তুরস্কের রাজনীতিতে আবারো আলোচনায় উঠে এসেছেন এক সময়ের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাররেম ইঞ্জে। প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) তাকে পুনরায় দলে ফিরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। গত বুধবার আঙ্কারায় হোমল্যান্ড পার্টির (এমপি) সদর দপ্তরে যান সিএইচপি নেতা ওজগুর ওজেল। সেখানে তিনি ইঞ্জেকে সরাসরি আহ্বান জানান— ‘ঘরে ফিরে আসুন।’ জবাবে ইঞ্জে জানান, তিনি প্রস্তাবটি তার দলের নির্বাহী বোর্ডে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানাবেন।
মুহাররেম ইঞ্জে ছিলেন সিএইচপির চারবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং ২০১৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দলের প্রার্থী। তবে ২০২১ সালে দলের অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নিয়ে ব্যর্থ সংস্কার প্রচেষ্টার পর তিনি সিএইচপি থেকে বেরিয়ে গিয়ে গঠন করেন হোমল্যান্ড পার্টি।
যদিও দল ছাড়ার পর ইঞ্জে কখনো কখনো সিএইচপির পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। যেমন— গত মার্চে ইস্তানবুলের মেয়র একরেম ইমামোগলুর দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তারের সময়, ইঞ্জে ঘটনাটিকে সিএইচপির সঙ্গে একযোগে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
সম্প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কে সিএইচপি ও ক্ষমতাসীন একে পার্টির বাইরেও একটি ‘তৃতীয় পথ’ সম্ভব। তবে তিনি নিজ দলের (এমপি) হয়ে তেমনভাবে সক্রিয় প্রচারণা চালাননি।
উল্লেখ্য, হোমল্যান্ড পার্টি তুরস্কের রাজনীতিতে বর্তমানে খুব দুর্বল অবস্থানে রয়েছে। ২০২৪ সালের স্থানীয় নির্বাচনে দলটি মাত্র ০.১৭% ভোট পেয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ইঞ্জের সম্ভাব্য প্রত্যাবর্তন সিএইচপির জন্য রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ হতে পারে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট রেজেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরকে ঐক্যবদ্ধ করতে চাইলে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
সূত্র: ডেইলি সাবাহ

