ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা “গঠনমূলক হলেও সহজ নয়।” আগামী কয়েক দিনের মধ্যে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের আগে রোববার রাতে তিনি এ কথা জানান।
শনিবার জেলেনস্কি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ও ট্রাম্পের জামাতা জারেড কুশনারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। তিনি সোমবার লন্ডনে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও জার্মানির নেতাদের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। পরবর্তী আলোচনাগুলো ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হবে।
জেলেনস্কি তার দৈনিক ভিডিও ভাষণে বলেন, “আমেরিকান প্রতিনিধিরা ইউক্রেনের মৌলিক অবস্থানগুলো জানেন। আলোচনা গঠনমূলক ছিল, যদিও সহজ ছিল না।”
রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ চতুর্থ বছরে গড়াতে চলেছে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সংঘাত—এবং এটিকে ট্রাম্প তার বৈদেশিক নীতির “সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ” হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতা ও উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ সত্ত্বেও শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি ধীর। কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা এবং রাশিয়া-অধিকৃত অঞ্চলের ভবিষ্যত অবস্থান নিয়ে বিরোধ এখনো মেটেনি।
মস্কো বলছে তারা আলোচনায় উন্মুক্ত, তবে কিয়েভ ও পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়াকে দোষারোপ করছে—তাদের মতে রাশিয়া কেবল কূটনীতিকে ব্যবহার করছে নিজেদের দখলকৃত অবস্থান শক্তিশালী করতে।
ইউরোপীয় নেতারা দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা ও অব্যাহত সামরিক সহায়তার ভিত্তিতে ধাপে ধাপে কূটনৈতিক প্রক্রিয়ার পক্ষে। অন্যদিকে ট্রাম্প দ্রুত সমঝোতা ও দায়-ভার ভাগাভাগির ওপর জোর দিচ্ছেন। কূটনীতিকদের সতর্কবার্তা, মার্কিন রাজনৈতিক পরিস্থিতির যে কোনো পরিবর্তন এসব আলোচনাকে নাজুক অবস্থায় ফেলে দিতে পারে।
সূত্র: আল আরাবিয়া
এসআর

