যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানী মেরি ব্রাঙ্কো ও ফ্রেড রামসডেল এবং জাপানের শিমন সাগাগুচি চলতি বছর চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শারীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন।
পেরিফেরাল ইমিউন টলারেন্স নিয়ে গবেষণার জন্য তাদের এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
এটি রোগ-প্রতিরোধ বা ইমিউন সিস্টেমের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে শরীরের নিজস্ব উপাদান (self-antigens) এবং ক্ষতিকারক নয় এমন বহিরাগত উপাদান (যেমন: কিছু খাদ্য উপাদান, উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়া) এর বিরুদ্ধে অনাকাঙ্ক্ষিত বা অতিরিক্ত প্রতিরোধমূলক প্রতিক্রিয়া (immune response) সৃষ্টি হওয়া রোধ করা হয়।
বাংলাদেশ সময় সোমবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে সুইডেনের স্টকহোম থেকে এ বছরের চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করে ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট।
নোবেলজয়ী এই বিজ্ঞানীরা পাবেন একটি মেডেল, একটি সনদপত্র এবং মোট ১১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে এই ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা ভাগ হয়ে যাবে।
বর্তমান বাজারে এর মান প্রায় ১২ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মূদ্রায় প্রায় ১৪ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
প্রতিবছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল ঘোষণা করে সুইডেনের স্টোকহোমের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট। আর পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের নোবেল ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স।
সুইডেনের বিজ্ঞানী আলফ্রেড নোবেলের নামে ও তার রেখে যাওয়া অর্থ থেকে দেওয়া হয়। সুইডিশ শিল্পপতি নোবেল ডিনামাইটের উদ্ভাবক ছিলেন। তার মৃত্যুর পাঁচ বছর পর ১৯০১ সাল থেকে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ও সম্মানজনক এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
আলফ্রেড নোবেলের উইলে পাঁচটি বিষয়ে পুরস্কারের কথা থাকলেও অর্থনীতিতে পুরস্কার দেওয়ার কথা উল্লেখ ছিল না। ১৯৬৮ সাল ‘দ্য ব্যাংক অব সুইডেনের’ নেওয়া এক বিশেষ সিদ্ধান্তে অর্থনীতিতে পুরস্কার প্রদানের কথা ঘোষণা করা হয়।

