আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি বাড়ানোর এক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সরকার। সম্প্রতি দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ পশ্চিম তীরের ‘ইওয়ান’ অঞ্চলে ৩,৪০১টি নতুন বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে ।
শনিবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কারণ এটি পূর্ব জেরুজালেমকে পশ্চিম তীরের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে। যা একটি অবিচ্ছিন্ন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করবে।
ফিলিস্তিন সরকার একে “দখলদারি ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের এক সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা” এবং দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই পরিকল্পনা বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
জর্ডান একে আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে জানায়, এটি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের অধিকারকে মারাত্মকভাবে আঘাত করছে। কাতার একে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার একটি কৌশল হিসেবে দেখছে। যা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে। একইভাবে সৌদি আরব এটিকে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিরুদ্ধে একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বসতি স্থাপন পরিকল্পনা "আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবকে অবজ্ঞা করে" এবং "ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তি এবং স্থায়ী শান্তির আশাকে লক্ষ্য করে"।
যুক্তরাজ্য সরাসরি বলেছে, এই প্রকল্প বন্ধ করতে হবে কারণ এটি ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে দুটি অংশে বিভক্ত করে দেবে।
জার্মানি বসতি নির্মাণকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, এটি শান্তির পথকে কঠিন করে তুলবে। একইভাবে, স্পেন এই প্রকল্পকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ভবিষ্যতের ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কায়া কাল্লাস বলেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের ভৌগলিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তার মতে, ইসরাইলকে এই পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, না হলে শান্তির সম্ভাবনা চিরতরে বিলীন হবে।
জাতিসংঘ-এর পক্ষ থেকেও স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, এই বসতি প্রকল্প আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং এটি দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করবে। ফলে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
ও-য়াইসি (ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা) এটিকে অবৈধ দখলদারি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছে, ইসরাইল জাতিসংঘের রেজোলিউশন এবং আন্তর্জাতিক আদালতের মতামত লঙ্ঘন করছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি এবং নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি ইসরাইলের অভ্যন্তরে মানবাধিকার সংগঠন Peace Now-ও এই প্রকল্পকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে আখ্যা দেয়। সংগঠনটির মতে, এই ধরনের পরিকল্পনা শান্তি প্রক্রিয়াকে চিরতরে শেষ করে দেবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই পরিকল্পনা নিয়ে কোনো সরাসরি সমালোচনা করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের বর্তমান অগ্রাধিকার হচ্ছে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং পশ্চিম তীরের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
ইসরাইলের দখলকৃত ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে অবৈধ বসতি বাড়ানোর এক নতুন পদক্ষেপ নিয়েছে দখলদার ইসরাইলি সরকার। সম্প্রতি দেশটির অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচ পশ্চিম তীরের ‘ইওয়ান’ অঞ্চলে ৩,৪০১টি নতুন বসতি নির্মাণের পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। ফলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে তীব্র উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে ।
শনিবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, এই ঘোষণার পর বিশ্বজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কারণ এটি পূর্ব জেরুজালেমকে পশ্চিম তীরের বাকি অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন করে। যা একটি অবিচ্ছিন্ন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে সংকুচিত করবে।
ফিলিস্তিন সরকার একে “দখলদারি ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের এক সুপরিকল্পিত প্রচেষ্টা” এবং দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক শান্তি প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। এই পরিকল্পনা বন্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছে।
জর্ডান একে আন্তর্জাতিক আইনের সরাসরি লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করে জানায়, এটি ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের অধিকারকে মারাত্মকভাবে আঘাত করছে। কাতার একে ফিলিস্তিনিদের বাস্তুচ্যুত করার একটি কৌশল হিসেবে দেখছে। যা স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনাকে পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে। একইভাবে সৌদি আরব এটিকে দুই-রাষ্ট্র সমাধানের বিরুদ্ধে একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বসতি স্থাপন পরিকল্পনা "আন্তর্জাতিক আইন এবং জাতিসংঘের প্রস্তাবকে অবজ্ঞা করে" এবং "ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের আঞ্চলিক অখণ্ডতা, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের ভিত্তি এবং স্থায়ী শান্তির আশাকে লক্ষ্য করে"।
যুক্তরাজ্য সরাসরি বলেছে, এই প্রকল্প বন্ধ করতে হবে কারণ এটি ভবিষ্যতের ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে দুটি অংশে বিভক্ত করে দেবে।
জার্মানি বসতি নির্মাণকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন হিসেবে অভিহিত করে বলেছে, এটি শান্তির পথকে কঠিন করে তুলবে। একইভাবে, স্পেন এই প্রকল্পকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের ভবিষ্যতের ওপর আঘাত বলে উল্লেখ করেছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট কায়া কাল্লাস বলেন, এই পরিকল্পনার মাধ্যমে পূর্ব জেরুজালেম ও পশ্চিম তীরের ভৌগলিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে। তার মতে, ইসরাইলকে এই পদক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, না হলে শান্তির সম্ভাবনা চিরতরে বিলীন হবে।
জাতিসংঘ-এর পক্ষ থেকেও স্পষ্ট ভাষায় বলা হয়, এই বসতি প্রকল্প আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী এবং এটি দুই-রাষ্ট্র ভিত্তিক সমাধানের সম্ভাবনাকে ধ্বংস করবে। ফলে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার আহ্বান জানিয়েছে।
ও-য়াইসি (ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা) এটিকে অবৈধ দখলদারি হিসেবে আখ্যায়িত করে বলেছে, ইসরাইল জাতিসংঘের রেজোলিউশন এবং আন্তর্জাতিক আদালতের মতামত লঙ্ঘন করছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে জবাবদিহি এবং নিষেধাজ্ঞার আহ্বান জানিয়েছে।
এমনকি ইসরাইলের অভ্যন্তরে মানবাধিকার সংগঠন Peace Now-ও এই প্রকল্পকে ইসরাইল ও ফিলিস্তিন উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে আখ্যা দেয়। সংগঠনটির মতে, এই ধরনের পরিকল্পনা শান্তি প্রক্রিয়াকে চিরতরে শেষ করে দেবে।
তবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো এই পরিকল্পনা নিয়ে কোনো সরাসরি সমালোচনা করেনি। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের বর্তমান অগ্রাধিকার হচ্ছে গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি সামাল দেওয়া এবং পশ্চিম তীরের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা।
ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি শিল্পনগরী এলাকা কানপুর। গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা সৈয়দ নগরে ঈদে মিলাদুন্নবি উদ্যাপন উপলক্ষে সন্ধ্যায় একটি সাইনবোর্ড টাঙানো হয়।
২৭ মিনিট আগেসম্প্রতি বায়ু দূষণ কমানোর জন্য রাজধানীতে পেট্রোলচালিত মোটরবাইকের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভিয়েতনাম প্রশাসন। যা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা। তবে, পরিকল্পিত এই নিষেধাজ্ঞার ফলে ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের বাজার হারাবে বলে আশঙ্কা করছে জাপান সরকার এবং দেশের কিছু শীর্ষস্থানীয় নির্মাতা।
৩৯ মিনিট আগেগাজায় সাফল্য অর্জনের জন্য যে অনুকূল পরিস্থিতি পেয়েছিল ট্রাম্পের প্রধান কূটনৈতিক মধ্যস্থতাকারী স্টিভ উইটকফ ও তার দল, সেটা ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রে তৈরি করা কঠিন হতে পারে, কারণ এই যুদ্ধ প্রায় চার বছর ধরে চলছে।
১ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে, তারা মঙ্গলবার গভীর রাতে ব্রায়ানস্ক সীমান্ত অঞ্চলে একটি রাশিয়ান রাসায়নিক কারখানায় যুক্তরাজ্যের সরবরাহকৃত স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করেছে।
১ ঘণ্টা আগে