মিয়ানমারের রাখাইনে একটি হাসপাতালে সামরিক বিমান হামলায় ৩০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরো ৬৮ জন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ডের।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত একজন সাহায্যকর্মী ওয়াই হুন অং জানান, বুধবার রাতে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী পশ্চিম রাখাইন রাজ্যের ম্রাউক-ইউয়ের জেনারেল হাসপাতালে বিমান হামলা হয়।
তিনি বলেন, ‘পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত ৩১ জন নিহত হয়েছে এবং আমাদের ধারণা মৃতের সংখ্যা বাড়বে। এছাড়াও ৬৮ জন আহত হয়েছে।’
গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে জান্তা সরকার দেশটিতে বিমান হামলা বাড়িয়েছে। ২০২১ সালে ক্ষমতা দখল করে জান্তা। সামরিক বাহিনী ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। তবে বিদ্রোহীরা তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা অঞ্চলে নির্বাচন আটকানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এসব এলাকা পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই করছে জান্তা সরকার।
রাখাইন রাজ্যের প্রায় পুরোটাই আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রণ করে। আরাকান আর্মি এক বিবৃতিতে জানায়, বুধবার স্থানীয় সময় রাত ৯ টার দিকে বিমান হামলা হয়। এতে হাসপাতালে ভর্তি ১০ রোগী ঘটনাস্থলেই নিহত হন।
সংঘাত পর্যবেক্ষকদের মতে, আরাকান আর্মি জান্তার জন্য একটি শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। তারা রাখাইনের ১৭টি শহরের মধ্যে ১৪ টিই নিয়ন্ত্রণ করে। এদের বিরুদ্ধে এই অঞ্চলের মুসলিম রোহিঙ্গা জাতিগত সংখ্যালঘুদের ওপর নৃশংসতার অভিযোগও রয়েছে।
আরএ


গাজা শান্তি বোর্ডে কারা থাকছেন, জানা যাবে কবে
গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসনে ৭০ হাজার ছাড়াল মৃতের সংখ্যা