন্ধনের হার ৪৭ ভাগ। ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার শতভাগ নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করলেও আইনি দুর্বলতা, প্রক্রিয়াগত জটিলতা ও জনসচেতনতার অভাব তা অর্জনে বড় বাধা হয়ে আছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এসব কারণে নিবন্ধনের বাইরে থেকে যাচ্ছে বিশাল একটি জনগোষ্ঠী।
নাগরিক সেবায় রুগ্ণদশা-১
রোকন উদ্দিন আহমেদ। সরকারি চাকরিজীবী। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ২৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। গত ৭ সেপ্টেম্বর ভাগ্নির জন্য জন্মসনদ নিতে যান অঞ্চল-৩-এর অফিসে। সেখান থেকে আঞ্চলিক অফিস, নগর ভবন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘুরেছেন।
জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আয়োজনে বক্তারা
ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আইন সংশোধনের পাশাপাশি বিদ্যমান আইনের কার্যকর বাস্তবায়নে নিবন্ধন বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি, জনবল ঘাটতি দূরীকরণ, প্রযুক্তিগত সমস্যার সমাধান, প্রক্রিয়াগত জটিলতা হ্রাস এবং সংশ্লিষ্ট সকল খাতকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বর্তমানে বাংলাদেশে জন্ম নিবন্ধনের হার ৫০ শতাংশ। যা বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অগ্রগতির তুলনায় অনেক কম। তাই এখানে শতভাগ জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন নিশ্চিত করতে বিদ্যমান আইনকে আরও শক্তিশালী ও যুগোপযোগী করা অপরিহার্য।