
আমার দেশ অনলাইন

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে গেছে টাইফুন কালমেগি, যার আঘাতে ফিলিপাইনে কমপক্ষে ২০৪ জন এবং ভিয়েতনামে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়ে হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছে। তবে বিপর্যয় এখানেই শেষ নয়—আরেকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওং (Fung-wong) ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে।
শনিবার দেশজুড়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ব্যাপক সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আল জাজিরা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ফাং-ওং ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার আগে সুপার টাইফুনে পরিণত হতে পারে। এক সরকারি আবহাওয়াবিদ বলেন, “এর ব্যাস এত বড় যে এটি পুরো ফিলিপাইনজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে।”
সরকারি কর্মকর্তারা উপকূলীয় ও নিচু এলাকায় বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। গত সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের পর আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সেবু প্রদেশে কালমেগির ধ্বংসযজ্ঞের পর শোক ও ক্লান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। সারিবদ্ধ সাদা কফিনের পাশে নিহতদের পরিবার কাঁদছে প্রিয়জনদের জন্য।
ঝড়ে স্ত্রী ও নয়জন আত্মীয়কে হারানো জিমি আবাতায়ো নামের এক ব্যক্তি স্ত্রীর কফিন ছুঁয়ে কেঁদে বলেন, “আমি বলেছিলাম, সাঁতার কাটো, সাহস রাখো, বাঁচার চেষ্টা করো… কিন্তু তারা আর শুনতে পায়নি। আমি তাদের আর কখনও দেখতে পারবো না।”
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র আসন্ন ঝড়ের প্রভাবে দেশজুড়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “বৃষ্টির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে বাঁধ ও নিকাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, মানুষদের ছাদে আশ্রয় নিতে হয়।”
দুর্যোগ প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কালমেগির আঘাতে ৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র বা আত্মীয়দের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে, আর উদ্ধারকর্মীরা এখনো ১০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজছেন।
ভিয়েতনামেও ক্ষয়ক্ষতি
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঝড়ে ৫ জন নিহত ও ৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ঝড়টি ডাক লাক, জিয়া লাই এবং কোয়াং নগাই শহরে আঘাত হানে। এতে প্রায় ২,৬০০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৬ লাখের বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। উপকূলীয় কুই নিয়ন শহরে বাসিন্দারা সকালে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, ছাদের টিন ও আসবাবপত্র রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে।
ভিয়েতনাম সরকার জানায়, ঝড় আঘাত হানার আগেই ৫ লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কালমেগি সর্বোচ্চ ৬০০ মিলিমিটার (২৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর দুর্বল হয়ে কম্বোডিয়ায় প্রবেশ করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে দুটি। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড় আরও ঘন ঘন ও শক্তিশালী হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অ্যাট অ্যালবানি-এর বায়ুমণ্ডলবিজ্ঞান অধ্যাপক ক্রিস্টেন করবোশিয়েরো বলেন,
“কালমেগি এই মৌসুমের চতুর্থ-সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। সমুদ্রের উষ্ণ জল প্রায় সারা বছর এই ঝড়গুলিকে জ্বালানি জোগাচ্ছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ার ফলে ঝড়ের ধ্বংসক্ষমতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।”
এসআর

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া জুড়ে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে গেছে টাইফুন কালমেগি, যার আঘাতে ফিলিপাইনে কমপক্ষে ২০৪ জন এবং ভিয়েতনামে অন্তত ৫ জন নিহত হয়েছেন। ঝড়ে হাজারো ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, গাছ উপড়ে পড়েছে এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়েছে। তবে বিপর্যয় এখানেই শেষ নয়—আরেকটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফাং-ওং (Fung-wong) ফিলিপাইনের দিকে ধেয়ে আসছে।
শনিবার দেশজুড়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করে ব্যাপক সরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা আল জাজিরা। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, ফাং-ওং ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আঘাত হানার আগে সুপার টাইফুনে পরিণত হতে পারে। এক সরকারি আবহাওয়াবিদ বলেন, “এর ব্যাস এত বড় যে এটি পুরো ফিলিপাইনজুড়ে প্রভাব ফেলতে পারে।”
সরকারি কর্মকর্তারা উপকূলীয় ও নিচু এলাকায় বসবাসরত মানুষদের নিরাপদ স্থানে চলে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন। গত সপ্তাহের ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের পর আরও বিপর্যয়ের আশঙ্কায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
সেবু প্রদেশে কালমেগির ধ্বংসযজ্ঞের পর শোক ও ক্লান্তি ছড়িয়ে পড়েছে। সারিবদ্ধ সাদা কফিনের পাশে নিহতদের পরিবার কাঁদছে প্রিয়জনদের জন্য।
ঝড়ে স্ত্রী ও নয়জন আত্মীয়কে হারানো জিমি আবাতায়ো নামের এক ব্যক্তি স্ত্রীর কফিন ছুঁয়ে কেঁদে বলেন, “আমি বলেছিলাম, সাঁতার কাটো, সাহস রাখো, বাঁচার চেষ্টা করো… কিন্তু তারা আর শুনতে পায়নি। আমি তাদের আর কখনও দেখতে পারবো না।”
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র আসন্ন ঝড়ের প্রভাবে দেশজুড়ে জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তিনি বলেন, “বৃষ্টির পরিমাণ এত বেশি ছিল যে বাঁধ ও নিকাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে, মানুষদের ছাদে আশ্রয় নিতে হয়।”
দুর্যোগ প্রতিরক্ষা কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, কালমেগির আঘাতে ৫ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্র বা আত্মীয়দের বাসায় আশ্রয় নিয়েছে, আর উদ্ধারকর্মীরা এখনো ১০০ জনেরও বেশি নিখোঁজ ব্যক্তিকে খুঁজছেন।
ভিয়েতনামেও ক্ষয়ক্ষতি
ভিয়েতনামের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঝড়ে ৫ জন নিহত ও ৩ জন নিখোঁজ হয়েছেন। ঝড়টি ডাক লাক, জিয়া লাই এবং কোয়াং নগাই শহরে আঘাত হানে। এতে প্রায় ২,৬০০টি বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৬ লাখের বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। উপকূলীয় কুই নিয়ন শহরে বাসিন্দারা সকালে ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন, ছাদের টিন ও আসবাবপত্র রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে আছে।
ভিয়েতনাম সরকার জানায়, ঝড় আঘাত হানার আগেই ৫ লাখ ৩৭ হাজার মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। কালমেগি সর্বোচ্চ ৬০০ মিলিমিটার (২৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত ঘটানোর পর দুর্বল হয়ে কম্বোডিয়ায় প্রবেশ করে।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব
ফিলিপাইন ও ভিয়েতনাম বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগপ্রবণ দেশগুলোর মধ্যে দুটি। বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝড় আরও ঘন ঘন ও শক্তিশালী হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অ্যাট অ্যালবানি-এর বায়ুমণ্ডলবিজ্ঞান অধ্যাপক ক্রিস্টেন করবোশিয়েরো বলেন,
“কালমেগি এই মৌসুমের চতুর্থ-সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন। সমুদ্রের উষ্ণ জল প্রায় সারা বছর এই ঝড়গুলিকে জ্বালানি জোগাচ্ছে। সমুদ্রের তাপমাত্রা বাড়ার ফলে ঝড়ের ধ্বংসক্ষমতা আরও বেড়ে যাচ্ছে।”
এসআর

হামাস ও ইসরাইলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তির প্রায় এক মাস পরও গাজা উপত্যকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলছে। নতুন করে আরও মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ায় নিহতের সংখ্যা ৬৯ হাজার ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
৪ মিনিট আগে
আফগানিস্তানের শরণার্থী ও প্রত্যাবাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আবদুলমুতালিব হাক্কানি জানিয়েছেন, গত ১৫ দিনে পাকিস্তান থেকে ২৪ হাজার ৭৮৭টি পরিবার, ইরান থেকে ১ হাজার ২৫১টি পরিবার এবং তুরস্ক থেকে ৬টি পরিবার ফিরে এসেছে।
৬ মিনিট আগে
‘মার্কিন ইতিহাসের বৃহত্তম জিওফেন্সিং প্রচারণা’ হিসেবে বর্ণনা করা হচ্ছে এই পরিকল্পনাকে। এই পরিকল্পনায় উপাসনার সময় ক্যালিফোর্নিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা এবং কলোরাডোতে গির্জার পরিধি ম্যাপ করে, অংশগ্রহণকারীদের সনাক্ত করা হবে। পরবর্তীতে ইসরাইলপন্থি বিজ্ঞাপনের লক্ষ্য পরিণত করা হবে এই অংশগ্রহণকারীদের।
২৭ মিনিট আগে
নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র হিসেবে জোহরান মামদানি নির্বাচিত হওয়ায় ইসরাইলের রাজনৈতিক ও বিশ্লেষক মহলে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইসরাইলি কর্মকর্তারা শুক্রবার বলেছেন, ফিলিস্তিনপন্থী অবস্থানের জন্য পরিচিত মামদানির জয় ইসরাইল–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
১ ঘণ্টা আগে