বিশ্লেষণ-

ইসরাইলের সামনে বন্ধুর পথ

নিউইয়র্ক টাইমস
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ০৮: ৪৮
আপডেট : ২১ জুন ২০২৫, ০৮: ৫০
হোয়াইট হাউসের সামনে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ। ছবি: সংগৃহীত

কূটনৈতিক তৎপরতা চালানোর জন্য ইরানের ওপর আমেরিকার সম্ভাব্য আক্রমণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এ সিদ্ধান্ত ইসরাইলকে কৌশলগতভাবে কঠিন অবস্থায় ফেলে দিয়েছে।

যুদ্ধে ইসরাইলের এখন যে লক্ষ্য তা হলো, ইরানের ফোরদোতে অবস্থিত পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র ধ্বংস করা। কিন্তু এটি মাটির এত গভীরে তৈরি করা হয়েছে যে, ইসরাইলি বোমার সাধ্য নেই এ স্থাপনা ধ্বংস করার।

বিজ্ঞাপন

তাই ইসরাইলি কর্মকর্তারা ফোরদোর পারমাণবিক কেন্দ্রটি ধ্বংস করতে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য মুখিয়ে ছিলেন। এমনকি তারা গত কয়েকদিন ধরে ভাবছিলেন, বিশ্বের অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্রে সজ্জিত একমাত্র যুদ্ধবিমান, যা পারমাণবিক কেন্দ্রটি ধ্বংস করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী বলে মনে করা হয়, সেটি পাঠাবেন ট্রাম্প।

এমন পরিস্থিতিতে ট্রাম্প বলছেন, তিনি এ ধরনের হস্তক্ষেপ করবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করবেন। এই সময় ক্ষেপণের কারণে দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছে ইসরাইল। এর ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেছে যে, ইসরাইলের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন পথ।

ট্রাম্পের জন্য ইসরাইল যত বেশি অপেক্ষা করবে, তার বিমান প্রতিরক্ষাব্যবস্থার ওপর তত বেশি চাপ পড়বে। ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ইসরাইল ইন্টারসেপ্টরের মজুত শেষ করতে বাধ্য হচ্ছে। সময় যত যাচ্ছে, বেসামরিক এলাকা এবং কৌশলগত নিরাপত্তা স্থাপনা আরো বেশি হামলার লক্ষ্যবস্তু হবেÑএমন ঝুঁকি বাড়ছে।

আকাশসীমা বন্ধ এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থগিত থাকায় যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে ইসরাইলের আর্থিক ক্ষতিও বাড়বে। যুদ্ধ যত তাড়াতাড়ি শেষ হবে, তত দ্রুত শুরু হবে বাণিজ্যিক বিমান চলাচল। এর মাধ্যমে ব্যবসাও পুনরায় চালু হবে।

এ অবস্থায় আমেরিকার সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করার পরিবর্তে ইসরাইল তার হাতে থাকা বিমান এবং যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে ফোরদোতে আক্রমণ করার একটি ঝুঁকি নিতে পারে। কিছু বিশ্লেষক বলছেন, ইসরাইল চাইলে ওই স্থাপনায় নাশকতা চালানোর জন্য কমান্ডোও পাঠাতে পারে। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একাই এ কাজ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, ইসরাইল তার লক্ষ্য অর্জন করবে। আমাদের তা করার ক্ষমতা আছে।

কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ পথ অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এবং এতে বড় ধরনের কোনো প্রভাব পড়বে না। ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সাবেক ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত ইতামার রাবিনোভিচ বলেন, এটি সম্ভবত যুক্তরাষ্ট্র যা অর্জন করতে পারে তার মতো হবে না। যদি আমরা যুক্তরাষ্ট্র যা করতে পারে তা করতে পারতাম, তাহলে ইতোমধ্যেই তা করে ফেলতাম।

আরেকটি বিকল্প হলো, ফোরদোতে আক্রমণ না করেই ইসরাইল একতরফাভাবে যুদ্ধ বন্ধ করে দিতে পারে। কিন্তু এ কাজ করলে ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচির অন্তত একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অক্ষত থাকবে। এর মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইরানের পথ উন্মুক্ত থাকবে, যে অস্ত্র ভবিষ্যতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে ব্যবহার হতে পারে।

আপাতত ইসরাইল সে পথ অনুসরণ করতে প্রস্তুত বলে মনে হচ্ছে না। দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্ব ইরানি শাসনব্যবস্থার পতন এবং তার নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার বিষয়ে স্পষ্টভাবে কথা বলতে শুরু করেছে। এমনকি যদি ইসরাইলের কাছে ইরান সরকারকে উৎখাতের কোনো বাস্তব উপায় নাও থাকে, তবু মন্তব্যের সুর থেকে বোঝা যাচ্ছে ইসরাইল অন্তত আরো কয়েকদিন হামলা চালিয়ে যেতে চাইছে।

ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে আইআরআই প্রতিনিধি দলের বৈঠক

শুক্র-শনিবারও চলবে বিমানবন্দরের শুল্কায়ন কার্যক্রম

প্রধান উপদেষ্টার আদেশে জুলাই সনদের আইনি রূপ দিতে হবে

নভেম্বরের মধ্যে তিস্তা মহাপরিকল্পনা শুরুর দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

আইআরআই’র সঙ্গে নির্বাচনের প্রক্রিয়া ও ইসির নিরপেক্ষতা নিয়ে আলোচনা এনসিপির

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত