আমার দেশ অনলাইন
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির নতুন একটি চুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীরা তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে বলে জানিয়েছে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা এখনও অচল অবস্থায় রয়েছে বলেও জানিয়েছে তিনি। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার ১২ দিনের যুদ্ধ বন্ধের পর থেকে “বড় অগ্রগতি” হচ্ছে এবং তার দূত স্টিভ উইটকফের মতে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি “খুব কাছাকাছি” রয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে মঙ্গলবার বোমা হামলায় সাতজন সৈন্য নিহত হয়েছে, যেটি চালানোর দাবি করেছে হামাস।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের এক সপ্তাহের মাথায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলার কথা উল্লেখ করে বুধবার ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, "আমি মনে করি গাজায় দারুণ অগ্রগতি হচ্ছে, আমার মনে হয় এই হামলার কারণেই এটি ঘটছে।" "আমি মনে করি আমরা খুব ভালো কিছু খবর পাবো। আমি স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলছিলাম এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন যে গাজার বিষয়টিও খুব কাছাকাছি," তিনি আরও বলেন।
ট্রাম্পের কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই, হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা "একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।" তবে, তিনি এটাও বলেন যে দলটি "এখন পর্যন্ত নতুন কোনো প্রস্তাব পায়নি"। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা দেশটির হারেৎজ সংবাদপত্রকে আরও বলেন, আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং প্রধান মতবিরোধগুলো এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
মে মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতা চুক্তির প্রচেষ্টা থেমে গিয়েছিল, যখন উইটকফ বলেছিলেন হামাস ইসরায়েলের সমর্থনে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাবে "সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য" সংশোধনী চেয়েছে, যেখানে অর্ধেক জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং যারা মারা গেছেন তাদের অর্ধেকের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
গত ১৮ই মার্চ ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে, যার ফলে ভেঙে যায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি। তখন তারা বলেছিল, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য তারা হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়। ৫০ জন এখনো গাজায় রয়েছে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন জীবিত বলেও তারা মনে করে।
মার্চের শুরুতে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। মার্কিন মিত্রদের চাপ এবং পাঁচ লক্ষ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে- বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের এমন সতর্কবার্তার ১১ সপ্তাহ পরে আংশিকভাবে তা শিথিল করা হয়। একই সময়ে, ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত একটি নতুন সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘকে প্রধান সাহায্য সরবরাহকারী হিসেবে এড়িয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তারা বলছে, জিএইচএফের ব্যবস্থা হামাসের সাহায্য চুরি রোধ করবে, যে অভিযোগ দলটি অস্বীকার করে।
মার্কিন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঠিকাদারদের ব্যবহার করা জিএইচএফ জানিয়েছে যে ২৬শে মে কাজ শুরু করার পর থেকে এটি ৪৪ মিলিয়নেরও বেশি খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছে। এর মধ্যে বুধবার তিনটি স্থানে ২৪ লাখেরও বেশি প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাগুলো জিএইচএফ-কে সহযোগিতার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এটি ইসরায়েলের লক্ষ্য মাথায় রেখে এমনভাবে সহযোগিতা করছে যা মৌলিক মানবিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে।
জিএইচএফ-এর সাইটগুলো ইসরায়েলি সামরিক অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। সেখানে প্রায় প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার খবর নিয়ে ত্রাণ সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৬শে মে জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ শুরু করার পর থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ৫৪৯ জন নিহত এবং চার হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার সকালে মধ্য গাজার একটি জিএইচএফ খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে অপেক্ষমাণ ভিড়ের দিকে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গুলিতে ছয়জন নিহত হয়।দক্ষিণের শহর রাফাহর জিএইচএফ সাইটের কাছে আরও তিনজন নিহত হয় বলেও জানান তিনি। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ওইসব এলাকায় কোনো হতাহতের ঘটনার বিষয়ে "অবহিত নয়"। অন্যদিকে জিএইচএফ বলেছে তাদের সাইটের কাছে এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর সত্যি না।
গাজায় যে ৩৩ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে তারা আগের দিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করার সময় নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। "আমি এক মিলিয়ন বার বলেছি, আবারও বলছি, এগুলো ত্রাণের জায়গা না, মৃত্যুর জায়গা", সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন আবু মোহাম্মদ।
গাজা সফররত ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেন,: "যতদিন একটি জনগোষ্ঠীকে খাদ্য থেকে বঞ্চিত রাখা হবে, মানুষকে এই প্রাণঘাতি বিকল্পের মুখোমুখি হতে হবে এবং দুর্ভাগ্যবশত, যুদ্ধক্ষেত্র হওয়ায় এর অবস্থা ভালো হওয়ার সুযোগ নেই।" সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র আরও বলেন, বুধবার ভোরে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলার পর শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষের সময় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৮৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জনগণের মধ্যে বিভাজন দেখা গেছে। কেউ কেউ মনে করেন, হামাসের প্রধান আঞ্চলিক সমর্থক ইরানের দুর্বল হওয়াকে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির দিকে পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে, কারণ এটি হামাসকে তাদের দাবি কিছুটা সহজ করতে বাধ্য করতে পারে। অন্যদিকে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের অবসান ইসরায়েলকে গাজায় পুনরায় সামরিক মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে এবং তাদের বিমান ও স্থল অভিযানের তীব্রতা বাড়াতে উৎসাহিত করতে পারে।
খান ইউনিসের নাদের রমাদান বিবিসিকে বলেন, এই সংঘর্ষ চলাকালীন গাজায় "সবকিছু আরও খারাপ হয়েছে" বলে মনে হয়েছে। "(ইসরায়েলি) বোমাবর্ষণ তীব্র হয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে এবং কিছু এলাকায় অভিযান বিস্তৃত হয়েছে… আমরা শুধু ধ্বংসই অনুভব করেছি," বলেন তিনি। আদেল আবু রেদা বলেন, সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল ত্রাণের অভাব। তিনি বলেন, জিনিসপত্র লুট হচ্ছে এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বেসামরিক লোকজন ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলির মুখে পড়ছে।"আমরা কী করব?" তিনি প্রশ্ন করেন, "আমরা সব সময় গুলি আর হত্যার মধ্যে আছি"।
এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধে তাদের সাত সেনা নিহত হয়েছে - যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেছেন, খান ইউনিস এলাকায় একটি সাঁজোয়া যানের সাথে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সংযুক্ত ছিল এবং বিস্ফোরণের ফলে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী বাহিনী তাদের উদ্ধারের জন্য বেশ কয়েকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছে, বলেও জানান তিনি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও বন্দি মুক্তির নতুন একটি চুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে মধ্যস্থতাকারীরা তাদের প্রচেষ্টা জোরদার করেছে বলে জানিয়েছে হামাসের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে আলোচনা এখনও অচল অবস্থায় রয়েছে বলেও জানিয়েছে তিনি। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানিয়েছেন।
এই বক্তব্য এমন সময় এলো, যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার ১২ দিনের যুদ্ধ বন্ধের পর থেকে “বড় অগ্রগতি” হচ্ছে এবং তার দূত স্টিভ উইটকফের মতে, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি চুক্তি “খুব কাছাকাছি” রয়েছে।
হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বুধবার গাজাজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় কমপক্ষে ৪৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজন ত্রাণ নিতে গিয়েছিলেন। এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ঘোষণা করেছে যে মঙ্গলবার বোমা হামলায় সাতজন সৈন্য নিহত হয়েছে, যেটি চালানোর দাবি করেছে হামাস।
ইসরায়েল-ইরান সংঘাতের এক সপ্তাহের মাথায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে মার্কিন বিমান হামলার কথা উল্লেখ করে বুধবার ব্রাসেলসে সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, "আমি মনে করি গাজায় দারুণ অগ্রগতি হচ্ছে, আমার মনে হয় এই হামলার কারণেই এটি ঘটছে।" "আমি মনে করি আমরা খুব ভালো কিছু খবর পাবো। আমি স্টিভ উইটকফের সাথে কথা বলছিলাম এবং তিনি আমাকে বলেছিলেন যে গাজার বিষয়টিও খুব কাছাকাছি," তিনি আরও বলেন।
ট্রাম্পের কথা বলার কিছুক্ষণ পরেই, হামাসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বিবিসিকে বলেন, মধ্যস্থতাকারীরা "একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর লক্ষ্যে নিবিড়ভাবে যোগাযোগ রক্ষা করছেন।" তবে, তিনি এটাও বলেন যে দলটি "এখন পর্যন্ত নতুন কোনো প্রস্তাব পায়নি"। ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা দেশটির হারেৎজ সংবাদপত্রকে আরও বলেন, আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি এবং প্রধান মতবিরোধগুলো এখনো অমীমাংসিতই রয়ে গেছে।
মে মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র, কাতার এবং মিশরের মধ্যস্থতা চুক্তির প্রচেষ্টা থেমে গিয়েছিল, যখন উইটকফ বলেছিলেন হামাস ইসরায়েলের সমর্থনে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির জন্য মার্কিন প্রস্তাবে "সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য" সংশোধনী চেয়েছে, যেখানে অর্ধেক জীবিত ইসরায়েলি জিম্মি এবং যারা মারা গেছেন তাদের অর্ধেকের মরদেহ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
গত ১৮ই মার্চ ইসরায়েল গাজায় তাদের সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু করে, যার ফলে ভেঙে যায় দুই মাসের যুদ্ধবিরতি। তখন তারা বলেছিল, জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য তারা হামাসের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে চায়। ৫০ জন এখনো গাজায় রয়েছে, যাদের মধ্যে কমপক্ষে ২০ জন জীবিত বলেও তারা মনে করে।
মার্চের শুরুতে ইসরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তা সরবরাহের ওপর সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে। মার্কিন মিত্রদের চাপ এবং পাঁচ লক্ষ মানুষ অনাহারের মুখোমুখি হচ্ছে- বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞদের এমন সতর্কবার্তার ১১ সপ্তাহ পরে আংশিকভাবে তা শিথিল করা হয়। একই সময়ে, ইসরায়েল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশন দ্বারা পরিচালিত একটি নতুন সাহায্য বিতরণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে, যা ফিলিস্তিনিদের জন্য জাতিসংঘকে প্রধান সাহায্য সরবরাহকারী হিসেবে এড়িয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তারা বলছে, জিএইচএফের ব্যবস্থা হামাসের সাহায্য চুরি রোধ করবে, যে অভিযোগ দলটি অস্বীকার করে।
মার্কিন ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ঠিকাদারদের ব্যবহার করা জিএইচএফ জানিয়েছে যে ২৬শে মে কাজ শুরু করার পর থেকে এটি ৪৪ মিলিয়নেরও বেশি খাবারের প্যাকেট বিতরণ করেছে। এর মধ্যে বুধবার তিনটি স্থানে ২৪ লাখেরও বেশি প্যাকেট বিতরণ করা হয়েছে। তবে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য ত্রাণ সংস্থাগুলো জিএইচএফ-কে সহযোগিতার বিষয়ে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, এটি ইসরায়েলের লক্ষ্য মাথায় রেখে এমনভাবে সহযোগিতা করছে যা মৌলিক মানবিক নীতিমালা লঙ্ঘন করে।
জিএইচএফ-এর সাইটগুলো ইসরায়েলি সামরিক অঞ্চলের মধ্যে অবস্থিত। সেখানে প্রায় প্রতিদিন ফিলিস্তিনিদের নিহত হওয়ার খবর নিয়ে ত্রাণ সংস্থাগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ২৬শে মে জিএইচএফ ত্রাণ বিতরণ শুরু করার পর থেকে ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্তত ৫৪৯ জন নিহত এবং চার হাজার ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত সিভিল ডিফেন্স সংস্থার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বুধবার সকালে মধ্য গাজার একটি জিএইচএফ খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে অপেক্ষমাণ ভিড়ের দিকে ইসরায়েলি বাহিনীর চালানো গুলিতে ছয়জন নিহত হয়।দক্ষিণের শহর রাফাহর জিএইচএফ সাইটের কাছে আরও তিনজন নিহত হয় বলেও জানান তিনি। তবে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা ওইসব এলাকায় কোনো হতাহতের ঘটনার বিষয়ে "অবহিত নয়"। অন্যদিকে জিএইচএফ বলেছে তাদের সাইটের কাছে এ ধরনের কোনো ঘটনার খবর সত্যি না।
গাজায় যে ৩৩ জনের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে তারা আগের দিন ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করার সময় নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। "আমি এক মিলিয়ন বার বলেছি, আবারও বলছি, এগুলো ত্রাণের জায়গা না, মৃত্যুর জায়গা", সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন আবু মোহাম্মদ।
গাজা সফররত ইউনিসেফের মুখপাত্র জেমস এলডার বলেন,: "যতদিন একটি জনগোষ্ঠীকে খাদ্য থেকে বঞ্চিত রাখা হবে, মানুষকে এই প্রাণঘাতি বিকল্পের মুখোমুখি হতে হবে এবং দুর্ভাগ্যবশত, যুদ্ধক্ষেত্র হওয়ায় এর অবস্থা ভালো হওয়ার সুযোগ নেই।" সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র আরও বলেন, বুধবার ভোরে মধ্য গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে একটি বাড়িতে বিমান হামলায় ছয়জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে।
ইরানের পারমাণবিক ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিকে লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলার পর শুরু হওয়া ইসরায়েল-ইরান সংঘর্ষের সময় গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হাতে ৮৬০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে জনগণের মধ্যে বিভাজন দেখা গেছে। কেউ কেউ মনে করেন, হামাসের প্রধান আঞ্চলিক সমর্থক ইরানের দুর্বল হওয়াকে গাজায় একটি যুদ্ধবিরতির দিকে পদক্ষেপ হিসেবে দেখা যেতে পারে, কারণ এটি হামাসকে তাদের দাবি কিছুটা সহজ করতে বাধ্য করতে পারে। অন্যদিকে কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন ইরান-ইসরায়েল সংঘর্ষের অবসান ইসরায়েলকে গাজায় পুনরায় সামরিক মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করতে এবং তাদের বিমান ও স্থল অভিযানের তীব্রতা বাড়াতে উৎসাহিত করতে পারে।
খান ইউনিসের নাদের রমাদান বিবিসিকে বলেন, এই সংঘর্ষ চলাকালীন গাজায় "সবকিছু আরও খারাপ হয়েছে" বলে মনে হয়েছে। "(ইসরায়েলি) বোমাবর্ষণ তীব্র হয়েছে, ক্ষতির পরিমাণ বেড়েছে এবং কিছু এলাকায় অভিযান বিস্তৃত হয়েছে… আমরা শুধু ধ্বংসই অনুভব করেছি," বলেন তিনি। আদেল আবু রেদা বলেন, সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল ত্রাণের অভাব। তিনি বলেন, জিনিসপত্র লুট হচ্ছে এবং অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে। বেসামরিক লোকজন ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইসরায়েলি গুলির মুখে পড়ছে।"আমরা কী করব?" তিনি প্রশ্ন করেন, "আমরা সব সময় গুলি আর হত্যার মধ্যে আছি"।
এদিকে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজায় যুদ্ধে তাদের সাত সেনা নিহত হয়েছে - যুদ্ধবিরতি ভাঙার পর এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা। মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডিফ্রিন বলেছেন, খান ইউনিস এলাকায় একটি সাঁজোয়া যানের সাথে একটি বিস্ফোরক ডিভাইস সংযুক্ত ছিল এবং বিস্ফোরণের ফলে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। হেলিকপ্টার এবং উদ্ধারকারী বাহিনী তাদের উদ্ধারের জন্য বেশ কয়েকটি ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালিয়েছে, বলেও জানান তিনি।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
আরব সাগরে অভিযান চালিয়ে প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের মাদক জব্দ করেছে পাকিস্তানের নৌবাহিনী। বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি নেতৃত্বাধীন যৌথ সামুদ্রিক জোট কম্বাইন্ড মেরিটাইম ফোর্সেস (সিএমএফ)-এর অংশ হিসেবে পাকিস্তানি নৌবাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
২৯ মিনিট আগেখামেনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ পোস্টে জানান, বিভিন্ন প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে আমেরিকার নানা প্রান্তে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমেছেন। যদি আপনি (ট্রাম্প) এতটাই সক্ষম হন, তবে বিক্ষোভকে দমন করুন।
১ ঘণ্টা আগেহোয়াইট হাউস দাবি করছে, এই প্রকল্পে সরকারি অর্থ ব্যবহার হবে না, বরং ভবিষ্যতের প্রশাসনগুলিও সুবিধা পাবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বলরুমটি ভবিষ্যতে রাজনৈতিক ফান্ডরেইজিংয়ের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে পারে—যা সরকারি প্রভাবের বিনিময়ে অর্থ আদায়ের নতুন রূপ।
১ ঘণ্টা আগেগুগলের ক্রোমকে চ্যালেঞ্জ জানাতে নিজস্ব ওয়েব ব্রাউজার উন্মোচন করেছে চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই। ওপেনএআই তাদের নতুন এই ব্রাউজারের নাম দিয়েছে ‘চ্যাটজিপিটি অ্যাটলাস’।
১ ঘণ্টা আগে