দুই বছর আগে গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মানসিক রোগের চিকিৎসা নেয়া ইসরাইলি সেনার সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পুনর্বাসন বিভাগের উপ-প্রধান তামার শিমোনি জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর প্রায় ৬২ হাজার সেনার মানসিক রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। এখন এ সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৮৫ হাজারে পৌঁছেছে, যাকে অভূতপূর্ব বলে অভিহিত করেছেন তিনি। খবর বার্তা সংস্থা আনাদোলুর।
শিমোনি বলেন, ৭ অক্টোবরের ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত এক-তৃতীয়াংশ ইসরাইলি সেনা মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি বলেন, একজন থেরাপিস্ট এখন ৭৫০ জন রোগীর চিকিৎসা করেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো বেশি। যার ফলে দ্রুত চিকিৎসার প্রয়োজন এমন রোগী কাছে পৌঁছানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
নভেম্বরে সংবাদমাধ্যম ইয়েদিওথ আহরোনোথ ইসরাইলে ‘ব্যাপক মানসিক সংকট’ সম্পর্কে সতর্ক করে বলেছে, প্রায় দুই মিলিয়ন মানুষের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তার প্রয়োজন, যার মধ্যে বিপুল সংখ্যক সেনাও রয়েছে।
ইসরাইলি গণমাধ্যম সামরিক বাহিনীর মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা বৃদ্ধির খবরও জানিয়েছে। শনিবার সংবাদমাধ্যম মারিভ জানিয়েছে যে যুদ্ধের পর মানসিক চাপে একজন সেনা আত্মহত্যা করেছেন। এছাড়া, গত সপ্তাহে মানসিক চাপে মারা আত্মহত্যা করেন আরো একসেনা।
অক্টোবরে প্রকাশিত ইসরাইলি সামরিক বাহিনীর তথ্য অনুসারে, সেনাবাহিনী ১৮ মাসে ২৭৯টি আত্মহত্যার চেষ্টা রেকর্ড করেছে, যার মধ্যে ৩৬ জনের মৃত্যু হয়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরাইল গাজায় ৭০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
আরএ


পাকিস্তানের হামলায় ২৩ আফগান সেনা নিহত
সীমান্তে ফের সংঘাতে জড়াল থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া